দুর্ঘটনা
বেইলি রোডে আগুন : ৪৬ জনের মৃত্যু, ৩৮ মরদেহ হস্তান্তর
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন। জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।
আজ শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিং তিনি এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাঁচজনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের ডিএনএ টেস্ট করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন লাগা সাত তলা ভবনটির বেশিরভাগ ফ্লোরেই বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ছিল। ঘটনার সময় ওই রেস্টুরেন্টে অনেকে শিশু সন্তান, স্ত্রী ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর ৭ তলা ওই ভনটিতে আটকে পড়েন অনেকে। পরে তাদের অনেকেই সাত তলার ছাদে আশ্রয় নেন। তবে রেস্টুরেন্টগুলোয় একাধিক সিলিন্ডার থাকায় দ্রুতই পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
এদিকে, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে। এছাড়া কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার এবং ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এশিয়া
আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৮
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবাকাশী শহরের কাছে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) তামিলনাড়ু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি তৈরির ওই কারখানার বৈধ লাইসেন্স ছিল। কী কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে এরইমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।
এএম/
দুর্ঘটনা
পুকুরে মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড
পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খননের সময় মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড। এ সময় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে স্থানটি ঘিরে রেখে গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখে পুলিশ। গেলো বুধবার (৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী শহরের এমএস কলোনি তিনতলা এলাকায় একটি চলমান পুকুর খননের স্থানে এই গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে র্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমের।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী রেলওয়ের জমিতে বেশ কিছুদিন ধরে এমএস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। এ সময় স্বর্ণা নামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া এক শিশু বাড়ির পেছনে গিয়ে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত একটি বস্তু দেখতে পেয়ে খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তার বাবা সুবাস কুমার দাস ধলা গোলাকার বস্তুটি দেখেন। পরে এটি গ্রেনেড বুঝতে পারেন তিনি। তখন বিপদের শঙ্কায় গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে আসেন। এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকাটি পাক বাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় গ্রেনেডটি যেকোনো ভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি এখন বের হয়ে এসেছে।
তিনি আরও জানান, গতকাল রাত থেকেই গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. সবুজ আলী তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারের রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিশুরা হলো- দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর শুক্কুর (১২) এবং একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা (১০)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম বলেন, গেলো রোববার রাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার পাহাড়ি ছড়ায় গর্তে জমে থাকা পানিতে স্থানীয় ৬ থেকে ৭ জন শিশু মিলে গোসলে করতে নামে।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে ৪ জন শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ৪ জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান জানান, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। শিশুদের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএম/
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত