সিঁধ কেটে চুরি করতে গিয়ে ধর্ষণ, চিনে ফেলায় খুন

ধর্ষণ

নোয়াখালীতে  দুই যুবকের দীর্ঘদিন ধরে গৃহবধূ সুলতানার (ছদ্মনাম) বাড়িতে চুরি করার উদ্দেশ্য ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী সিঁধ কেটে চুরি করতে ঘরে ঢোকেন তারা। ঘরে কেউ না থাকায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। তবে তাদেরকে চিনে ফেলায় ছুরিকাঘাতে সুলতানাকে হত্যা করে তারা। ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই যুবক।

অভিযুক্তরা হলেন- কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর নলুয়া গ্রামের মো. জাকের হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮) ও মো. নুরউদ্দিনের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন শান্ত (২৫)।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান, গেলো ১১ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের গোপীবল্লভপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার হন সুলতানা (৩৫)। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তিনি আরও জানান, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. নিজাম উদ্দিন শান্ত নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তারা দুজনই পেশায় রিকশাচালক। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ্ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শহীদুল ইসলাম বলেন, আসামিদের মূল উদ্দ্যেশ্য ছিল চুরি করা। কিন্তু সুযোগ পেয়ে তারা ধর্ষণ করেছে এবং হত্যা করেছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি, গৃহবধূর নুপুর, কানের দুল ও মোবাইল উদ্ধার করেছি।

তিনি আরও বলেন, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য আমরা উন্মোচন করেছি। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলমান আছে। আমরা বের করার চেষ্টা করব মামলায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা। জড়িত থাকলে তাদেরও আমরা গ্রেপ্তার করব এবং খুব দ্রুত চার্জশিট জমা দেব।

Recommended For You

Leave a Reply