আওয়ামী লীগ
সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা যাচাই করবে জনগণ : প্রধানমন্ত্রী

Published
2 days agoon

সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা যাচাই করবে দেশের জনগণ। এটা যাচাই আমার দায়িত্ব নয়। তবে, সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? বললেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা
আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সততা নিয়ে কাজ করলে ব্যর্থ হতে হবে কেন? প্রশ্নকর্তার যখন এতই আগ্রহ তাহলে আমার ব্যর্থতাগুলো আপনিই খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলাম। চারণের বেশে সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশকে চিনেছি, জেনেছি। সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ যাতে ভালো থাকে সেই আকাংখা নিয়েই কাজ করেছি। তার সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন সেটা আমরা বয়োবৃদ্ধ যারা আছি তারা জানি। কিন্তু, আজকের প্রজন্ম জানবে না। যদি সততা নিয়ে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণে কি কাজ করতে হবে- সেটা বিবেচনা করে যদি কাজ করা যায়, তাহলে ব্যর্থ হবো কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই বের করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কাকে বিচার করবো সেটাই একটা প্রশ্ন। ’৭৫ পরবর্তী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সবাইতো ইতিহাস বিকৃত করেছে। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
তিনি বলেন, মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। কত জঘণ্য কাজ তারা করে গেছে। তাই, যারা সত্যটাকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিল তারাই আজকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে চলে গেছে। সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। সত্য অনেক কঠিন। তবে, এর জয় অবসম্ভাবী। বিচার প্রাকৃতিকভাবেই তাদের হচ্ছে। সত্য ইতিহাস আর কেউ বিকৃত করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেয়। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। সংবিধানের দু’টি ধারায় পরিবর্তন এনে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। ভোটের অধিকার দেয়।
সংসদ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান গোলাম আযমসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেয়। জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের উপদেষ্টা বানায়, মন্ত্রী বানায়। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে এদের কেবিনেটে স্থান দেয়, মন্ত্রী বানায়। এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়া একটি জাতির জন্য কলঙ্কজনক।
তিনি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা জিয়ার সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি ছিল না তাদের নাম বাদ দেয়া, অপমানিত করা এবং যারা মুক্তিযোদ্ধা নয় তাদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান তারা দিতে চায়নি। ৭৫ এর পরে এমন একটা সময় গেছে যে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে সেটা বলতেও ভীতসন্তস্ত্র ছিল। তখন একে একে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা হয়। চাকুরিচ্যূত করা হয়েছে, অপমানিত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিও দেয়া হতো না। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসও বিকৃতি করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অনেকগুলো ইতোমধ্যে পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে তালিকায় থাকে সেই প্রচেষ্টা করার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যুদ্ধটা জনযুদ্ধ ছিল, মনে রাখতে হবে এখানে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। অনেক সময় কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়ির মুরব্বিকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হতে হয়েছে। তাদের মেম্বার করে রেখেছে। কিন্তু বাড়ির ভেতরে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অস্ত্র রাখতে দিয়েছে। মেয়েরা রান্না করে খাইয়েছে। অপারেশন চালিয়েছে। যে কারণে জাতির পিতা একটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু যারা গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নারী ধর্ষণ করেছিল তাদের ক্ষমা করেননি, তিনি বিচার করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তর পরবর্তীকালে সবকিছু পাল্টে যায়। মনে হয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অপরাধ করে ফেলেছে। স্বাধীনতা বিরোধীতা ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। তবে, বর্তমানে সেই অবস্থা নেই।
জামালপুর-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু, সেখানে টেকনিক্যাল লোক পাওয়া কঠিন। অনেকই বিদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে কাজ দেয়া হয়। সরকার টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। যাতে দক্ষ জনগোষ্ঠি তৈরি হয়। তাদের চাকরির অভাব নেই। পাস করার সঙ্গে সঙ্গে তারা তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় চাকরি পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেক্সটাইল শিক্ষার্থী নয়, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টারিসহ অন্যান্য বিষয়ে পাস করে বিসিএস দেয়ার প্রবণতা আছে। এত বেশি ক্যাডার সিস্টেম হয়ে গেছে। আমরা কিন্তু ইতোমধ্যে অর্থনীতি ও প্রশাসন ক্যাডারকে এক করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে আরও কতটা সংকুচিত করা যায় সেটা ভালো। নতুন নতুন ক্যাডার সৃষ্টি করলেই যে চাকরির দুয়ার খুলে যাবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। চাকরি করাটা তাদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা কাজ পেয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের নতুন করে কোন ক্যাডার তৈরি করার পরিকল্পনা নেই। তবে, ভবিষ্যতে এটা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারি।

অন্যরা যা পড়ছেন
জাতীয়


দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি রাজশাহীতে
রাজশাহীতে নির্মাণ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। যা কিনা দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। ৫৮...


বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে, সে কারণে নিরব পদযাত্রা : তথ্যমন্ত্রী
মানুষের সুখে-দুঃখে, অভাব, অভিযোগে শুধু আওয়ামী লীগকে পাওয়া গেছে। করোনা মহামারির সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছাড়া অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া...


কামরাঙ্গীরচরে ছাদ থেকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
রাজধানী কামরাঙ্গীরচরে একটি পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে লামিয়া (২) ও আব্দুর রহিম (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ...


দেশে করোনা শনাক্ত আরও ১২ জন, মৃত্যু শূন্য
সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০৬ জনে।...


মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ শুরু
মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ। গেলো ১৮ জানুয়ারি দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে...


রাজশাহীতে ১৩শ’ ১৬.৯৭ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ২৯ জানুয়ারি রোববার রাজশাহীতে দিনব্যাপী সফরে প্রায় ১ হাজার ৩শ’ ১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন...


কৃষিতে শ্রমিক সংকট, যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে শ্রমিক সংকট তৈরি হয়েছে, উৎপাদন বাড়াতে কৃষি খাতে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই । মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। আজ শুক্রবার...


গলায় মাপলার পেচানো, মাদ্রাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় মাওলানা শহিদুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শহিদুল নামুজা ফাযিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।...


লালবাগে ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর লালবাগের বিজিবি দুই নম্বর গেটের সামনের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর...


রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে
সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।...
আর্কাইভ

উত্তেজনা ছড়িয়ে সাকিবদের হেক্সা জয়

আগে নিজের দেশ নিয়ে ভাবো; ইব্রাকে আগুয়েরোর জবাব

দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি রাজশাহীতে

দিনে ২ কোটি টাকার শুটকি বেচাকেনা

আমাদের মাথা ঘামানোর বিষয় একটাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা: মির্জা ফখরুল

পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তায় পুলিশের নতুন ইউনিট

সাকিবদের বিপক্ষে চট্টগ্রামের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ

হাইতির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হামলা

বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে, সে কারণে নিরব পদযাত্রা : তথ্যমন্ত্রী

কামরাঙ্গীরচরে ছাদ থেকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু

বিমানে খারাপ আচরণ, নামিয়ে দেয়া হলো ২ যাত্রীকে

শামীম-অহনার কোটি টাকার কাবিননামা

বানরেরাও এখন মগ্ন স্মার্টফোনে

আপু আমি সত্যি অবাক, মুগ্ধ: পরীমনি

৯৩ বছরে বিয়ের পিড়িতে চাঁদে পা দেয়া দ্বিতীয় মানব

ফ্লাইওভার থেকে টাকার বৃষ্টি!

হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

কাশিমপুর কারাগারে এক আসামির ফাঁসি কার্যকর

মুশফিককে টপকে সাকিবের বেতন

আপিল বিভাগে প্রবেশে লাগবে ডিজিটাল পাস

প্রতিদিনই কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের : কাদের

আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখে ভীত বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

ফ্লাইওভার থেকে টাকার বৃষ্টি!

‘এখনই প্রয়োজন নেই, সেগুলোতে ব্যয় করবো না’

বিমানে খারাপ আচরণ, নামিয়ে দেয়া হলো ২ যাত্রীকে

বানরেরাও এখন মগ্ন স্মার্টফোনে

মেসি কখনই ম্যারাডোনা হতে পারবে না: গাত্তি

ইসলামী ব্যাংকে টাকা নেই বলে প্রচারণা, গ্রেফতার ৪ জন

বাংলাদেশের অগ্রগতি বন্ধ হোক আমেরিকা তা চায় না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যাকে বলা হচ্ছে ব্রাজিলের মেসি!
সর্বাধিক পঠিত
- এশিয়া4 days ago
বিমানে খারাপ আচরণ, নামিয়ে দেয়া হলো ২ যাত্রীকে
- বিনোদন4 days ago
শামীম-অহনার কোটি টাকার কাবিননামা
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
বানরেরাও এখন মগ্ন স্মার্টফোনে
- ঢালিউড7 days ago
আপু আমি সত্যি অবাক, মুগ্ধ: পরীমনি
- আন্তর্জাতিক6 days ago
৯৩ বছরে বিয়ের পিড়িতে চাঁদে পা দেয়া দ্বিতীয় মানব
- এশিয়া3 days ago
ফ্লাইওভার থেকে টাকার বৃষ্টি!
- আইন-বিচার6 days ago
হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
- অপরাধ5 days ago
কাশিমপুর কারাগারে এক আসামির ফাঁসি কার্যকর