Connect with us

জাতীয়

বিমানবহরে আসছে নতুন ১০ অত্যাধুনিক এয়ারবাস

Avatar of author

Published

on

অত্যাধুনিক এয়ারবাস

বোয়িংয়ের পর এবার বিমানবহরে যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন ১০টি অত্যাধুনিক এয়ারবাস। আজ বুধবার (৩ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্যদ সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিমানের জন্য নতুন ১০টি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ ক্রয় করার ব্যাপারে আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িংয়ের পর এবার আরেক জায়ান্ট ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির কাছ থেকে এ ১০টি উড়োজাহাজ ক্রয় করা হবে। বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। তিনি সম্মতি দিলে এয়ারবাস ও বিমানের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই এ স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজীম গণমাধ্যমকে বলেন, বিমানবহর ঢেলে সাজানোর বিষয়টি নীতিগতভাবে চূড়ান্ত করেছে সরকার। জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি নতুন রুট চালু করা হবে দ্রততম সময়ের মধ্যে। এজন্য বহরে নতুন বিমান দরকার।

তিনি বলেন, এয়ারবাস কোম্পানির কাছ থেকে নতুন ১০টি উড়োজাহাজ ক্রয়ের বিষয়টি সরকার নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে। সব উড়োজাহাজ হবে যাত্রীবাহী। এজন্য পরিচালনা পর্যদের সদস্যদের নিয়ে একটি সাব-কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আজকের পর্ষদ সভায় এ নিয়ে আলোচনা হবে। পর্যদে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি এয়ারক্রাফটের দরদাম নিয়ে এয়ারবাসের সঙ্গে আলোচনা করবে।

Advertisement

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর আগে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ১০টি নতুন অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ ক্রয় করে। এজন্য বোয়িংয়ের সঙ্গে ২০০৮ সালে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে সব এয়ারক্রাফট বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তির পর দীর্ঘ ১৫ বছর আর কোনো নতুন উড়োজাহাজ আনার চুক্তি করা হয়নি। অথচ দিনদিন যাত্রীর সঙ্গে উড়োজাহাজের চাহিদাও বাড়ছে। দীর্ঘদিন বিমান ম্যানেজমেন্ট বেশকিছু আন্তর্জাতিক গন্তব্য বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালালেও উড়োজাহাজ সংকটে সেটা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। ১০টি নতুন প্লেন যুক্ত হলে সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১টি।

বিমান এমডি শফিউল আজীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বিমান। সরকারের দেয়া বিমানবাহিনীর একটি ডিসি-৩ এয়ারক্রাফটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এর যাত্রা। ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেটে এবং ৯ মার্চ যশোরে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে আকাশে উড়ে বিমান।

এভাবেই শুরু হয়েছিল বিমানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। এরপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি ঐতিহ্যের এ ধারকটিকে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের তিন দিন আগে অর্থাৎ ৪ মার্চ ১৭৯ জন যাত্রীকে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার মাধ্যমে বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সম্পন্ন হয়।

Advertisement

আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহণের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সেবাও দিয়ে থাকে বিমান। বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশের সঙ্গে এর আকাশসেবার চুক্তি থাকলেও মাত্র ১৬টি দেশে এখন কার্যক্রম বিদ্যমান।

দেশের জাতীয় পতাকাবাহী এই সংস্থাটি প্রধানত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীরা যে কয়দিন ছুটি পাবেন

Published

on

ঈদ কাছে আসার সাথে সাথে ছুটির হিসাব-নিকাশও করতে থাকেন প্রায় সবাই। চলতি বছর কোরবানির ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর মধ্যে ৩ দিন ঈদের ছুটি ও বাকি ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি।

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে সোমবার (১৭ জুন) দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হতে পারে। এ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারি ছুটির তালিকা। ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদের আগের দিন ১৬ জুন (রোববার) থেকে কোরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত।

এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মুসলমানদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ অন্যতম। রোজার ঈদ তথা ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত তিন দিন চলে ঈদুল আজহা।

এবার ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ কিংবা ১৭ তারিখে। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের ১৬ তারিখে দেশটিতে পালিত হবে কোরবানির ঈদ।

Advertisement

উল্লেখ্য, সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয় বাংলাদেশে। সেই হিসাবে দেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এই তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় গাফলতি যারই তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিনীন গাড়ি, চলন্ত অবস্থায় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিকেও সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় চালক, মালিক, হেলপার যারই গাফলতি থাকবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।

শনিবার (১১ মে) সকালে রাজধানীর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির হলরুমে নিরাপদ সড়ক চাই ১০তম মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  দুর্ঘটনায় প্রতিদিন সড়কে কমপক্ষে ১৪ জন প্রাণ হারাচ্ছেন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের ১৭টি নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।

একইসাথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক যাত্রীসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সম্পদের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখেই উন্নয়ন সচল রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

সম্পদের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে কীভাবে উন্নয়ন সচল রাখা যায় সেদিকে প্রকৌশলীদের লক্ষ্য রাখতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১১ মে) সকালে দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে পরিকল্পনা প্রহণ করা হোক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই হয়। খরচের দিকটাও বিবেচনা নিতে হবে। কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সে পরিকল্পনা থেকে রিটার্ন কি আসবে, জনগণ কীভাবে উপকৃত হবে, এভাবেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র একটা নির্মাণ কাজ করার জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, সেটাই আমার অনুরোধ। সেটার জন্য আমি আমার পার্টির এমপিদেরও নির্দেশনা দিয়েছি। একনেকের মিটিংয়েও বলেছি। এরকম কোনো প্রকল্প দেখলে অবশ্যই আমি সেটা অনুমোদন করবো না।

Advertisement

তিনি বলেন, যেটা আমাদের মানুষের কাজে লাগবে, দেশের কাজে লাগবে, যে প্রকল্প শেষ করলে মানুষ লাভবান হবে, আমাদের কিছু উপার্জন হবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই। সেটাই পরিকল্পনা করবেন আপনাদের কাছে আমি এটাই চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতা দখল করেছিল, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল’ জারি করেছিল, তাদের আমলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতিবছর ছিল মাইনাস। ১৯৯১ সালে এসে দেখা গেল যে মাত্র ৬ ডলার বেড়েছিল। ৭৬ সাল থেকে একানব্বই সাল এই দীর্ঘ সময় মাত্র ছয় ডলার বাড়ে। এই ছিল বাংলাদেশের অবস্থা।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত