Connect with us

ঢাকা

পদ্মায় ৪৭টি গরুসহ ট্রলারডুবি, উদ্ধার ১৯টি

Avatar of author

Published

on

পদ্মা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে ৪৭টি গরুসহ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৪ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সুত্রকান্দি এলাকায় কুরবানির গরু বোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনার পর থেকে আজ দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ৪৭টি গরুর মধ্যে মাত্র ১৯টি গরু উদ্ধার হয়েছে বলে কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুপক গাজী জানিয়েছেন।

ট্রলার ডুবির ঘটনার পর পরই হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান ও হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য, ফায়ার সার্ভিসসহ ডুবুরি দলের মোট ১৩ জন সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

জানা গেছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ৪৭টি গরুর মধ্যে ১৯টি গরু উদ্ধার হয়েছে। ট্রলারটি সিরাজগঞ্জের চৌহলি থেকে কোরবানির গরুগুলো নিয়ে নারায়ণগঞ্জের মোগড়াপাড়া হাটে যাচ্ছিলেন গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা। পথিমধ্যে হরিরামপুরে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শুত্রকান্দি এলাকায় পদ্মায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খামারি লাল মিয়া বলেন, ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারে আমার ২টি গরু ছিল। একটিও উদ্ধার করতে পারেননি। আমি পথের ফকির হয়ে গেলাম। এখন কি করব আমি।

Advertisement

আবদুল্লাহ বলেন, ৪টি গরু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলাম। একটি গরুর দড়ি কাটায় সেটা উদ্ধার হয়েছে। তিনটি গরু উদ্ধার হয়নি।

উদ্ধার হওয়া গরুর মধ্যে, খামারি ফজলুর ৩টি গরু মধ্যে একটি, জমির উদ্দীনের ৮টি গরুর মধ্যে একটিও উদ্ধার হয়নি, উজ্জল মুনসীর ২টি গরুর মধ্যে ১টি, খালেক বেপারির ৯টি গরুর মধ্যে ২টি উদ্ধারসহ মোট ১৯টি গরু উদ্ধার হয়েছে।

ট্রলার মালিক ফারুক বলেন, কিভাবে কী হয়ে গেল বুঝলাম না। গরু বোঝাই ট্রালারটি নিয়ে সকালে সিরাজগঞ্জ চৌহালি থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়া উদ্দেশ্য রওনা হই। এখানে আসার পর পর হঠাৎ করে ট্রলারের আগা সরাসরি ডুবে যায়। সম্ভববত ট্রলারের তলা ফেটে গিয়েছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই ট্রলার ডুবে গেল।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান বলেন, ট্রলারডুবি ঘটনা জানার পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ট্রলার মালিক ও গরু ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে ট্রলারে সামনের অংশটি হঠাৎ করেই পানির নিচে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ৪৭টি গরুর মধ্যে ১৯টি গরু উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা এখন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও ২৮টি গরু মিসিং আছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গরু ব্যবসায়ীদের তালিকা করে প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ঢাকা

ঢাকায় তীব্র গ্যাস সংকট, ভোগান্তি চরমে

Published

on

গ্যাস

ঢাকায় চরম আকার ধারণ করেছে গ্যাস সংকট। দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাস থাকে না। পাইপলাইনের গ্যাস রাত ১২টার পর গ্যাস এসে ভোর ৫টায় চলে যায়। দিনের বেলা আসলেও চুলা নিবু নিবু করে।

গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, নদ্দা ও কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।

এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, লাইনের গ্যাস বেশিরভাগ সময় থাকে না। গ্যাসের চাপও কম। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। উপায় না পেয়ে অনেক সময় হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।

জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দিনে দু-তিন ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। মগবাজার ওয়্যারলেস গেট, বেইলি রোড, রমনা সিদ্ধেশরী এলাকার চিত্র একই। রাতে আসলেও দিনে গ্যাস থাকে না।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, সব এলাকায় সমস্যা নেই। কিছু কিছু এলাকায় আছে। সাপ্লাই কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রেগাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ এখন কম। আশা করছি, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।

Advertisement

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় একটি টার্মিনাল দিয়ে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কূপ থেকে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের। ফলে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

চাঁদা না দেয়ায় হাতির হামলায় ঔষধ ব্যবসায়ির মৃত্যু

Published

on

কিশোরগঞ্জে পোষা হাতির হামলায় মো. মাসুদুর রহমান মিস্টন (৪৫) নামের এক ঔষধ ব্যবসায়ির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। চাঁদা না দেয়ায় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনার পরে হাতি ও তার মাহুতকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পোষা হাতি দিয়ে চাঁদবাজি করছিল রিয়াজুল মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। এমন সময় মাসুদুর রহমানের ঔষধের দোকানে চাঁদা চায় হাতি। দোকান মালিক চাঁদা দিতে রাজি না হয়ে  হাতিকে আঘাত করে। এ ঘটনায় হাতি শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে মাসুদুর রহমানকে। এর ফলে নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

পরে স্থানীয়রা মাসুদুর রহমানকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদুর রহমানের মৃত্যু হয়।

সদর থানার ওসি জানান, এই ঘটনায় হাতি ও হাতির মাহুতকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Advertisement

শেরপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ. ন. ম. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে হাতি পালনের নিয়ম রয়েছে। তবে হাতি দিয়ে টাকা তোলা বা চাঁদাবাজির কোনো নিয়ম নেই। এগুলো স্থানীয় প্রশাসন দেখবে ও দমন করবে।

প্রসঙ্গত, নিহত ঔষধ ব্যবসায়ী মো. মাসুদুর রহমান মিস্টন(৪৫) পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিং রইল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি এ আর ফার্মা নামে একটি ঔষধের দোকানের মালিক ছিলেন।

আই/এ

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রূপগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি বোমা উদ্ধার

Published

on

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা পৌরসভার আরিয়াবো এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা চারতলা ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ফ্ল্যাটটি থেকে শক্তিশালী তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এর আগে আজ সকাল থেকে উপজেলার বরপা বাগানবাড়ি এলাকার জাকির হোসেন নামের একজনের ওই ভবনটি ঘিরে রাখে এটিইউর দল। পরে দুপুর ২টা থেকে ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি বাসায় অভিযান শুরু করা হয়।

ওই ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া সুন্নত মিয়া জানান, এই ভবনের তৃতীয় তলার একটি বাসায় দুই শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী বেশ কয়েকমাস ধরে বসবাস করে আসছিল। তবে কয়েকদিন ধরে তাদের দেখা যাচ্ছে না। তারা নারায়ণগঞ্জের টিটাগাং রোডে গার্মেন্টসে চাকরি করে বলে জানিয়েছিলেন।

Advertisement

এটিইউ পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল  জানান, গেলো ৯ জুন নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় এটিইউ। নেত্রকোণার ওই ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে আজকের এ অপারেশন পরিচালিত হয়।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত