Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইরান যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ, গলবে দু’দেশের বৈরি সম্পর্কের বরফ!

Avatar of author

Published

on

সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সংগৃহীত ছবি

সরকারি সফরে ইরান যাচ্ছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে সফরের তারিখ ও সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি।  শুক্রবার টেলিফোনে কথা বলার সময় ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানালে সৌদি যুবরাজ তা গ্রহণ করেন। এসময় তিনিও ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টকে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার(২৪ মে) রাতে মোহাম্মদ বিন সালমান ও মোখবারের মধ্যে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে সমবেদনা জানান সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এসময় ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন।

ফোনালাপে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি ও রয়টার্স, মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন ও কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ইরান সফরে গেলে গত দুই দশকের মধ্যে এই প্রথম সৌদি রাজপরিবারের কোনো সদস্যের তেহরান সফর হবে। সৌদি যুবরাজের এই সফর কয়েক বছর ধরে চলা দুই দেশের শীতল যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে ইতিবাচক কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে সৌদি সরকার শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের শিরোচ্ছেদ করলে ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরব-ইরানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। শিয়া নেতার শিরোচ্ছেদের ঘটনায় তেহরানে বড় ধরণের বিক্ষোভ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিলে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে গত বছর থেকে এ সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

Advertisement

এমআর//

Advertisement

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহী-জান্তা সৈন্যদের ব্যাপক লড়াই

Published

on

মিয়ানমার
ফাইল ছবি

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জান্তা সৈন্যদের সঙ্গে সেখানকার জাতিগত সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।

নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে অন্তত দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে বুধবার স্থানীয় বাসিন্দারা ও গণমাধ্যম জানিয়েছে।

শান রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরের দিকে কিয়াউকমি শহরে জান্তা সৈন্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। মিয়ানমারের সাথে চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটে শহরটির অবস্থান।

চীনের মধ্যস্থতায় টিএনএলএর সাথে মিয়ানমারের সাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে জাতিগত সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। এর আগে, শান রাজ্যে জান্তা বাহিনী এবং টিএনএলএ ও অন্য দুটি সহযোগী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের অবসানে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল।

স্থানীয় একজন উদ্ধারকর্মী নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বুধবার সকালের দিকে টিএনএলএর যোদ্ধারা কিয়াউকমি শহরে জান্তা নিয়ন্ত্রিত একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছে

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে বসবাসরত বেসামরিক নাগরিকরা তাদের বাড়িঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। অপর একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, মঙ্গলবার কামানের গোলার আঘাতে শহরটিতে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও দু’জন আহত হয়েছেন। তবে শহরের কোন প্রান্তে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ন্যাটোর নতুন মহাসচিব ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে

Published

on

প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে। বর্তমান মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত ন্যাটোর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্রাসেলসে ৩২ দেশীয় জোটের সদর দপ্তরে এক বৈঠকে উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিল ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটেকে ন্যাটোর পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ জোটের নেতারা আগামী ৯ থেকে ১১ জুলাই ওয়াশিংটনে একটি শীর্ষ সম্মেলনে রুটকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন। এছাড়া আগামী ১ অক্টোবর বর্তমান মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ এক দশকেরও বেশি সময় ন্যাটো জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ধারাবাহিকতা প্রদানের জন্য একাধিক তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মার্ক রুটের এই নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ এবং তার সাফল্য কামনা করেছেন।

Advertisement

স্টলটেনবার্গ এক্স-এ (টুইটার) লিখেছেন, ‘ আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই, মার্ক একজন সত্যিকারের ট্রান্সঅ্যাটলান্টিসিস্ট, একজন শক্তিশালী নেতা এবং একজন সম্মতি-নির্মাতা। ন্যাটোকে শক্তিশালী করার জন্য আমি তার সাফল্য কামনা করছি। আমি জানি আমি ভালো হাতে ন্যাটো ছেড়ে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট- উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন বা ন্যাটো। মূলত ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে এর স্বাধীন সদস্য রাষ্ট্রগুলো কোনো বহিরাগত পক্ষের আক্রমণের জবাবে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ৩২টি। এদের মধ্যে ৩০টি দেশ ইউরোপের, আর বাকি ২টি দেশ উত্তর আমেরিকার৷

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার পরামর্শ আইএমএফের

Published

on

দুর্নীতি কমাতে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে প্রতিবছর তাদের সম্পদের তালিকা নিতে  সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি  সেই তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করতে বলেছে  বহুপাক্ষিক ঋণদানকারী সংস্থাটি।

বাংলাদেশকে দেওয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন করে মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফ এর ‘স্টাফ রিপোর্ট’ এ  পরামর্শ দেওয়া হয়।

আইএমএফ বলেছে, উঁচু-স্তরের দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে, এ বিষয়ে অ-সম্মতি (নন-কমপ্লায়েন্স) দেখা দিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ নিয়মিত হালনাগাদের জন্য একটি মানসম্মত পন্থা অবলম্বন করে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদ ঘোষণার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে হবে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির ক্ষেত্রে সুশাসনের উন্নয়ন এবং দুর্নীতি রোধ ব্যাপক অবদান রাখবে। রাজস্ব ও আর্থিক সুশাসনের উন্নতি, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং নীতি কাঠামো শক্তিশালীকরণও উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ১৯৭৯ সালে চালু হয়। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছেন। চাকরিজীবীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। তবে চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মটি পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত