উত্তর আমেরিকা
মেক্সিকোর নাইটক্লাবে গোলাগুলি, নিহত ৮
Published
1 year agoon
By
বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্কমেক্সিকোতে নাইটক্লাবে গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় জেরেজ শহরের একটি ব্যস্ত নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) মেক্সিকান পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাকাতেকাস প্রদেশের জেরেজ শহরে স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাত ও শনিবারের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ভারী অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা দু’টি গাড়িতে করে বারে এসে ঢুকে পড়ে এবং নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে বলে দেশটির নিরাপত্তা সচিবালয়ের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এএফপি বলছে, গুলিবর্ষণের পর ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জন মারা যান। বন্দুকের গুলিতে আহত পাঁচজন রোববার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ক্লাবের কর্মচারী, সংগীতশিল্পী এবং নাইটক্লাবের গ্রাহকরাও রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবর্ষণের পর ক্লাবের মেঝে রক্তে ভেসে যাওয়ায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
‘এল ভেনাদিটো’ নামক এই বারটি জেরেজ শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এই পৌরসভাটি প্রাদেশিক রাজধানী জাকাতেকাসের প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৬ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এই জাকাতেকাস প্রদেশে ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। এর আগে গত বছরের জুন মাসে একই প্রদেশের ভালপরাইসো এলাকা থেকে গুলিতে ঝাঁঝরা ১৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দু’টি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তারা নিহত হয়েছিলেন বলে সেসময় জানানো হয়েছিল।
সহিংস অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মেক্সিকোতে বেড়েই চলেছে। এছাড়া জাকাতেকাস প্রদেশেও এ ধরনের ঘটনা ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। এর পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে প্রায়ই প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক পাচারকারী গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অনেক সময় ক্ষমতা ও স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র দলগুলোও একে অন্যের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।
কেবল জাকাতেকাস প্রদেশে সহিংস অপরাধের ঘটনা যেন একেবারেই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের প্রথম ১০ মাসে জাকাতেকাস প্রদেশে এ ধরনের সহিংসতায় ৯৪৮ জন নিহত হয়েছিলেন। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে তিনশো বেশি।
এএফপি বলছে, মাদক চোরাকারবারের জন্য মেক্সিকো কুখ্যাত। ২০০৬ সালে সরকার মাদক কারবারিদের দমনে কেন্দ্রীয় সেনাদের নামানোর পর মাদক সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় দেশজুড়ে তিন লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে।
অন্যরা যা পড়ছেন
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারে ১০ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার
ভারত ও জাপানকে ‘জেনোফোবিক’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক অর্থ হচ্ছে- বিদেশি বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাব। অবশ্য এই মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনও দেশের অপরাধের কথা বলেননি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার (৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপান এবং ভারতকে ‘জেনোফোবিক’ বলে অভিহিত করেছেন। মূলত মার্কিন মিত্র এই দুটি দেশকে তিনি রাশিয়া এবং চীনের সাথে একত্রিত করে একই কাতারে এমন দেশ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন যারা ‘অভিবাসী চায় না’।
বিবিসি বলছে, জাপানের বিরুদ্ধে বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন এবং সেসময় মার্কিন-জাপান জোটকে ‘অলঙ্ঘনীয়’ বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।
এছাড়া মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। অবশ্য হোয়াইট হাউস বলেছে, নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনও দেশের অপরাধের কথা উল্লেখ করেননি।
স্থানীয় সময় গেলো বুধবার সন্ধ্যায় প্রচারণা তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে কথা বলেন বাইডেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানত এশিয়ান-আমেরিকান দর্শকদের উদ্দেশেই কথা বলছিলেন। এসময় বাইডেন বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচন হবে ‘স্বাধীনতা, আমেরিকা এবং গণতন্ত্র’ নিয়ে।
মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, কেন? কারণ আমরা অভিবাসীদের স্বাগত জানাই। এটা নিয়ে ভাবুন। কেন চীন অর্থনৈতিকভাবে এত খারাপভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে? কেন জাপানের সমস্যা হচ্ছে? কেন রাশিয়া? কেন ভারত? কারণ তারা জেনোফোবিক। তারা অভিবাসীদের চায় না।
বাইডেনের এই বক্তব্যের পর বিবিসি মন্তব্যের জন্য জাপান, ভারত, চীন এবং রাশিয়ার মার্কিন দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে। অবশ্য এই মন্তব্যটির বিপরীতে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা সামনে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক মার্কিন উপ-সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এলব্রিজ কোলবি লিখেছেন, জাপান এবং ভারত আমাদের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।
তার দাবি, আমাদের তাদের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলা উচিত। এটিই তাদের প্রাপ্য। আমাদের মিত্রদের প্রতি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করা বোকামি।
অবশ্য বাইডেনের এসব মন্তব্য অবমাননাকর অর্থে বোঝানো হয়েছে এমন বিষয় অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তিনি (বাইডেন) মার্কিন অভিবাসন নীতিতে আরও বিস্তৃত বক্তব্য রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ভালোভাবে জানেন, তাদের বন্ধুত্ব, তাদের সহযোগিতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন কীভাবে তাদের মূল্যায়ন করেন। তারা জানে, তিনি জোট এবং অংশীদারিত্বের ধারণাকে কতটা গুরুত্ব দেন।
ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ সদানন্দ ধুমে বিবিসিকে বলেছেন, বাইডেনের মন্তব্য সম্ভবত ভারতে খারাপভাবে গ্রহণ করা হবে কারণ দেশটি একটি ‘জাতীয়তাবাদী উত্থান’ অনুভব করছে।
তিনি বলেন, এই মন্তব্য ভারতীয়দের একটি অংশের মধ্যে এমন ধারণা নিশ্চিত করবে যে, বাইডেন ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নন। তারা চীনের মতো স্বৈরাচারী দেশগুলোর সাথে একই কাতারে নিজেদের দেখতে পাওয়াকে ভালোভাবে নেবে না।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘উল্লেখযোগ্য’ ঘটনা ঘটেছে।
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
নিউইয়র্কে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযান, ফিলিস্তিনপন্থী কয়েক ডজন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
Published
2 days agoon
মে ১, ২০২৪নিউইয়র্ক শহরের বেসরকারি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রশাসনিক ভবনে আটকে থাকা কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। পাশাপাশি আইভি লিগ স্কুলটিতে অস্থায়ীভাবে তৈরি প্রতিবাদকারীদের ক্যাম্প ভেঙ্গে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। বিপুল সংখ্যক হেলমেটধারী পুলিশ এই অভিযানে অংশ নেয়। অভিযান চালানোর তিন ঘণ্টার মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন এবং তাদের ক্যাম্পগুলো ভেঙ্গে ফেলে পুলিশ। পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, অভিযানের সময় ফিলিস্তিনপন্থী কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
আপার ম্যানহাটনের বিক্ষোভকারীদের প্রধান ক্যাম্পে পুলিশ প্রথম অভিযান শুরু করে। এই জায়গাটি হলো সমাবেশের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ এখান থেকেই পরবর্তীতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসে পুলিশ প্রবেশ করার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোচ শফিক একটি চিঠি প্রকাশ করেন। ওই চিঠিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনা, ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বিক্ষোভকারীরা যাতে আর প্রতিবাদ ক্যাম্প তৈরি করতে না পারে তার জন্য আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করার জন্য পুলিশের প্রতি অহবান জানান।
নিউইয়র্ক পুলিশের সদস্যরা যখন একটি মইয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় তলার জানালা দিয়ে প্রশাসনিক ভবন হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করছিলেন তখন হলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা “লজ্জা, লজ্জা” বলে চিৎকার করে পুলিশকে ব্যঙ্গ করেন।
বিক্ষোভকারীরা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিনটি দাবি করেছিলো- ইসরায়েল সরকারকে সমর্থনকারী কোম্পানিগুলোকে সমর্থন দেওয়া থেকে সরে আসতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বিক্ষোভের জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধ ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করা।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট শফিক চলতি সপ্তাহে বলেছেন- কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল সরকারের অর্থ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। পরিবর্তে, তিনি গাজায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ করার এবং কলম্বিয়ার সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোকে আরও স্বচ্ছ করার প্রস্তাব দেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত তার চিঠিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট শফিক আরও বলেছেন, হ্যামিল্টন হল দখলকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাংচুর করেছে এবং অনুপ্রবেশ করছিল। প্রবেশাধিকার না থাকলেও হ্যামিলটন হলটিতে শিবিরের বিক্ষোভকারীরা অনুপ্রবেশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অগেই সতর্ক করেছিলো- প্রশাসনিক ভবন হ্যামিলটন হল দখলকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হতে পারে।
উত্তর আমেরিকা
আল্টিমেটাম উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published
3 days agoon
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যক্তিকে বর্জনের ডাক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীরা। নিউইয়র্কে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্প করে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে আসছিল।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় দুপুর ২ টার মধ্যে শিবির ছেড়ে না গেলে বরখাস্তের মুখে পড়তে হবে বলেও আলটিমেটাম দেয়া হয়।
তবে সময়সীমা শেষ হলেও শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেয়নি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কর্মকর্তাদের আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়নি।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনুশে শফিক বলেছেন, ফিলিস্তিনপস্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইভি লিগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জন্য স্থাপন করা তাঁবু শিবির উঠিয়ে নেওয়া নিয়ে নেতৃবৃন্দের কয়েকদিনের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য সহায়ক সম্পদ বর্জন করবে না। তবে গাজায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব রাখছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যানহাটন ক্যাম্পাসের শিবিরে অবস্থান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এই তিন দাবি হচ্ছে— ইসরায়েল-সংশ্লিষ্টতা বর্জন, কলম্বিয়ার অর্থায়নে স্বচ্ছতা এবং বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষমা করা।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
টিআর/
জাতীয়
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
বাংলাদেশে থাকা বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো তাদের টিকেটের ভাড়া ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে।পাশাপাশি ফ্লাইটের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। আর এতে ভোগান্তি ও আর্থিকভাবে...
সাগরে নেই মাছ, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা
গভীর সাগরে দেখা নেই মাছের। জাল ফেললেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। ফলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন কক্সবাজার উপকূলের...
গাঁজার চালান নিতে এসে দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার
কুরিয়ার সার্ভিসে আসা গাঁজার চালান ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে দেবর-ভাবিকে আটক করেছে বরগুনার আমতলী থানা পুলিশ। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ৯টায়...
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার মোটরসাইকেলসহ আরোহীকে টেনে নিয়ে...
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক...
শনিবার যেসব জেলায় স্কুল-মাদরাসা বন্ধ
তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামীকাল শনিবার (৪ মে) দেশের ২৫ জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।...
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন...
জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক
জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আজ শুক্রবার...
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
গাজীপুরে জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের ৫ টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত...
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। রেজ্যুলেশনটিতে ১১২টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার...
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৩
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে যারা
আইপিএল থেকে ফিরে ধোনির প্রতি মোস্তাফিজের কৃতজ্ঞতা
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী রিমু
সাগরে নেই মাছ, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা
ট্রেন দুর্ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজন বরখাস্ত
গাঁজার চালান নিতে এসে দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার
এবার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ7 days ago
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
- আবহাওয়া6 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
- ঢাকা3 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- টুকিটাকি4 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- অপরাধ2 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- দেশজুড়ে2 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
- খুলনা5 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
- আন্তর্জাতিক1 day ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন