ইসলাম
সেহরি ও ইফতারের ফজিলত
পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ ইবাদত। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় রোজা রাখা সুন্নত ও নফল ইবাদত হিসেবে পালিত হয়। রোজা রাখার জন্য প্রথম মর্ত হচ্ছে সেহরি খাওয়া। কেউ ইচ্ছা করে সেহরি ছেড়ে দিতে পারেন না। আর রোজা শেষ হয় ইফতারের মধ্য দিয়ে। কেউ ইচ্ছে করে ইফতার ত্যাগ করতে পারেন না। এদুটি রোজারই অংশ। এতে রয়েছে অনেক বরকত ও ফজিলত।
রাসূল (সা.) কখনও সেহরি থেকে বিরত থাকতেন না। সাহাবায়ে কেরামকেও সেহরির ব্যাপারে তাগিদ দিতেন এবং নিজের সঙ্গে শরিক করতেন।
হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাদের এ সিয়াম ও আহলে কিতাবদের (ইহুদী ও খৃষ্টান) রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া। (মুসলিম)।
সেহরিতে অনেক বরত রয়েছে। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও, সেহরিতে বরকত রয়েছে।
সেহরি খাওয়া যেমন সুন্নত, তেমনি বিলম্ব করে সেহরি খাওয়াও সুন্নত।
সূর্য়াস্তের পরেই দেরি না করে ইফতার গ্রহণ করা সুন্নত। এ বিষয়ে হাদিসে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যতদিন মানুষ বিলম্ব না করে ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।
ইফতারের সময় আল্লাহ রোজাদারের দোয়া কবুল করেন। এসময় বান্দা তার রবের কাছে মন খোলে তার আকুতি জানাবে। সকল মানবতার জন্য হেদায়েত কামনা করবে। মুসলিমের জন্য রহমত ও ক্ষমা চাইবে।
প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ইফতার করার সময় রোজাদারের দোয়া কবুল হয়ে থাকে। (আবু দাউদ)।
ইফতারের আল্লহ তায়ালা অনেক বান্দাকে ক্ষমা করেন।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য মানুষকে (জাহান্নাম থেকে) মুক্তি দেন।
অপর এক হাদিসে এসেছে- রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি খুশির সময়, ইফতারের সময়, এবং তার প্রতিপালকের নিকট রোজার বিনিময় প্রাপ্তির সময়।(সহি বুখারী)
তাই সমান্য খাদ্য দিয়ে হলেও ইফতার গ্রহণ করতে হবে। এটি একটি ইবাদত। অন্য ইফতার করালে তিনিও সেই সওয়াব পাবেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, পানি মিশ্রিত এক চুমুক দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দ্বারাও যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে আল্লাহ তাকে এ পরিমাণ সওয়াব দান করবেন।
ইসলাম
জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে
বাংলাদেশের আকাশে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামীকাল (১০ মে) শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।
আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহূল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ
ইসলাম
ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ঠিক দুই মাস ১০ দিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালনের নিয়ম।
বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ জিলহজ বা ১৬ জুন (রোববার)।
বাংলাদেশ সাধারণত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন পর ঈদ উদযাপন করে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হতে পারে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
এএম/
ইসলাম
যেসব মুসলিম দেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদ
পবিত্র রমজান শেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পালন করছেন পবিত্র ঈদ উল ফিতর। চলুন জেনে নেয়া যাক যেসব দেশে ১০ এপ্রিল ঈদ পালিত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি
মালয়েশিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি
পাকিস্তান: ১০ এপ্রিল, বুধবার,, রোজা ২৯টি
আফগানিস্তান: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি
আরব আমিরাত: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০ টি
কাতার: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি
সৌদি আরব: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি
ইয়েমেন: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি
ফিলিস্তিন: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি
ওমান: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯ টি
জর্দান: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি
মিশর: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি
তিউনিসিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি
আলজেরিয়া: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ৩০টি
মরক্কো: ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোজা ২৯টি
এছাড়া বাংলাদেশ ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঈদ পালিত হবে। সে অনুযায়ী এ বছর ৩০টি রোজা রাখছেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত