Connect with us

জনদুর্ভোগ

ধেয়ে আসছে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ

Published

on

চলতি মাসেই বড় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস– সঙ্গে আরও দুইটি মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহও হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকবে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রায়ও কোনো পরিবর্তন আসবে না। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তবে বাড়তি পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন আসবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী চলতি মাসেই ছোট বড় মিলিয়ে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। তারমধ্যে একটি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। তবে, এ মাসে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একেবারেই কম।

এছাড়া এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলসহ নদ-নদীর অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এই ঘন কুয়াশা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে বলে দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্য হলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। রোববার দেশের দিন রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি দেখা গেছে ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জে। ফলে এসব এলাকায় শীতের মাত্রা বেশি অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

Advertisement

তাসনিয়া রহমান

Advertisement

জনদুর্ভোগ

টানা ২০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন তিন উপজেলা

Published

on

কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়ন দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রাতে যানবাহনে চার্জ দিতে না পারায় আজ দিনে যাত্রী পরিবহন করতে পারেননি অটোরিকশা চালকেরা। এ ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ও হাসপাতালগুলোতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টা থেকে আজ শুক্রবার (১০ মে) রাত ৮টা পর্যন্ত অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বজ্রপাতের সময় কিশোরগঞ্জ গ্রিডের পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। এরপর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ৩৩ কেভি সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহের পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার (পিটি) বজ্রপাতে পুড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে হাওরের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মোট ২৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মিঠামইন পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কম) প্রকৌশলী দেবাশীষ কুমার তালুকদার প্রান্ত গণমাধ্যমে বলেন, গেলো রাতে কিশোরগঞ্জ গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও কর্মীরা কাজ করছেন। বিকল্প উপায়ে তিনটি সদর ফিডার চালু করেছি। এতে অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

সাগরে নেই মাছ, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা

Published

on

গভীর সাগরে দেখা নেই মাছের। জাল ফেললেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। ফলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। তীব্র দাবদাহে সাগরে মাছ না পেয়ে তাদের উপকূলে ফিরতে হচ্ছে। আর মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসানে জর্জরিত হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায়েও ধস নেমেছে। বেকার হয়ে পড়তে পারে প্রায় ৬৫ হাজার জেলে। বেকায়দায় পড়েছেন পাঁচ শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে দেখা যায় একের পর এক প্রায় মাছশূন্য সাগর থেকে উপকূলে ফিরছে। ঘাটে ভিড়লেও মেলে না মাছ উঠানামা দৃশ্য। বাঁকখালী নদীতে নোঙর করা রয়েছে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার। প্রতিদিন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৩০ থেকে ৫০ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ বেচাকেনা হতো। অথচ সেখানে এখন পল্টুন অনেকটা মাছশূন্য। বেকার হয়ে সময় পার করছেন মৎস্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

ট্রলার মালিকদের দাবি, তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি সাগরে ট্রলিং জাহাজের দৌরাত্ম্যে সাগরে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বলছে, মাছের আকালের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসানে জর্জরিত হওয়ায় রাজস্ব আদায়েও ধস নেমেছে।

এদিকে, তীব্র গরমের কারণে যেমন সাগরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না, তেমনি ট্রলিং জাহাজের কারণে সাগর মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। যেভাবে ট্রলিং জাহাজের ব্যবহার বেড়েছে সেক্ষেত্রে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়বে সাগর, এমন আশঙ্কা করছেন ট্রলার মালিকরা। কক্সবাজারে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। আর নিবন্ধিত নৌযান রয়েছে ৬ হাজারের মতো।

দেখা যায়, কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর উপকূলে নোঙর করেছে এফবি পায়েলমনি নামে একটি ট্রলার। দুশ্চিন্তার যেনো শেষ নেই ফিরে আসা মাঝি মাল্লা রমজান, শাহজান ও সাহেদের। গত এক মাসে ২ বার ১০ লাখ টাকা খরচ করে তারাসহ ২২ জেলে নিয়ে গিয়েছিলো সাগরে। কিন্তু সাগরে ধরা পড়েনি ইলিশসহ কোনো মাছ। ফলে লোকসানের কারণে ট্রলার মালিক আর সাগরে মাছ শিকারে তাদের পাঠাচ্ছেন না। এখন কীভাবে তাদের সংসার চলবে তা নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।

Advertisement

তারা বলছেন, দুশ্চিন্তা যেন পিছুই ছাড়ছে না। সাগরে গিয়ে ১০ দিন জাল ফেলেও মাছ মেলেনি।

আরেক জেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছি ১৫ জন জেলে। কিন্তু ১১ দিন সাগরে জাল ফেলে অল্প কিছু মাছ পেয়েছি। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করে পেয়েছি মাত্র ৬০ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ট্রলার মালিকের লোকসান প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন ট্রলার মালিক আর সাগরে মাছ শিকারে পাঠাচ্ছে না। তাই বেকার হয়ে পড়েছি।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য জানান, গেল বছর এ সময় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন সেখানে খুবই কম টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে প্রায় ৪০ শতাংশ মাছ বিক্রি হচ্ছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কাওছার, সন্তানকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

Published

on

দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ছোট্ট শিশু কাওছার আলী। শিশুটির জন্মের সময় বাবা নুর আলম ও মা কাকলী বেগমের আনন্দের সীমা না থাকলেও বর্তমানে কাওছার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আড়াই বছরের ফুটফুটে শিশুটির হার্টে বড় সমস্যা ধরা পড়েছে। প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কাওছার। বর্তমানে শিশুটি ইবনে সিনা পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টারে অধ্যাপক ডা. কাজী আবুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসক বলেছেন, তার হার্টে পাঁচটি ছিদ্র রয়েছে। দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে না পেরে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মা-বাবা।

কাওছার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের শুকদেব কুণ্ড গ্রামের নুর আলমের ছেলে। তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সে।

শিশুটির বাবা নুর আলম বলেন, আমি গরিব মানুষ। জমি বলতে চার শতক বসতভিটা। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। জন্মের পর থেকে কাওছার অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে রিকশাটি বিক্রি করেছি। একটি এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। বর্তমানে সংসারের খরচ, এনজিওর কিস্তি তার ওপর সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। এমনও দিন যায় না খেয়েই থাকতে হয়। আমরা না খেয়ে থাকতে পারলেও সন্তানরা তো থাকতে পারে না। তাদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না।

এভাবে বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন নুর আলম। এমন পরিস্থিতিতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে পরিবারটি। ছোট সন্তান কাওছারের চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন নুর আলম। কাওছারকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-অগ্রণী ব্যাংক, উলিপুর শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ৬২০০০২২০৮৫৬০৯, বিকাশ নম্বর-০১৮৮৯১৭৮৯৫৮।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত