Connect with us

লাইফস্টাইল

কাঁঠালের বীজ যেসব রোগের ঝুঁকি কমায়

Avatar of author

Published

on

কাঁঠাল

গ্রীষ্মকালীন ফল কাঁঠাল যারা ভালবাসেন, তারা জানেন এই ফল খাওয়ার তৃপ্তি। তবে কাঁঠালের কোয়ার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় বীজ। মটরডাল হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি, কাঁঠালের বীজ দিলে স্বাদটাই বদলে যায়। তা ছাড়া ডালের সঙ্গে কাঁঠালের বীজ ভাজা কিন্তু মন্দ নয়। কাঁঠালের বীজ যে শুধু সুস্বাদু, তা নয়। এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী এই বীজ?

রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে

ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন— সব আছে এই খাবারে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া অতি জরুরি।

হজমের গোলমাল কমাতে

ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে। সঙ্গে হজমের সুবিধাও হয়। হজম প্রক্রিয়া ভাল হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।

Advertisement

ডায়াবেটিকদের জন্য

ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারি। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।

চোখের যত্নে

চোখের জন্যও উপকারী কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে তুলতেও কাঁঠালের বীজ কার্যকরী। চোখের সমস্যা থাকলে কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।

কেএস/

Advertisement
Advertisement

পরামর্শ

প্রতিদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোলে যে বড় ক্ষতি হতে পারে আপনারও

Published

on

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন যে কেউ। কী কী অসুবিধা হতে পারে? দেখুন-

নানা কারণে আজকাল বেশিরভাগ মানুষের ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশিরভাগ মানুষকেই অনিদ্রার সমস্যায় পড়তে হয়। অনিদ্রা এমন একটি অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ঘুমান বা একেবারেই ঘুমান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

কম ঘুমের অসুবিধা

একজন মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে তার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জেনে নিন কম ঘুমের কারণে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হয়।

মস্তিষ্কের উপর প্রভাব: বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ঘুমের অভাব আপনার মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস করে। আপনি হ্যালুসিনেশনের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

Advertisement

কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা: ঘুমের অভাব পরিপাকতন্ত্রেও প্রভাব ফেলে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয়, তাদের প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে।

একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে: আপনি যদি প্রতিদিন কম ঘুমোন, তবে কখনও কখনও আপনি হঠাৎ ঘুমিয়ে যেতে পারেন। গাড়ি চালানোর সময় বা অন্যান্য বিপজ্জনক কাজ করার সময় যদি এই ঘুম চলে আসে, তবে আপনার সঙ্গে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

চোখ দুর্বল হয়ে যেতে পারে: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোন। তবে সাবধান, কারণ এটি আপনার চোখের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কম ঘুমালে চোখের সমস্যা হতে পারে।

মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বেশিরভাগ মানসিক সমস্যা ঘুমের অভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনি যদি খুব কম পরিমাণে ঘুমোন তবে আপনাকে মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতার মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

এইসব মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থাকে: গবেষণা অনুসারে, যারা প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন না, তাদের ক্যানসার, হার্ট স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

গরুর ভুনা খিচুড়ি রেসিপি

Published

on

ভুনা খিচুড়ি

দুপুরে বা রাতে, পরিবারের জন্য বা মেহমানদের আপ্যায়নে, সবকিছুর জন্যই বীফ ভুনা খিচুড়ি হতে পারে পছন্দের একটি ডিস। চলুন দেখে নেই কীভাবে তৈরি করতে হয় এই মুখরোচক বাঙালি খাবারটি।

উপকরণ

১) মাংস মেরিনেট-এর জন্য-

গরুর মাংস- ১.৫ কেজি

লাল মরিচ গুঁড়ো- ৩ টেবিল চামচ

Advertisement

হলুদ গুঁড়ো- ১.৫ টেবিল চামচ

ধনে গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

জিরা গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

গরম মশলা গুঁড়ো- ১/২ টেবিল চামচ

এলাচ- ৪ টি

Advertisement

তেজপাতা- বড় ১টি

দারুচিনি- ৩ টুকরো

আদা বাটা- ১.৫ টেবিল চামচ

রসুন বাটা- ১.৫ টেবিল চামচ

পেঁয়াজ কুঁচি- ১ কাপ

Advertisement

সয়াবিন তেল- ১/২ কাপ

লবণ- স্বাদমত

টকদই- ৩ টেবিল চামচ

 

২) খিচুড়ির জন্য-

Advertisement

পোলাও-এর চাল- ৪ কাপ

মুগ ডাল- ১ কাপ

মসুরের ডাল- ১ কাপ

পেঁয়াজ কুঁচি- ১ কাপ

দারুচিনি- ৩ টি

Advertisement

এলাচ- ৪ টি

তেজপাতা- ১ টি

কাঁচা মরিচ ৫-৬ টি

আস্ত জিরা- ১/২ চা চামচ

ঘি- ২ টেবিল চামচ

Advertisement

শাহী জিরা- ১/২ চা চামচ

তেল- ২ টেবিল চামচ

লবণ- স্বাদমত

প্রণালী

  •  মাংস মেরিনেট করতে প্রথমে একটি মিক্সিং বোলে গরু মাংসটুকু নিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি বাদে বাকি যা উপকরণ আছে সব দিয়ে ভালমতো মিক্স করে নিতে হবে। স্বাদমত লবণ দিতে হবে। সব ঠিকমতো মেশানোর পর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে আবার মেশাতে হবে। এর পর আধা ঘণ্টার মত মাংস মেরিনেট হতে দিন।
  • একটি প্রেসার কুকার চুলায় দিয়ে মাংসটুকু তাতে ঢেলে দিতে হবে। ৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে, কোন পানি দেয়ার দরকার নেই। ৫ মিনিট মাংস কষানোর পর ঢাকনা খুলে দেখবেন তা থেকে পানি বের হয়েছে।
  •  মাংস হতে হতে অন্য দিকে চুলায় পানি বসিয়ে দিন। মাংস নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ আবার ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে দিন। প্রেসার কুকার ৫ টি শিস দেয়ার পর ঢাকনা খুলে দিন। এবার মাংসের মধ্যে প্রয়োজনমত গরম পানি দিয়ে দিন, এই ধরুন ৩—৩.৫ কাপ। আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন মাংস সিদ্ধ হওয়ার জন্য। চুলার আঁচ মাঝারি থেকে অল্প বেশি রাখবেন।
  •  কুকারে ৫ টি শিস দেয়ার পর আবার ঢাকনা খুলে মাংস নেড়ে দিতে হবে, না হলে নিচে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবে আবারো ৫ শিসের পর খুলে দেখবেন মাংস সিদ্ধ হয়ে গেছে।
  •  এবার মাংসে কয়েকটি আলুর টুকরো দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে আবার ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর খুলে দেখবেন মাংস রান্নাসহ আলু সিদ্ধ হয়ে গেছে।
  •  চাল ও ডাল একসাথে ভালমতো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
  •  একটি কড়াইয়ে মুগডাল নিয়ে ভেজে নিন। সমানভাবে নাড়তে হবে যাতে সব ডাল ভাজা হয়।
  •  এবার একটি বড় কুকিং প্যানে তেল-ঘি দিয়ে দিন। শাহী জিরা, আস্ত জিরা, এলাচ-দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে দিন। পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিন। এবার সব অল্প করে ভেঁজে নিন।
  •  এবার এতে চাল-ডালের মিশ্রণটি দিয়ে দিন। এবার চালটুকু কিছুক্ষণ ভেঁজে নিন, এতে করে খিচুড়ি ঝরঝরে হবে। চুলার আঁচ একদম কমিয়ে রাখতে হবে।
  •  এবার এতে যতটুক চাল-ডাল আছে তার দ্বিগুণ পানি দিয়ে নিন। যেমন, এখানে চাল-ডাল মিলে ৬ কাপ, তাই আমরা ১২ কাপ পানি দিব।
  •  স্বাদ মতো লবণ দিয়ে দিন। কাঁচামরিচ মাঝখানে ফেরে দিয়ে দিন। চুলার জ্বাল বাড়িয়ে দিন। পানি চালের সমান নেমে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  •  এবার এতে রান্না করা মাংসটুকু ঢেলে দিন। চাল ও মাংস নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার খিচুড়ি ২০-২৫ মিনিটের মত দমে রাখতে হবে। নন-স্টিক প্যান হলে নিচে তাওয়া দেয়ার দরকার নেই। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে খিচুড়ি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  •  যখন দেখবেন খিচুড়ি প্রায় হয়ে এসেছে, এতে আরও ৩-৪ টি কাঁচামরিচ দিয়ে দিন। কিছু ঘি দিয়ে দিন উপরে। এবার ধাকনা দিয়ে ২-৩ মিনিটের জন্য ঢেকে দিন। সব হয়ে গেলে নেড়েচেড়ে নামিয়ে সারভিং ডিস-এ পরিবেশন করুন।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলুন ৮টি খাবার

Published

on

ত্বক

প্রায়ই আমরা বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বা ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা যতই নামী-দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না কেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস যদি মেনটেইন করা না হয়, তাহলে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব হবেনা। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের খাবারের তালিকায়। আজ আপনাদের জানাবো এমন ৮টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলতে হবে।

ত্বক সুন্দর রাখতে যা যা খাবেন না

আমাদের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। স্কিনকেয়ার করে হয়তো অল্প সময়ের জন্য ত্বককে সুন্দর করা যায়, তবে গভীর থেকে স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পেতে হলে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের হজমের সমস্যা, ইনফ্ল্যামেশন, একনে ইত্যাদি তৈরি করতে পারে, যা আমাদের ত্বকের জন্য মোটেই ভালো নয়। এ ধরনের খাবার খেলে ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের অকালে বয়সের ছাপও পড়তে পারে। তাই ত্বকের সুস্থতা চাইলে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হবে বেশ সতর্ক।চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখতে যে ৮টি খাবার অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে-

লবণ

আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে লবণ। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে মুখে বিশেষ করে, চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশ পাতলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণে এসব জায়গা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়ার ফলে ডার্ক সার্কেল এর সমস্যাও হতে পারে। তাই খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়াটা এড়িয়ে চলা উচিত।

Advertisement

দুগ্ধজাত খাদ্য

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা নিয়েই সাধারণত অনেক কথা হয়। শরীর ও ত্বকের জন্য দুগ্ধজাত খাদ্য খুবই উপকারী। তবে দুগ্ধজাত খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি যেমন,চোখের পাতা ফোলা, আই ব্যাগ, ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ও বলিরেখার মতো নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়।

চিনি

চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি খাবার। চিনিতে প্রচুর ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকেও খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে, যা থেকে একনে ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি যাদের পিসিওএসের তো হরমোনাল সমস্যার কারণে একনে হয়, তাদের একনেও অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে চিনিযুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।

চকলেট বা ক্যান্ডি

Advertisement

কম বেশি সবাই ক্যান্ডি বা চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ ত্বকের জন্য যেসব খাবার আমাদের পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতে হবে, এই মজাদার চকলেট বা ক্যান্ডি তার মধ্যে অন্যতম। কারণ যদি আপনি নিয়মিত এগুলো খান, তাহলে আপনার শরীরে প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে মারাত্মক আকারে। এই অতিরিক্ত চিনির কারণে ত্বকে থাকা কোলাজেনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে। পাশাপাশি ত্বকের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে ত্বক হয়ে যায় মলিন। তাই প্রচন্ড পছন্দের খাবার হলেও ত্বকের সুস্থতার জন্য চকলেট কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা উচিত।

সোডা ও কোমল পানীয়

খুব গরম পড়লে বা গুরুপাক খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানীয় বা সোডা পান করা প্রায় সবারই একটি নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোমল পানীয় পান করতে বেশ ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়! এই ধরনের পানীয়তে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। তাই এগুলোতে ক্যালরিও অনেক বেশি। কোমল পানীয়র কারণে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়াসহ বিভিন্ন স্কিন ইরিটেশন দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি হুটহাট কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে আজই সেটি ছাঁটাই করে ফেলুন।

ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মিড মর্নিং বা বিকেলের নাস্তায় চপ, সিঙাড়া অথবা বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব খাবার খেতে ভালো লাগলেও, ত্বকের জন্য কিন্তু এগুলো একেবারেই উপকারী নয়! এই খাবারগুলো আমাদের ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন বা ব্রণজনিত সমস্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এখন থেকে এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

Advertisement

কফি

বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা দিনশেষে ক্লান্তি দূর করতে কফি পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই! কারো কারো তো কফি না খেয়ে দিনই শুরু হয়না! তবে এই অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং সেই সাথে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। তাই অতিরিক্ত কফি পান করা থেকে বিরত থাকাটা খুব জরুরি সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে হলে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার

যেসকল খাবার প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত না হয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত হয়, সেসব খাবার ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এধরনের খাবারের মধ্যে প্যাকেট করা বা কৌটাজাত দীর্ঘদিন সংরক্ষিত বিভিন্ন খাবার যেমনঃচিকেন নাগেটস, মিটবল, ক্যানে থাকা ফল বা সবজি, জুস অন্যতম। এসকল খাবার আমাদের স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা এগুলোতে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভস, যা আমাদের স্কিন ব্যারিয়ারের ক্ষতি করে। তাই এই খাবারগুলো কম খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খান। বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে করে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে, আবার ত্বক ও চুলও ভালো থাকবে।

তো এই ছিলো ত্বক সুন্দর রাখতে যে খাবারগুলো কম খাওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। সবসময় মনে রাখবেন, সুস্থ ত্বকের জন্য সবার আগে দরকার সঠিক খাদ্যাভাস এবং পরিমিত মাত্রায় খাবার গ্রহণ। আমাদের শরীর যদি সঠিক পুষ্টি উপাদান পায় তবে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখাটাও হবে বেশ সহজ।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত