এশিয়া
ঝুলে আছে এরদোয়ানের ভাগ্য, দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে তুরস্ক
Published
12 months agoon
By
বায়ান্ন প্রতিবেদনতুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোন পক্ষই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে দেশটিকে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে যেতে হচ্ছে।
তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল বা প্রধান নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় সব ভোটই গণনা করা শেষ হয়েছে এবং এরদোয়ান ৪৯.৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪.৭৯ শতাংশ ভোট।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে নির্বাচন রান অফ বা দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির গত একশ’ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াচ্ছে।
এদিকে দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িফ এরদোগানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬শ’ এমপি নির্বাচনেও ভোট গ্রহণ হয়েছে। এরদোগানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।
এদিকে আঙ্কারায় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোয়ান (৬৯) বলেছেন, জনগণ যদি দ্বিতীয় দফার কথা বলে তবে আমরা তাতে অংশ নেবো এবং জয়ী হবো।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার শপথ নিয়েছেন মি. কামাল কিলিচদারোগলু (৭৪)। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কে কিছু দিন আগে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে। এছাড়া দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির কারনে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
ন্যটোভুক্ত তুরস্কে এ প্রেক্ষাপটেই রোববারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যরা যা পড়ছেন
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর প্রায় ৬ মাস পর নিষেধাজ্ঞা জারির পর অবশেষে তা তুলে নিলো ভারত। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।
ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গেলো বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে— সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।
বিস্তারিত আসছে…
টিআর/
গাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘বাধাহীন ও যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ প্রবাহ’ অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ বহাল থাকবে।
এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে যে এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।
দেশ দুটির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘স্বৈরশাসক’ এর মতো আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎয বলেন, এরদোয়ান ‘তুরস্কের জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সমঝোতাকে উপেক্ষা করেছেন’।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে তুরস্কের সাথে বাণিজ্যের বিকল্প সন্ধান করতে যাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানিতে জোর দেয়া হবে।
১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরায়েলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরায়েলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে দশজন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি অধিকারকর্মী নিহত হবার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিলো।
পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দুই বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গেলো সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।
তিনি বলেছেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা ‘হিটলার যা করেছিলো তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়’।
জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এরদোয়ান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন’।
গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে এগার লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিলো এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে পিয়ার নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েকদিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
ভাসমান ওই পিয়ারে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিলো।
যদিও জাতিসংঘ বলেছে সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।
এর আগ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারংবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরায়েল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে। তবে জর্ডান বলেছে তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বিবিসিকে বলেছেন যে এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরায়েল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে।
জেএইচ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময় নিশ্চিত করতে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। সম্প্রতি ওই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-মায়েদিনের কাছে পৌঁছেছে।
এরই ভিক্তিতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাবে মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র জিম্মি ও বন্দীদের বিনিময়ের কথা বলা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ি, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে চলে যাবে। এসময় দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ইসরায়েলি সামরিক বা বেসামরিক বিমান গাজার আকাশে উড়বে না। বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের দিন অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।
প্রথম ধাপের ৭ম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-রশীদ স্ট্রিট থেকে আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।
প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস তাদের হাতে জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলি একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে। আর এই মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না মর্মে ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে ইসরায়েল।
খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং পরবর্তীতে প্রতি তিন দিন পরপর ৩ জন করে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।
এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস যোদ্ধাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা। প্রথম ধাপের ১৬ তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করবে।
প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, নিজ ভূমিতে বাস্তুচ্যুত হওয়াদের জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে ওই খসড়া চুক্তিতে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঐক্যমতে পৌঁছবে। এছাড়া, এই ধাপে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়াসহ তা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।
তৃতীয় ধাপের মেয়াদও হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত হামাস যোদ্ধা বা ইসরায়েলি সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এসময় ফিলিস্তিনের হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়।
তৃতীয় ধাপে চলার সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন বা পক্ষগুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করতে পারবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথিতে জানা গেছে, এই চুক্তির গ্যারান্টার বা নিশ্চয়তাদানকারী হচ্ছে- কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এমআর
জাতীয়
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
এক শিক্ষিকা দেরি করে স্কুলে আসার দায়ে তাকে ঘুষি মেরেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। এ ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল...
দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৪ প্রাণ, আহত ১১ জন
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একইদিনে গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শনিবার...
জাল দলিলে ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ
অভিনব কৌশলে একই ফ্ল্যাট একাধিক ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে লোনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। বিষয়টি এতদিন...
উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার...
বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের...
মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ...
বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়ায় বেড়ে যায় খাবার ওরস্যালাইনের চাহিদা। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধুচক্র কারখানা স্থাপন...
বাড়ছে ট্রেনভাড়া, কোন রুটে কত জেনে নিন
ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম...
ট্রেন দুর্ঘটনা: শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়
গাজীপুরে তেলবাহী ট্রেন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় রাতভর চলেছে অভিযান। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ।...
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...
এক দশকের মধ্যে বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন
দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেয়ায় স্ত্রীকে পেটানোর অভিযোগ
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে ব্যালন ডি’অর পাবে ভিনিসিয়াস!
চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব সিপিডি’র
‘রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক’
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস
দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৪ প্রাণ, আহত ১১ জন
ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী
দস্যুর মতো ক্ষমতায় বসে আছে সরকার: রিজভী
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- আবহাওয়া7 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
- ঢাকা4 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- অপরাধ3 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- টুকিটাকি5 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- আন্তর্জাতিক2 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- দেশজুড়ে3 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
- খুলনা6 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
- তথ্য-প্রযুক্তি1 day ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন