Connect with us

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান সেনাবাহিনী একাত্তরেও নৃশংসতা চালিয়েছিল: ইমরান

Avatar of author

Published

on

ইমরান খান

জামিনে মুক্ত হওয়ার পরদিনই জাতির উদ্দেশে ভাষণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটির সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৭১ সালে নৃশংসতা চালিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

রোববার (১৪ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দ্য ডন’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১৩ মে) লাহোরের বাসভবন থেকে দলের নেতাকর্মী ও জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের এই সংকটময় সময়ে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত। পূর্ব পাকিস্তানেও একই ঘটনা ঘটেছিল, মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত ছিল। শুধু পার্থক্য হলো, আজ আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া আছে। কিন্তু এমনকি তাও ব্লক করা হয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যে নৃশংসতার শিকার হয়েছিল, তা আজ আমাদের বুঝতে হবে।

ইমরানের এ ভাষণ দেশটির টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের সময় ভাঙচুর, সহিংসতার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এতে তার দলের নেতাকর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি রাষ্ট্রীয় ভবন পোড়ানো এবং নিরস্ত্র যুবক বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোরও স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি, তার অধীনে একটি প্যানেল তৈরির আহ্বান জানান।

Advertisement

ইমরান বলেন, পাকিস্তানে গণতন্ত্র সুতোয় ঝুলে থাকে এবং একমাত্র বিচার বিভাগই তা বাঁচাতে পারে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই মাফিয়ারা বিচার বিভাগের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাই আমি প্রথমে জাতিকে আমাদের বিচার বিভাগ ও সংবিধানের পাশে দাঁড়াতে বলছি।

সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে বলপ্রয়োগ করে কারাগারে ঢোকানো যায় না। আইএসপিআরের মহাপরিচালকের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘আইএসপিআর সাহেব, আমি জেলে থাকাকালে আপনি কিছু বক্তব্য দিয়েছিলেন। আমি তার জবাব দিতে চাই। আপনি বলেছেন, আমি একজন ভণ্ড, আমি যতটা করেছি সেনাবাহিনীর আর কেউ ক্ষতি করেনি।’

জবাবে ইমরান বলেন, আইএসপিআরের মহাপরিচালক সাহেব, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আমি যখন সারাবিশ্বে আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, তখন আপনার জন্মও হয়নি … আমি সব ফোরামে আমার সেনাবাহিনীকে রক্ষা করেছি।’

এদিকে পিটিআইর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল বলেছেন, তিনি সহিংস বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নাশকতা এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের কলঙ্কজনক ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এজন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, গোয়েন্দা তথ্যসহ সর্বশক্তি মোতায়েন করা হচ্ছে। এই লোকদের বিচারের আওতায় আনা সরকারের জন্য একটি পরীক্ষা। তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে বিচার করা হবে।

Advertisement

এদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনিরও কঠোর বার্তা দিয়েছেন। ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর সহিংসতার কারণে দিনটিকে তিনি ‘কালো দিবস’ বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, এ দিবসের সব পরিকল্পনাকারী, উস্কানিদাতা এবং ভাঙচুরকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

পিটিআই কর্মীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পেশোয়ারের কর্পস হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনকালে তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী তার স্থাপনার পবিত্রতা ও নিরাপত্তা লঙ্ঘন বা ভাঙচুরের আর কোনো প্রচেষ্টা বরদাশত করবে না।

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

এশিয়া

আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৮

Published

on

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবাকাশী শহরের কাছে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) তামিলনাড়ু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি তৈরির ওই কারখানার বৈধ লাইসেন্স ছিল। কী কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে এরইমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ

Published

on

ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় ইউএনআরডব্লিউএ।

সংস্থাটি জানায়, পূর্ব রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য সরে যাওয়ার আদেশ জারি করার একদিন পর গত ৬ মে থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর জেরে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি রাফাহ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এতে গাজা উপত্যকায় মানুষ আরেকটি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সম্মুখীন হচ্ছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, বাস্তুচ্যুত এই পরিবারগুলোর ক্ষতি অসহনীয়। তাদের যাওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায়  এখন যুদ্ধবিরতি দরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানায়,গেলো ৬ মে রাত থেকে শহরের অন্তত ৫০ জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর সেটাকে উপযুক্ত নয় বলে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু সরকার। একই সঙ্গে ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এর অংশ হিসেবে ৮ মে মিশরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং- গাজায় প্রবেশের একমাত্র দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে ব্রাজিল, নিহত বেড়ে ১০০

Published

on

ভয়াবহ

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০ জনে পৌঁছেছে। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। স্থানীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ব্রাজিলের রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের প্রায় ৪০০ পৌরসভা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যার কারণে কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্যের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ব্রাজিলের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা বিভাগ জানিয়েছে, রাজ্যের দক্ষিণাংশ আরও বন্যার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক স্থানেই বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া বহু বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বন্যার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া রাস্তাঘাট ভেসে গেছে এবং বেশ কিছু সেতু ভেঙে পড়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে।

গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্যাকবলিত অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। এই বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন তিনি।

Advertisement

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সিসকো এলিসেউ অ্যাকুইনো বলেছেন, বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন এবং আবহাওয়ার এল নিনো পরিস্থিতির ‘বিপর্যয়কর মিশ্রণের’ ফলাফল ছিল ব্রাজিলে আঘাত হানা সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ঝড়।

দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশটি সম্প্রতি বেশ কয়েকবার প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

অ্যাকুইনো বলেছেন, ভৌগোলিক কারণে অঞ্চলটি প্রায়শই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং মেরু বায়ুর সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব ঘটনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ হাজার সেনাসদস্য, দমকলকর্মী, পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত