Connect with us

রাজশাহী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজশাহীর পথে ৩ ট্রেন

Avatar of author

Published

on

বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে রাজশাহীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহী সফরে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলার ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও যাচ্ছেন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী ও রহনপুর-রাজশাহী রুটে তিনটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে।

তবে শুধু এ রুটেই নয়, পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ থেকে ভাড়ায় চিলাহাটি-জয়পুরহাট-রাজশাহী, নাটোর-রাজশাহী, সান্তাহার-রাজশাহী ও আড়ানী-রাজশাহীসহ মোট সাতটি বিশেষ ট্রেন আগামীকালের জন্য ভাড়া করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেন ভাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল।

Advertisement

মুঠোফোনে তিনি বলেন, রেল বিভাগে আগাম আবেদন করে পূর্বানুমতি নিয়ে নেতাকর্মীর যাতায়াতের জন্য আগাম রাজস্ব জমা দিয়ে বিশেষ ট্রেনগুলো ভাড়া করা হয়েছে। এতে করে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর জনসভায় যোগদানে রাজশাহীতে ট্রেনে যাতায়াতে নেতাকর্মীর মধ্যে উৎসাহও বেড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রহনপুর স্টেশন থেকে তিনটি ট্রেন দিয়েছে। যেগুলোর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে সকাল ৭টায়, সকাল সাড়ে ১০টায় এবং রহনপুর থেকে ছাড়বে বেলা সাড়ে ১১টায়। প্রতি কোচে ১০৫টি করে আসন রয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শিক্ষানগরী রাজশাহীতে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার এই আগমনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। আমরা স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম দেখাতে চাই। এ লক্ষ্যে নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট উপজেলা থেকে শতাধিক বাসে নেতাকর্মীরা সভায় যোগ দেবেন। বাস ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমনের দুই দিন পরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইটি আসনে উপ-নির্বাচন। এই জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছ থেকে নেতাকর্মীরা যথাযথ দিকনির্দেশনা পাবেন। সেই অনুযায়ী নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলে আশা করি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা পেতে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

রাজশাহী

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, সংকটাপন্ন নারী

Published

on

নওগাঁ শহরের একতা ক্লিনিকে সুমি খাতুন নামে এক প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পুনরায় অপারেশনের মাধ্যমে পেট থেকে গজ কাপড় বের করা হয়। ওই নারী বর্তমানে রামেকের আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন।

গেলো বুধবার (১৫ মে) একতা ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘতে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জন  নজরুল ইসলাম।

সুমির স্বামী উজ্জ্বল জানান, গেলো ১৫ মে তাঁর স্ত্রীর  সিজারিয়ান অপারেশন করেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তানিয়া রহমান তনি। অপারেশনের জন্য জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া  প্রয়োগ করেন ডাঃ তানিয়ার স্বামী ও নওগাঁ সদর হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট আদনান ফারুক।

অপারেশনের পরপরই পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন সুমি এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ডা. তানিয়া ক্লিনিকের মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রউফকে দিয়ে দ্রুত রোগীর পেটে সেলাই করিয়ে নেন। এর পর রাত ১০টার দিকে সুমিকে কৌশলে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে তাঁর পেটে বাড়তি একটি জিনিসের উপস্থিতি দেখা যায়। পরে গেলো ১৬ মে সকালে ফের অপারেশন করে পেট থেকে গজ বের করা হয়।

নওগাঁর সিভিল সার্জন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। রোগীর অভিভাবক অভিযোগ করলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।

রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ দুইজন আটক

Published

on

হত্যা

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর গলা কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ র মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

শনিবার (১৮ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েক দিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান। শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু’জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলায় সামান্য কেটে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের মরদেহ হেফাজতে নেয় এবং আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শিকতা দেখে মনে হয়েছে যে আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহ আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে তার গলা সামান্য কেটে দেয়া হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গলায় যে পরিমাণ কাটা দাগ রয়েছে তাতে গলা কাটার কারণে মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত