লাইফস্টাইল
যে সব খাবার ত্বক উজ্জ্বল করে
মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়! কিন্তু অনেক সময় নিয়মিত যত্ন আর নামি-দামি কসমেটিকস ব্যবহারের পরও ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক থাকে না। ত্বক ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম আর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভীষণভাবে জড়িত।
কিছু খাবার আছে যা খেলে প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে। এগুলো হলো,
পানি
সুন্দর ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেলে ত্বকের কোমলতা, উজ্জ্বলভাব বৃদ্ধি পায়। ত্বকে পানির পরিমাণ কমে গেলে ব্রণসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে ২ লিটার পানি পান করা উচিত।
গ্রিন টি
গ্রিন টি শুধু স্বাস্থ্য রক্ষায়ই নয় বরং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও দারুণ কার্যকর। এ কারণে এখন শুধু পানীয় হিসেবে নয়, এটি ব্যবহার হচ্ছে রূপচর্চার সামগ্রী হিসেবেও। গ্রিন টি-তে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, নানাবিধ এনজাইম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-সহ বেশকিছু উপাদান। যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে গ্রিন টি। এ ছাড়া ত্বকের দাগ–ছোপ, কাটা দাগ, লালচে ভাব কমাতেও এটি সাহায্য করে।
টমেটো
ত্বকের যত্নে টমেটো ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুণ সহায়ক। টমেটোতে ‘লাইসোপিন’ নামক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা ও শুষ্কভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ করে। এটি সানস্ক্রিন হিসেবেও দারুণ কার্যকর।
গাজর
নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক হবে সজীব ও উজ্জ্বল। গাজর ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তাছাড়া গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন-এ তে পরিণত হয়। ভিটামিন-এ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
বাদাম
বাদামে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন-ই। খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখলে এর পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বককে আরও সজীব ও লাবণ্যময় করে তুলবে।
কলা
ত্বক ভালো রাখার জন্য কলা অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন-এ, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকের মলিনতা দূর করতেও কার্যকর।
ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ
মাছের চর্বি শরীরের জন্য খারাপ নয়। যেসব মাছে ফ্যাটি এসিড (ওমেগা-৩) আছে নিয়মিত এ ধরনের মাছ খাদ্য তালিকায় রাখলে ত্বকের উপকার হবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে প্রাকৃতিক তেল আছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
নিয়মিত নাশপাতি, বাদাম ও মটরশুঁটি খেলে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে অনেকখানি।
সবুজ শাকসবজি
সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। রান্না করা সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসেবে কাঁচা সবজিও ত্বকের জন্য উপকারী।
পরামর্শ
কানের ব্যথায় কমবে ঘরোয়া উপায়েই, রইল সহজ টিপস
কানের ব্যথা বড় কষ্ট দেয়। অল্প ঠান্ডা লাগলে, সামান্য বৃষ্টি হলে অথবা সর্দি-কাশিতে কফ জমলে কানে ব্যথা হবেই। অনেকেই ইয়ার বাড দিয়ে কানে খোঁচাখুঁচি করেন, তখনও ব্যথা হয়। কান থেকে ব্যথা মাথায় ছড়ায়। কানের যন্ত্রণায় যদি কষ্ট পান তাহলে চিন্তা নেই। উপায় আছে হাতের কাছেই। জেন নিন ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।
১. গরম সেঁক- কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথাতেও আরাম পাওয়া যায়। কান থেকে পুঁজ বেরোতে দেখলে গরম সেঁক নিন। তাতে কানের ভেতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথার বোধও কম হবে। গরমজলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর যে কানে ব্যথা, তার উপরে ভেজা কাপড়টা দিয়ে মিনিট দুই রাখুন। এর পর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন।
২. অলিভ তেল- কানে ব্যথা সারাতে ভাল কাজ করে অলিভ অয়েল। কানে ব্যথা করলে তিন থেকে চার ফোঁটা অলিভ ঢেলে দিন। অথবা অলিভ অয়েলে কটন বাড ভিজিয়ে কানের ফুটোয় চেপে রাখুন।
৩. রসুনের তেল- অল্প অলিভ তেলে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে তা সংক্রমিত কানে দু’তিন ফোঁটা দিন। বারকয়েক এমন করলে একটু আরাম পাবেন।
৪. আদার রস- আদা থেঁতো করে রস বের করে কানে ঢেলে দিন। সংক্রমণ কমবে। আরাম পাবেন। অথবা দুই টেবিল চামচ অলিভ তেলের সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। এই তেল কানে দিন।
৫. তুলসির রস- কয়েকটা তুলসি পাতা বেটে রস বের করে নিন। এই রস তিন থেকে চার ফোঁটা কানে ঢালুন। দিনে দু’বার করলেই ব্যথা অনেক কমে যাবে।
৬. পুদিনা পাতার রস- পুদিনা পাতার রস ড্রপারে করে নিয়ে কানে দিতে পারেন। অথবা পেপারমিন্ট অয়েল তুলোয় ভিজিয়ে কানের চারপাশে লাগান।
তবে সব টোটকা সকলের জন্য কার্যকরী না-ও হতে পারে। কোনও কিছু ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া ভাল। কানে যদি একটানা যন্ত্রণা হতে থাকে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জেএইচ
রেসিপি
লাউ দিয়ে মুরগির মাংস, জেনে নিন রেসিপি
গরমের এই সময়েও তো একটু ভালো-মন্দ খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু শুধু জিভের কথা ভাবলেই তো আর হলো না, পেটের খেয়ালও রাখতে হবে। তাহলে উপায়? একটু মুরগীর মাংস কী খাবেন না? হ্যাঁ, পেপে দিয়ে পাতলা ঝোল করতেই পারেন। কিন্তু সেই একঘেয়ে রান্না। একটু স্বাদবদল করুন। এবার একদিন লাউ দিয়ে মুরগীর মাংস রান্না করে ফেলুন। শুনতে আজব লাগলেও খেতে কিন্তু দারুণ। আবার পেটও থাকবে ঠান্ডা।
যা যা লাগবে
বড় বড় করে কাটা লাউ
হাড়-সহ মুরগির মাংস
তেল
পিঁয়াজ কুচি
লবণ
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদ গুঁড়ো
মরিচ গুঁড়ো
ধনে গুঁড়ো
ভাজা জিরের গুঁড়ো
তেজপাতা
গরম মশলা
কাঁচা লঙ্কা
ধনেপাতা
যেভাবে রান্না করবেন
প্রথমেই লাউ কিউব করে কেটে ফেলবেন। মাংসের সঙ্গে যখন দিচ্ছেন, একটু বড় টুকরো করবেন। কেউ খোসা সুদ্ধ লাউ পছন্দ করেন, কারও আবার খোসা ছাড়িয়ে নেয়া লাউ পছন্দ। আপনার যেমন ভালো লাগে সেভাবে কেটে নেবেন। তা ধুয়ে এক সাইডে রেখে দিন। এবার কড়াই নিয়ে নিন। তাতে তেল গরম করে দিয়ে দিন কুচো করে কাটা পিঁয়াজ। দুটো তেজপাতাও দিয়ে দেবেন। এবারে আদা বাটা, রসুন বাটা, গরম মসলা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো আর নুন দিয়ে কষাতে থাকুন। টেস্ট ব্যালান্স করতে খুবই সামান্য চিনি দিতে পারেন।
একটা সময় কষা মশলা থেকে তেল বেরিয়ে আসতে থাকবে। আগে থেকে ধুয়ে রাখা মাংস দিয়ে দিন। একটু একটু করে ঢাকা দিয়ে কষাতে থাকুন। প্রয়োজনে একটু পানি দিতে পারেন। মাংস খুব বেশি শুকোতে শুরু করলে লাউয়ের টুকরোগুলো ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। এবারে মিনিট ১০-১৫ ঢাকা দিয়ে রাখুন। লাউ সিদ্ধ হবে আবার পানিও ছাড়বে। এবার তরকারির অবস্থা বুঝে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিন। ফুটতে দিন প্রায় ১৫ মিনিট। নামানোর ঠিক আগে বা আঁচ বন্ধ করে ফুটন্ত তরকারির উপর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। তার পর গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
জেএইচ
পরামর্শ
যে কৌশলগুলি মেনে চললে খাবারের অপচয় বন্ধ করা যাবে
অনেক বাড়িতেই খাবার প্রায়ই নষ্ট হয়। রান্না করার খাবার ছাড়াও অনেক সময় প্যাকেটজাত শুকনো খাবারও ফেলা যায়। অথচ খাদ্যের অপচয় রুখতে গোটা বিশ্বে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাই অকারণে খাবার যাতে অপচয় না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিকল্পনা। একটু পরিকল্পনামাফিক কেনাকাটা এবং রান্না করলে খাবার কম নষ্ট হবে।
প্রয়োজন বুঝে কিনুন
যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই খাদ্যসামগ্রী কিনুন। দরকার হতে পারে ভেবে একসঙ্গে কিনে রেখে লাভ নেই। তাতে জিনিসপত্র বেশি নষ্ট হবে। অনেক সময় খাবারের মেয়াদ ফুরিয়ে শেষ হয়ে যায়। তখন ফেলে দেয়া ছা়ড়া উপায় নেই। রান্নার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানতে হবে। বেশি করে রান্না করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মতো রান্না করুন।
পুরনো শেষ করে, নতুনে হাত দিন
মাসের শুরুতে নতুন মাসকাবারি জিনিসপত্র আসে। কিন্তু তখনও অনেক সময় পুরনো খাবারদাবার শেষ হয় না। সেগুলি আগে শেষ করে, তবেই নতুন প্যাকেট খুলুন। না হলে আগের কেনা খাবারগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হবে।
ধাপে ধাপে জিনিস কিনুন
শাকসব্জি হোক কিংবা মাছ-মাংস, কিংবা প্যাকেটজাত খাবার- সব কিছুই অল্প অল্প করে কিনুন। একসঙ্গে কিনে রাখা মানেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেটা করবেন না। কাঁচা শাকসব্জি, মাছ-মাংস ২-৩ দিনের বেশি মজুত করে রাখবেন না। দরকার পড়লে তখন আবার কিনে আনুন।
মৌসুমী খাবার খান
মৌসুম অনুযায়ী বাজারের চিত্রটি বদলে যায়। নানা রকম মৌসুমী ফল এবং সবজিতে বাজার ভরে ওঠে। সঙ্গে সারা বছর পাওয়া যায়, এমন অনেক জিনিসও থাকে। আবার নানা বিদেশি ফল, সবজিও দেখা মেলে। চেষ্টা করুন মৌসুমী খাবার খাওয়ার। তাতে খানিকটা সাশ্রয়ও হবে। আবার খাবার কিনলে বেশি দিন রাখলেও নষ্ট হবে না।
জেএইচ
- বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
- ঢালিউড5 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
- বলিউড5 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
- বলিউড2 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
- বলিউড5 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
- অপরাধ7 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
- আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- বলিউড2 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন