লাইফস্টাইল
কোন সময়ে গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল
গোসল করার সময় নিয়ে নানা মুনির নানা মত। এক দল বলেন, সকাল সকাল গোসল সেরে নেয়াই শরীরের জন্য ভাল। সারা দিনের নানা রকম কাজের মধ্যে একটা তবু একটা কাজ সেরে রাখা। আবার এক দলের মত হল, হাতের সমস্ত কাজ সেরে নিয়ে একবারে শেষে গোসল করা। তা সে যত রাতই হোক। তার পিছনেও যুক্তি আছে। বাড়ির কাজ সেরে বা কাজ থেকে ফিরে ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করলে রাতে ভাল ঘুম হয়। সারা দিনের ঘাম, ধুলো-ময়লা সাফ করে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়। কিন্তু যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের জন্য কি রাতে গোসল করা আদৌ ভাল?
রাতে নাকি সকালে করবেন গোসল?
এ বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, কে কোন সময়ে গোসল করবেন, তা একেবারেই তার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়। তবে, দু’টি যুক্তিই সঠিক। সকালে গোসল করে দিন শুরু করার যেমন কয়েকটি গুণ রয়েছে। আবার, রাতে বাড়ি ফিরে গোসল করে ঘুমোতে যাওয়ার উপকারও অস্বীকার করা যায় না। গরমকালে সকালে গোসল করলে সাধারণত স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গোসল করার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু রাতে আবার ঈষদুষ্ণ পানি না হলে চলবে না। শরীরের ব্যথা-বেদনা, মনের ক্লান্তি দূর করতে রাতে গরম পানিতে গোসল করার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
যদি পরিচ্ছন্নতার কথাই বলতে হয়, তা হলে বলতেই হবে রাতে গোসল করা ভাল। কারণ, বাইরে ঘোরাঘুরি করার ফলে গায়ে সারা দিন যে ঘাম, ধুলো-ময়লা, ব্যাক্টেরিয়া জমে, তা সহজেই পরিষ্কার হয়ে যায় গোসল করলে। সারা রাত শরীরে জমে ত্বকে সংক্রমণের সুযোগ কমে। তবে, যাদের শারীরিক কোনও সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খুব সকাল বা অনেক রাতে গোসল করতে সাধারণত বারণই করা হয়। কারণ, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হলে সে ক্ষেত্রে চট করে বিপদে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
পরামর্শ
শরীরে যে ৭ উপসর্গ দেখলে বুঝবেন, প্রোটিনের অভাব রয়েছে
মানবদেহে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন, খনিজের মতো আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো প্রোটিন। প্রতিদিনের সুষম আহারের মাধ্যমে প্রোটিন আমাদের শরীরে যায়। কোনও ভাবে যদি আমাদের শরীরে প্রোটিনের অভাব হয় তাহলে দেখা দিতে পারে এই ৭ টি উপসর্গ।
দুর্বলতা: প্রোটিন মানুষের এনার্জি লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। সঠিকভাবে প্রোটিন গ্রহণ করলে আপনি কখনও ক্লান্তি অনুভব করবেন না। কিন্তু আপনার শরীরে যদি থাকে প্রোটিনের অভাব, তাহলে ঘনঘন দুর্বল হয়ে পড়বেন আপনি। কাজ করতে গেলে এনার্জি পাবেন না একেবারে। এমন কোনও ঘটনা যদি আপনার সাথে ঘটে তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব।
চুল পড়ে যাওয়া: চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কখনও যদি আপনার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা হঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব। শুধু চুল পড়ে যাওয়া নয়, চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়াও প্রোটিনের অনুপস্থিতির প্রমাণ দেয়।
রুগ্ন হয়ে যাওয়া: প্রোটিনের অভাব হলে পেশী শিথিল হয়ে যায় এবং আপনাকে দেখতে লাগে রুগ্ন। যদি কোনও ভাবে আপনার ওজন কমে যায় অথবা আপনাকে দেখতে লাগে রুগ্ন তাহলে বুঝতে হবে হয়তো আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে।
স্মৃতিভ্রম: বারবার ভুলে যাওয়া অথবা কোনও কাজে মন না বসার মত সমস্যার সম্মুখীন যদি আপনাকে হতে হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব। এমন ঘটনা যদি অহরহ ঘটতে থাকে তাহলে শরণাপন্ন হতে হবে চিকিৎসকের।
নখ সাদা হয়ে যাওয়া: ত্বক রুক্ষ বা শুষ্ক হয়ে যাওয়া, নখ সাদা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন যদি আপনি হন তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব। প্রোটিনের অভাব হলে তবেই এমন ঘটনা ঘটে।
সর্বক্ষণ খিদে খিদে ভাব: কোনও কারণ ছাড়াই যদি আপনার সব সময় খিদে পায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীর প্রোটিন নিতে চাইছে। সচরাচর গর্ভাবস্থায় সবসময় খিদে পায়, তবে কোনও কারণ ছাড়া যদি আপনি সবসময় ক্ষুধার্ত থাকেন তাহলে আপনার শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন আছে।
ক্ষত শুকোতে না চাওয়া: শরীরের কোনও অংশে কেটে গেলে যদি সঙ্গে সঙ্গে সেটি ঠিক না হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে। যদিও অনেক সময় ডায়াবিটিস থাকলেও এমন ঘটনা ঘটে।
জেএইচ
লাইফস্টাইল
রাতে খাওয়ার পরেই গলা-বুক জ্বালা করছে? ওষুধ ছাড়া এ থেকে রক্ষা যেভাবে
বাড়ির সাধারণ খাবার খেয়েও গ্যাস, অম্বল ভোগায়? রাতে রুটি খাওয়ার পর এই সমস্যা যেন আরও বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যত ক্ষণ না খাদ্যনালির এই জ্বালা-পোড়া ভাব কমছে, তত ক্ষণ দু’চোখে ঘুমও আসে না। একবার জোয়ান খেয়ে, এক বার বাঁদিকে কাত হয়ে শুয়ে, কোনো মতেই শান্তি পাওয়া যায় না। শেষমেশ ‘এনজাইম’ ওষুধের উপর ভরসা করতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের সমস্যাকে বলা হয় ‘স্পোরাডিক অ্যাসিড রিফ্লাক্স’।
রাতে খাবার খাওয়ার পর গলা-বুক জ্বালা করা কিংবা চোঁয়া ঢেকুর ওঠার সমস্যা ঠেকাতে অনেকেই ‘অ্যান্টাসিড’ গোত্রের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে, ওষুধ খাওয়ার আগে সমস্যার উৎস খুঁজে বার করা প্রয়োজন। যেমন, এমন কিছু খাবার এবং পানীয় থেকে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়তে পারে। অ্যালকোহল, ক্যাফিনজাতীয় পানীয়, মশলাদার খাবার, টম্যাটো, চকোলেট খেলে গলা-বুক জ্বালা করতে পারে। আবার, মানসিক চাপ থেকেও অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে।
এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী করে?
চিকিৎসকেরা বলেন, অ্যাসিড রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি শোয়ার ভঙ্গিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। মুখ, মাথা যেন পেটের থেকে সামান্য হলেও উঁচুতে থাকে। সে খেয়াল রাখতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধ্যান অভ্যাস করা যেতে পারে। বাড়াবাড়ি হলে তখন ওষুধ তো আছেই।
কেএস/
লাইফস্টাইল
ঘুমের মধ্যেও মাথায় কাজের চিন্তা, এ জটিল সমস্যা যেভাবে সামলাবেন
অফিসের কাজ শেষ না হতেই বাড়ির কাজ সারার কথা মনে হয়। বাড়ির কাজ শেষ করে বিছানায় পিঠ ঠেকাতে গেলে আবার পরের দিনের পরিকল্পনা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে! একটা ছুটির দিন বিশ্রাম নিতে গেলেও মন খচখচ করতে থাকে। নির্দিষ্ট কোনও একটি কাজ করতে গেলেই মনে হয় অন্যটি করলে ভাল হত। কত কিছু করার ছিল, হল না। মনোবিদেরা বলছেন, ব্যস্ত থাকা ভাল। তবে, মাথায় সারাক্ষণ কাজের চিন্তা ঘুরতে থাকা আসলে ‘টাইম ফ্যামিন’।
‘টাইম ফ্যামিন’ কী?
ব্যস্ততা রয়েছে, কিন্তু কোনো কাজই সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না। আবার, কোনো কাজ শুরু হলেও তা সুষ্ঠুভাবে শেষ করা যাচ্ছে না। এ দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার মতো সময়ও নেই। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পিছনে এমন পরিস্থিতি একাই একশো। তবে, চাইলে জটিল এই পরিস্থিতিও সামলে ওঠা যায়। তার জন্য কী কী পরিবর্তন আনতে হবে?
১) সময় বেঁধে ফেলুন:
শুধু ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে সারাক্ষণই কোনো না কোনো কাজ করেই চলেছেন। মনোরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন, একঘেয়ে কাজ করতে কারও ভাল লাগে না। কাজের মাঝে-মাঝে তাই বিরতি নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাতে যেমন শরীরের ভাল হয়, তেমন কাজের মানও উন্নত হয়। ঘরে-বাইরে নানা রকম কাজ থাকে। সেগুলি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে গেলে সময় ভাগ করে নেয়া জরুরি।
২) উদ্যাপন করতে শিখুন:
যত ব্যস্ততাই থাক, তার মাঝে যেটুকু সময় পাওয়া যায়, সেই সময়টুকু চুটিয়ে মজা করতে শিখুন। দুই-তিন দিন কাজ থেকে ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। একেবারেই সময় না থাকলে অফিস ছুটির পর সিনেমা দেখতে কিংবা কোথাও খেতে যেতে পারেন। অফিসের কাজ থেকে ছুটি পেয়ে কোমর বেঁধে বাড়ির কাজ সারতে গেলে কিন্তু হবে না।
৩) নিজের জন্য খরচ করুন:
কোনো একটা দিন অতিরিক্ত সময় কাজ করলে পরের দিন নিজেকে উপহার দিন। তা খুব দামি কিছু না-ও হতে পারে। বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খেতে পারেন। একটা দিন বাস-ট্রেনের টিকিট না কেটে, ট্যাক্সি বা অ্যাপক্যাবের জন্য খরচ করতে পারেন।
কেএস/
- ঢালিউড7 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- ঢালিউড7 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন