উত্তর আমেরিকা
ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পাঠাচ্ছে কানাডাও
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনে ভারী ট্যাংক সরবরাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং অন্যান্য দেশের সাথে যোগ দেবে কানাডাও । এই উদ্যোগে কানাডা চারটি সম্পূর্ণ সক্রিয় লেপার্ড ট্যাংক পাঠাচ্ছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এই চারটি ট্যাঙ্ক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে মোতায়েন করা হবে।’ কানাডার ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, কানাডা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ট্যাংক পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভারী ট্যাংক সরবরাহের জন্য পশ্চিমা মিত্রদের ওপর প্রবণ্ড চাপ দিয়েছেন। পশ্চিমা মিত্ররা এই সপ্তাহে এতে সাড়া দিলে ট্যাংক সরবরাহকারী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে।
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর কড়া চাপের মধ্যে জার্মানি ইউক্রেনে ১৪টি শক্তিশালী ট্যাংক সরবরাহ করতে সম্মত হয়। নরওয়ে বুধবার বলেছে, তারা লেপার্ড-২ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাবে এবং সুইডেন বলেছে তারাও এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার ঘোষণা করেছেন, তার প্রশাসন ইউক্রেনে ৩১টি এম ১ আব্রামস যুদ্ধ ট্যাংক পাঠাবে, তবে সরবরাহ আগামী বছরের আগে নাও হতে পারে।
জার্মান-নির্মিত লেপার্ড-২ যুদ্ধ ট্যাংকগুলোকে বিশ্বব্যাপী সেরা পারফরম্যান্স ট্যাংক মডেলগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের খুচরা যন্ত্রাংশ এবং গোলাবারুদ সহজেই পাওয়া যায়।
মস্কোর সাথে সামরিক সংঘাত বৃদ্ধির ভয় প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনের মিত্রদের ভারী ট্যাংক সরবরাহ থেকে বিরত থাকে। তবে কানাডার মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন ‘এই যুদ্ধের বাস্তবতা পরিবর্তিত হয়েছে’এবং ইউক্রেনের মিত্রদের অবশ্যই ‘তাদের ঐক্য দেখাতে হবে।’
অনিতা আনন্দ ‘এই ভারী সাঁজোয়া যান সৈন্যদের জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং এগুলোর চমৎকার গতিশীলতা, ফায়ার পাওয়ার এবং প্রতিরোধ সক্ষমতা যুদ্ধক্ষেত্রে একটি কৌশলগত সুবিধা দেয়।’ কানাডার ৮২টি জার্মান-তৈরি লেপার্ড ট্যাংক রয়েছে তবে সবগুলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়।
উত্তর আমেরিকা
ভয়াবহ বন্যায় পানির নিচে ব্রাজিল, নিহত বেড়ে ৯০
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির জেরে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল। প্রদেশটিতে শত শত শহর পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
বুধবার (৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ব্যাপক বন্যার কারণে কয়েকশ শহর পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া কিছু শহর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখনও বিচ্ছিন্ন রয়ে গেছে এবং এখনও নিখোঁজ থাকা ১৩০ জনেরও বেশি লোককে খুঁজে পাওয়ার আশা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।
এদিকে চলতি সপ্তাহে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে এবং সেটি হলে এই অঞ্চলের বিপর্যয়কর পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে।
এছাড়া বন্যায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু লোককে সরিয়ে নেয়ার কাজ করেছে উদ্ধার কর্মীরা।
প্রদেশের রাজধানী পোর্টো আলেগ্রে বন্যায় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার বিমানবন্দর ও বাস স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে এবং প্রধান সড়কগুলোও এখন অবরুদ্ধ।
টিআর/
উত্তর আমেরিকা
ব্রাজিলে বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত, মৃত্যু বেড়ে ৭৫
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে গেলো এক সপ্তাহ ধরে বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে ১০৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার (৬ মে) আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্যের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি এবং বন্যা ক্ষয়ক্ষতির কারণে ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। স্কুল, জিমনেসিয়াম এবং অন্যান্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ।
বন্যার কারণে রাজ্যের বিভিন্নস্থানে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া রাস্তা-ঘাঁট ভেসে গেছে এবং বেশ কিছু সেতু ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎসংযোগ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ৮ লাখের বেশি মানুষ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে।
বন্যার কারণে গত শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে পোর্তো অ্যালেগ্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
গত বৃহস্পতিবার বন্যাকবলিত অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। এই বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন তিনি।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সিসকো এলিসেউ অ্যাকুইনো বলেছেন, বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন এবং আবহাওয়ার এল নিনো পরিস্থিতির ‘বিপর্যয়কর মিশ্রণের’ ফলাফল ছিল ব্রাজিলে আঘাত হানা সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ঝড়।
দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশটি সম্প্রতি বেশ কয়েকবার প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
অ্যাকুইনো বলেছেন, ভৌগলিক কারণে অঞ্চলটি প্রায়শই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং মেরু বায়ুর সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব ঘটনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
টিআর/
আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন মার্কিন সিনেটর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিশ্ববিদালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন দেশটির রাজনীতিবিদ ও আইনসভার উচ্চকক্ষ সেনেটের প্রভাবশালী সদস্য বার্নি সার্ডার্স।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক বার্তায় তিনি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন জানান।
তুরস্কের বহুল প্রচারিত ও প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্মির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এক্সে শেয়ার করা বার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী এই সিনেটর লিখেছেন, ‘১৯৬২ সালে শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে বর্ণবাদী নীতিমালার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিলাম। ’৬৩ সালে আমরা পৃথক গাত্রবর্ণের লোকের জন্য পৃথক স্কুলের বিরোধিতা করে আন্দোলনের সময় আমি গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সঠিক ছিলাম।’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে বার্ ৮৩ বছর বয়সী বার্নি সার্ডার্স আরও লিখেছেন, ‘আমি গর্বিত বোধ করছি, শিক্ষার্থীরা আজ গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করছে।’
আন্দোলনকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে লক্ষ্য হাসিলের আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘লক্ষ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাও। তোমরা ইতিহাসের পাতার সঠিক পৃষ্ঠাতেই আছ।’
ইহুদি পরিবারে জন্ম নেওয়া বার্নি সার্ডার্স পারিবারিক পটভূমিকর কারণে অল্প বয়সেই রাজনীতিতে অগ্রহী হয়েছিলেন।১৯৪০ এর দশকে জার্মান-অধিকৃত পোল্যান্ডে তার অনেক আত্মীয়কে হলোকাস্টে হত্যা করা হয়েছিলো।
১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভার্মন্ট অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর বার্লিংটনের নগরপাল বা মেয়র নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনবার নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের একজন সদস্য ছিলেন।
২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন। ওইসময় তিনি তরুণ ভোটার শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রায় ৪৩% ডেলিগেট বা প্রতিনিধির ভোট অর্জন করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়নের দৌড়ে হিলারি ক্লিনটনের কাছে হেরে যান।
এমআর
- ঢালিউড6 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক6 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- ঢালিউড6 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- পরামর্শ6 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়2 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ4 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা2 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন