Connect with us

কৃষি

দেশের আবাদি-অনাবাদি জমির পরিমাণ জানালেন কৃষিমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

দেশের আবাদযোগ্য জমি ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ২৬৬ হেক্টর এবং আবাদযোগ্য অনাবাদি জমির পরিমাণ ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৫১ একর বা ৯১ হাজার ২৭৭ হেক্টর। জানালেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার সংসদে সরকারি দলের সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি ।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল উপজেলায় বসতবাড়ির অনাবাদি ও পতিত জমিতে তিন ধরনের প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ যাবৎ- ২ লাখ ৫২ হাজার ৯৬টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন, ৩ হাজার ৯৩১টি ছায়াযুক্ত স্থানে আদা/হলুদ চাষ প্রদর্শনী স্থাপন এবং স্যাঁতসেঁতে জমিতে ৩ হাজার ৯২৬টি কচু জাতীয় সবজি চাষ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৩টি প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ফলে দেশের বসতবাড়ির প্রায় ১৬৯০.৪৪ হেক্টর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় এসেছে।

তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত সহিষ্ণু জাত ব্রি ধান-৭৩, ব্রি ধান-৯৭, ব্রি ধান-৯৯, বিনা ধান-৮, বিনা ধান-১০, বন্যাপ্রবণ এলাকায় জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ব্রি ধান-৮৫ এবং হাওড় এলাকায় ব্রি ধান-৮৪, ব্রি ধান ২ সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সহিষ্ণু জাত চাষ করে আবাদ এলাকা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

Advertisement

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত/পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে, যেমন-বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের ১১০ একর পতিত জমি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১,১৭৩.২২ একর এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ৭৭.৫৩ একর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (২০১২-২০২৬) এর আওতায় ৫ বছরে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রকল্প ও জেলা প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

কৃষি

রেমালে ক্ষতি পৌনে ২ লাখ হেক্টর ফসলি জমি

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত ও অতিবৃষ্টিতে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে ৭ থেকে ৮ দিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি, ১০ হাজার ৮৪৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ২১ হাজার ৪৩৪ হেক্টর আউশের জমি, ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির বোরো ধান, ৪ হাজার ৮২৬ হেক্টর জমির বোনা আমন, ২৯ হাজারের হেক্টরের বেশি জমির পাট। এ ছাড়া তিল ও মরিচেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। আর ৭ হাজারের হেক্টরের বেশি জমির পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফলের মধ্যে আমের জমি ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর, লিচুর ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর এবং ৭ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমির কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অধিদপ্তর আরও জানায়, ৪৮টি জেলায় রেমালের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল,খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩টি জেলা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গেলো ২৬ মে উপকূলে আঘাত হানে তীব্র ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এতে নিহত হন ২১ জন মানুষ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেবো না : কৃষিমন্ত্রী

Published

on

রাজশাহীতে আমের ফলন এবার কম হয়েছে, সে কারণে দাম বাড়বে। তাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেব না। বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশের আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। এজন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আর এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে।

এ সময় সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম পচনশীল পণ্য। তাই মৌসুমে একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরা আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবো। তবে এর জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।

Advertisement

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

কৃষি

সাত হাজার কোটি টাকার ধান-চাল কিনবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

Published

on

খাদ্যমন্ত্রী

চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ধান ও চাল ক্রয় করবে সরকার। এর মধ্যে ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল এক লাখ টন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানালেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকা। আর ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৫ টাকা।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত হাওড়ে ৯৮ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চল ১০ ভাগ এবং সব মিলেয়ে ৬৬ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে কোনো কৃষক অপমানিত হলে, হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, চালের বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা শুরু হয়েছে। মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা যত দ্রুত জাতের নাম লিখবে তত ভালো। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত