বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননাকে তুচ্ছ বিষয় বললেন কুবি শিক্ষক
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একাডেমিক বিল্ডিং-১ (কলা ও মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) এর সিঁড়ির নিচের ময়লার স্তুপে অযত্নে অবহেলায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ফেলে রাখার ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার খোঁজ নিতে গেলে এটি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন. এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী।
গেলো ১১ এপ্রিল ময়লার স্তুপে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পড়ে থাকার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেসময় এ ঘটনায় তদন্ত সাক্ষেপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। তবে ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পরও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
রবিউল আউয়াল চৌধুরী প্রতিবেককে বলেন, ‘এটা (বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা) তুচ্ছ বিষয়, তুমি কেন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসছো। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, সেগুলো নিয়ে কথা না বলে কে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছে (ময়লার স্তুপে) এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি না।’
এদিকে ছবি অবমাননার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি সাঈদুল আল-আমীন বলেন, জাতির পিতার মত একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননায় ফেলে রাখা খুবই দুঃখজনক এবং অপমানজনক। আমি যতটুকু জানি ছবি পুরান হয়েছে তাই ফেলে দেওয়া হয়েছে, তবে ফেলে দেওয়ার ধরনটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যেখানে মানুষ পাড়ায় যাবে সেখানে এভাবে ছবি ফেলে দেওয়া খুবই অপমানজনক।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের আরেকাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এটা অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে ময়লার স্তুপে অবহেলায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ফেলে রাখা হয়েছিল কি না আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার জানা নাই। আমি মন্তব্য করতে পারছি না।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এভাবে অপমান করে ফেলে রাখার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না নিয়ে কেমন ধরনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে, সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান। তারা (কর্তৃপক্ষ) শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নাম বলে বলে চলে, বাস্তবে বোঝা যায় কে কতটুকু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে। ছাত্রলীগ কোনো কিছু বললে বিভিন্ন জায়গায় শুধু আমাদের নামে বিচার যায়। এখন আমরা একপ্রকার কণ্ঠরোধ। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমাদের নামে বিচার দিয়ে কণ্ঠরোধ করে ছাত্রলীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে তাঁরা।
এসব বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্যের কার্যালয়ে একাধিকবার গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সবশেষ বুধবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় মুঠোফোনে উপাচার্যকে কল করলে তিনি বলেন, ‘আমার সামনে এখন ফাইল। এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না।’
জাতীয়
সম্পদের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখেই উন্নয়ন সচল রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সম্পদের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে কীভাবে উন্নয়ন সচল রাখা যায় সেদিকে প্রকৌশলীদের লক্ষ্য রাখতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ মে) সকালে দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার।
আরও আসছে…
টিআর/
ঢাকা
বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু, আহত ৩
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনার চৈতাব এলাকায় যাত্রীবাহি বাস এবং মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ৩ মাইক্রোবাস যাত্রী।
শনিবার (১১ মে) ভোরে মহাসড়কের চৈতাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাইক্রোবাস চালক আ: সালাম (৪৩) এবং যাত্রী পিয়াল (২৬)।
পুলিশ জানায়, ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস সিলেটের দিকে যাচ্ছিলো। ভোর পৌনে ৬টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনার চৈতাব এলাকা পৌঁছালে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসট অন্য একটি গাড়ীকে ওভারটেক করতে যায়। এসময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এবং আহত হয় মাইক্রোবাসে থাকা আরও ৩ যাত্রী। দুর্ঘটনার পর যাত্রীবাহী বাসটি পালিয়ে যাওয়ার সময় ভুলতা থেকে আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ।
ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ওসি ইলিয়াছ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এসি//
জাতীয়
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)। পরিপত্রে দেয়া নির্দেশনায় সংস্থাটি জানায়, এখন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি কোনো নাগরিকের দেশে এনআইডি করতে আর দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না।
সম্প্রতি এনআইডির সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানান।
পরিপত্রে জানানো হয়, প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম সহজ করতে ও মাঠপর্যায়ে সব অফিস থেকে বিড়ম্বনামুক্ত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে
১. দ্যা সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, ১৯৫১ দ্যা বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেমপোরারি প্রভিশন) অর্ডার, ১৯৭২ এর বিধান অনুসারে যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দাখিলের প্রয়োজন নেই। এই আইন ও আদেশ অনুযায়ী আবেদনকারীর পিতা/মাতা অথবা দাদা-দাদির বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র/ বাংলাদেশি পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/অনলাইন জন্ম সনদ/অনলাইন মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদের কপি দাখিল করতে হবে।
২. কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তাকেও জাতীয় পরিচয় প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
৩. দ্যা বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেমপোরারি প্রভিশন) রুলস, ১৯৭৮ এর রুল ৪ এর বিধান অনুযায়ী বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
৪. বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার শর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, উক্ত বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা হতে তার নাম কর্তন করা জন্য নির্দেশনা দিতে পারবে।
৫. প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনসমূহ প্রাপ্তির পর বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণসহ ৭ কার্য দিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং ২ কার্য দিবসের মধ্যে ডাটা আপলোড নিশ্চিত করতে হবে।
৬. প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকত্ব আইন, ভোটার তালিকা আইন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন এবং এ সংক্রান্ত সব বিধি বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। নতুন এই পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল জারিকৃত স্মারকটি বাতিল করা হলো।
টিআর/
- জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- বাংলাদেশ7 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- জাতীয়7 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
- চট্টগ্রাম2 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত