Connect with us

ফিচার

সন্তানকে স্তন্যদানের ছবি দিয়ে বিতর্কিত যে প্রধানমন্ত্রী

Published

on

প্রত্যেক মানুষের জীবনে রয়েছে নানা প্রতিকূলতা। সেই প্রতিকূলতা কাটিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোতেই লুকিয়ে থাকে জীবনের সাফল্য ।

তেমনই একজন মানুষ সানা মারিন। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী তিনি। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সানা।

খুব ছোট বয়েসেই সানার মদ্যপ বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেই বিচ্ছেদের পর নিদারুণ আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পরেন তারা। এরপর তার মা এক মহিলার সঙ্গে একত্রে বসবাস করতে শুরু করেন। ফলে এক মহিলা পরিবেষ্টিত পরিবারে মধ্যে বড় হয়ে ওঠেন সানা।

নিদারুণ আর্থিক সঙ্কটের জন্য খুব ছোট বয়স থেকে টাকা রোজগারের জন্য বেরিয়ে পরতে হয় সানাকে। এক বেকারিতে কাজ নেন তিনি। এছাড়া কিছু সময়ের জন্য সংবাদপত্রও বিক্রি করতেন সানা।

পড়াশুনায় খুব আহামরি ছিলেন না সানা। দক্ষিণ ফিনল্যান্ডের উপকণ্ঠে একটি ছোট্ট শহরের স্কুলে পড়তেন তিনি। সেই স্কুলের এক শিক্ষিকা পাসি কেরভিনেন গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সানা ‘গড়পড়তা’ ছাত্রীদের মতো ছিলেন। উন্নতির জন্য তাকে মাঝে মাঝে বাড়ির কাজ দেয়া হতো।

Advertisement

২০০৪ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি স্নাতক পাশ করেন। এরপর, ট্যাম্পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান সানা। সেখানে প্রশাসনিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি । বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বছরে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পেশাদার ফুটবলার মার্কাস রাইকোনেনের। অতঃপর প্রেম। ১৬ বছর ধরে প্রেম করার পর ২০২০ সালে বিয়ে করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময়ই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলে যোগ দেন সানা এবং ২০০৬ সালে লাভ করেন সদস্যপদও। ২০১০ সালে দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ পর্যন্ত ওই পদেই থাকেন সানা। তবে তার রাজনৈতিক জীবন কিন্তু শুরু হয়েছিল পরাজয় দিয়ে। ২২ বছর বয়সে তিনি ট্যাম্পারে সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু সেই নির্বাচনে তিনি হেরে যান। কিন্তু ২০১২ সালে পরবর্তী নির্বাচনে তিনি জয়ী হন এবং কাউন্সিল চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হন। ওই পদে তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টের সাংসদ হন। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার জিতে তিনি পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রী হন। এরপর মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি পাঁচ জোটের নেতা হিসাবে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন।

এ প্রজন্মের রাজনীতিবিদ সানা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম নিজের সন্তানকে স্তন্যদানের ছবি পোস্ট করেন যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল অনেক। তার আমলেই বাড়ানো হয়েছে পিতৃত্ব-মাতৃত্বকালীন ছুটি। স্কুল ছেড়ে যাওয়া বয়সও বাড়িয়ে আঠারো করা হয়েছে। কোভিডের সময় যে ভাবে তিনি সঙ্কট সামলেছেন, তা প্রশংসিত হয়েছে সর্বত্র।

তবে বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে টানাপরেনের জেরে বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচিত ব্যক্তি সানা মারিন। সম্প্রতি তিনি নেটোয় যুক্ত হওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছেন। সে কারণে রাশিয়া যদি হামলা চালায় তবে পাশে থাকবে সুইডেন। ইতোমধ্যে একটি চুক্তিও হয়েছে তাদের সঙ্গে। 

সানা মারিনের উত্থান থেকে এটাই বোঝা যায়, পরিশ্রম করলে একজন নারী শুধু তার নিজের জীবন নয়, পরিবর্তন আনতে পারেন অন্যের জীবনেও।

Advertisement

অনন্যা চৈতী

Advertisement

ফিচার

প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস

Avatar of author

Published

on

আলিঙ্গন

বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।

এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে,  প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।

আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।

আলিঙ্গন

আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।

তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)

Avatar of author

Published

on

৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।

নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।

নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।

নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।

Advertisement

এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।

তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।

এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।

Advertisement

ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড

Avatar of author

Published

on

মালিহা-ফাইরুজ

একে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।

যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।

জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?

এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র‍্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।

এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।

Advertisement

বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’

মালিহা-ফাইরুজ

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।

ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।

আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।

Advertisement

মালিহা-ফাইরুজ

ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।

দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আমদানি-রপ্তানি4 seconds ago

বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত

বাংলাদেশসহ বন্ধুত্বপূর্ণ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও যেসব দেশে ভারত...

জাতীয়29 mins ago

এসএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানালো বোর্ড

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তশিক্ষাবোর্ড...

বাংলাদেশ42 mins ago

ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার

রাজধানীর ডেমরায় বাসে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত হেলপাড়কে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িত তিন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)...

জাতীয়43 mins ago

‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হবে। তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে...

জাতীয়2 hours ago

‘হাসপাতালে না থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’

হাসপাতালে কেন ডাক্তার থাকে না- এ বিষয়ে মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে ও তাদের...

জাতীয়2 hours ago

নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মের বাইরে গেলেই শাস্তি: ইসি রাশেদা

নির্বাচন কমিশন চায় সহিংসতা মুক্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এর বাইরে গেলেই...

অপরাধ2 hours ago

‘বিয়ে না করানোয় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে’

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে না করানোয় ছেলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার দুপুরে...

জাতীয়3 hours ago

হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ ঘোষণা

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে...

দুর্ঘটনা4 hours ago

রাজধানীতে যে কারণে পুড়লো বাস

বনানীতে মোটরসাইকেলে পেছনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি চলন্ত বাস। এতে হঠাৎ মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্ক ফেটে আগুন ধরে যায়, যা একসময়...

অপরাধ5 hours ago

টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে বাহারছড়ার...

Advertisement
আমদানি-রপ্তানি4 seconds ago

বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত

জাতীয়29 mins ago

এসএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানালো বোর্ড

বাংলাদেশ42 mins ago

ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার

জাতীয়43 mins ago

‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’

জাতীয়2 hours ago

‘হাসপাতালে না থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’

বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া2 hours ago

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি

জাতীয়2 hours ago

নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মের বাইরে গেলেই শাস্তি: ইসি রাশেদা

অপরাধ2 hours ago

‘বিয়ে না করানোয় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে’

ক্রিকেট2 hours ago

ট্রফি উন্মোচনের সময় ভেঙে পড়লো ব্যাকড্রপ

জাতীয়3 hours ago

হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ ঘোষণা

ঐশ্বরিয়া,-অভিষেক
বলিউড6 days ago

বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া

বাংলাদেশ3 days ago

শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি

দেশজুড়ে6 days ago

সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

ঢাকায়-বৃষ্টি
বাংলাদেশ5 days ago

তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে

ঢাকা4 days ago

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

ব্রাজিল,-মৃত-চাচাকে-নিয়ে-ব্যাংকে-ভাতিজি
টুকিটাকি3 days ago

ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি

শহীদ-কাপুর,-মিরা
বলিউড6 days ago

শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!

বাংলাদেশ5 days ago

ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!

বাংলাদেশ3 days ago

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত

দুর্ঘটনা1 day ago

৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই

উত্তর আমেরিকা2 days ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার6 days ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত