Connect with us

বাংলাদেশ

৫০ বছর অন্তর ‘ভূত’ ফিরে আসে যে গ্রামে!

Published

on

লন্ডন থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত হ্যামারস্মিথ গ্রাম। সেখানে জনসংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। তখনও বিদ্যুৎ আসেনি গ্রামে। ফলে একটা ভৌতিক পরিবেশ ছেয়ে থাকত সারাক্ষণ।

সালটা ১৮০৩। হ্যামারস্মিথ গ্রামে হঠাৎই শুরু হল ‘ভূতের’ উপদ্রব। ‘ভূতের’ ভয়ে গোটা গ্রাম ত্রস্ত হয়ে ওঠে। রাতবিরেতে কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পেতেন না। পাছে ‘ভূতের’ কবলে পড়তে হয়!

কিন্তু কত দিন আর ঘরবন্দি হয়ে থাকবেন গ্রামবাসীরা। বাড়ি থেকে কাজের জন্য বেরোতেই কেউ না কেউ ‘ভূতের’ হামলার শিকার হতে শুরু করলেন।

আক্রান্ত হওয়া গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি ছিল, আপাদমস্তক সাদা চাদরের মতো কোনও বস্তু দিয়ে ঢাকা ছিল সেই অবয়ব।

আবার গ্রামবাসীদের অন্য অংশের দাবি ছিল, গায়ে পশুর চামড়া জড়ানো, চোখ দু’টি আগুনের ভাটার মতো জ্বলতে দেখেছেন তারা।

Advertisement

গ্রামে রটে গিয়েছিল যে, এক গ্রামবাসীর অপঘাতে মৃত্যু হওয়ায় তার ‘আত্মা’ই নাকি এ ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেখানে। তাই ‘ভূতের’ জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ধরতে অস্ত্রশস্ত্র, বন্দুক নিয়ে রাতে পাহারা দিতে শুরু করলেন গ্রামবাসীরা।

গ্রামবাসীরা বলতো, সেই ‘ভূত’ নাকি কখনও জাপটে ধরত, কখনওবা পিছু ধাওয়া করত। এক প্রসূতি নাকি এমন ভয় পেয়েছিলেন যে, কয়েক দিন পর মৃত্যু হয়েছিল তার।

পাহারাদলের এক সদস্য এক দিন রাতে হঠাৎ সেই ‘ভূত’কে দেখতে পেলেন। দেখামাত্রই তার পিছু ধাওয়া করেন। ‘ভূত’ তখন নিজের সাদা বস্ত্র ফেলে দিয়ে পগারপার। সেই সাদা বস্ত্র পরে খুঁজে পান গ্রামবাসীরা। তখন আর কারও বুঝতে বাকি ছিল না যে এটা কোনও মানুষেরই কাজ!

শুরু হয় সেই মানুষ ‘ভূত’ অন্বেষণের কাজ। ইতমধ্যেই ‘ভূত’ ধরতে গিয়ে এক বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখনও আতঙ্ক কাটেনি হ্যামারস্মিথের বাসিন্দাদের।

১৮০৪ সালে হ্যামারস্মিথের এক বাসিন্দা, আবগারি দপ্তরের কর্মী ফ্রান্সিস স্মিথ ওই গ্রামে রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ হঠাৎ তিনি দেখেন একটি সাদা অবয়ব হেঁটে যাচ্ছে। হাতের শটগানটা তাক করে ‘ভূত’কে তার পরিচয় দিতে বলেন। কিন্তু সাদা পোশাক পরা সেই মূর্তি যখন কোনও সাড়া দেয়নি, সটান গুলি চালিয়ে দেন স্মিথ।

Advertisement

পরে দেখা যায়, স্মিথ যাকে ‘ভূত’ ভেবে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি আদতে এক জন মানুষ। নাম টমাস মিলউড, পেশায় এক জন রাজমিস্ত্রি। কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন।

জানা গিয়েছিল, মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে আবার কর্মস্থলে ফিরছিলেন মিলউড। তার পরনের পোশাক এবং জুতো পুরোটাই সাদা ছিল। ‘ভূত’-এর সঙ্গে পোশাকে হুবহু মিলে যাওয়ায় স্মিথ তাকে ‘ভূত’ ভেবে গুলি চালান। বেঘোরে প্রাণ যায় মিলউডের।

‘ভূত’ ধরতে গিয়ে স্মিথের সাজা হলেও আসল ‘ভূতের’ তখনও খোঁজ না পাওয়ায় গ্রামবাসীরা মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেই ‘ভূতের’ হদিশ মেলেনি তখনো।

‘ভূত’ ভেবে মিলউডকে গুলি করে হত্যার মামলা নিয়ে যখন শোরগোল চলছে হ্যামারস্মিথে, ঠিক তখনই জন গ্রাহাম নামে এক মুচি সোজা হাজির হন আদালতে।

বিচারককে গ্রাহাম জানান, তার এক সহযোগী প্রায়ই তার সন্তানদের ভূতের গল্প শুনিয়ে ভয় দেখাতেন। সেই সহযোগীকে ভয় দেখানোর জন্য তিনিই সাদা পোশাকে রাতে ঘুরে বেড়াতেন। কিন্তু গ্রাহামের সেই দাবি ধোপে টেকেনি।

Advertisement

‘ভূত’ ধরা না পরলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্যামারস্মিথের বাসিন্দাদের কেটে গিয়েছে সেই আতঙ্কও । কিন্তু এখনও স্থানীয়দের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, প্রতি ৫০ বছর অন্তর সেই ‘ভূত’ ফিরে আসে গ্রামে!

অনন্যা চৈতী

Advertisement

জাতীয়

৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফলাফল প্রকাশ

Published

on

৪০তম বিসিএসে নিয়োগ

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অনুষ্ঠিত বিশেষ সভা শেষে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।

এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা হয়।

ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বিস্তারিত আসছে…

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার

Published

on

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি ও মানবপাচার আইনের পৃথক দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে  কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গেলো ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর গেলো ৫ মে তাকে মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ হস্তান্তর

Published

on

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ সামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে। এসময় গরুর দুধ আহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মিল্কিং মেশিনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ওই প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরণের কার্যক্রম বিশেষত রেডি টু কুক ফিশ কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন। তিনি কর্মজীবী মহিলাদের রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি দূরদর্শী দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী এ পণ্য বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

ভ্রাম্যমাণ স্পট গুলো হলো: ১) মিরপুর ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড, ২) বনানী, নেভী হেডকোয়াটার ও গুলশান (আজাদ মসজিদ সংলগ্ন), ৩) সচিবালয়ের দক্ষিণ গেট, ৪) মিরপুর ডিওএইচএস ৫) স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, ৬) মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর, ৭) ধানমন্ডি ৬ নম্বর, ৮) আজিমপুর কলোনী, ৯) লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন, ১০) সচিব কোয়াটার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার), ১১) দুদক অফিস সংলগ্ন, সেগুনবাগিচা, ১২) এজিবি কলোনী, মতিঝিল, ১৩) শংকর, ধানমন্ডি, ১৪) সেচভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার), ১৫) ধানমন্ডি ২৮ ও ১৬) মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর। এছাড়া অনলাইন, ই- কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মোট ৪০ প্রজাতির মাছ রেডি টু কুক হিসেবে স্থায়ীভাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতান, যাত্রাবাড়ীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং চট্রগ্রাম মৎস্য বন্দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা শহরের ১৬ টি স্পটে ৬ টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ভিত্তিতে ‘বিএফডিসি রেডি ফিশ’ বাজারজাত করা হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত