বাংলাদেশ
গাইবান্ধা-৫ আসন: মনোনয়নপত্র কিনলেন নিশাদ
গাইবান্ধা-৫ আসনে (সাঘাটা ও ফুলছড়ি) উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি দৈনিক জয়যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ক্রয় করেন তিনি।
মনোনয়ন তোলার পর আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ উপনির্বাচনে জয়ী হলে সাধারণ জন্য কী করবেন তার সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন।
এ সময় বলেন, চরাঞ্চলের প্রসূতি মায়েদের অতি জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে পৌঁছাতে সরকারিভাবে হেলিকপ্টার সাপোর্ট চালুর উদ্যোগের জন্য সরকারকে জোর দাবি জানাব। সাঘাটা-ফুলছড়িতে এমন অন্তত একটি প্রতিষ্ঠান করা যেমন, ক্রিকেট একাডেমী, মিল্ক ভিটার ক্রয় কেন্দ্র, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইন্সটিটিউটের পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা; যেখানে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় দুই উপজেলায় অর্থনৈতিক প্রবাহ সৃষ্টি হবে।’
‘ফুলছড়ির বালাসীঘাট থেকে ট্যানেল অথবা সেতু দ্রুত বাস্তবায়নে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ, যাতে এই অঞ্চলের মানুষের রাজধানীর সাথে যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী হয় এবং কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য অল্প সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির মাধ্যমে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পায়। এ ছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য চরাঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মান-সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত এবং কয়েকটি চর মিলে একটি করে হাইস্কুল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের চোখ দিয়ে আমি সাঘাটা-ফুলছড়িকে দেখতে চাই। তাদের লেখনীর মাধ্যমে এই এলাকার বিভিন্ন বিষয় উঠে আসবে। তাদের সাথে নিয়েই এসব বিষয়গুলো সমাধানের মাধ্যমে এই দুই উপজেলাকে উন্নত উপজেলায় রূপ দিতে চাই।’
এ সময় আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান প্রতিশ্রুতি দেন সরকারিভাবে কোনো হাসপাতাল হওয়ার আগে চরের মানুষের জন্য নিজস্ব উদ্যোগে কমিউনিটি ক্লিনিক চালানো। অর্থাৎ চরের মানুষের জন্য যতদিন সরকারি হাসপাতাল না হবে ততদিন নিজস্ব অর্থায়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাবেন নিশাদ।
সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন আসনটি এরই মধ্যে শূন্য ঘোষণা করে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হলে এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী নাহিদুজ্জামান নিশাদের সঙ্গে ব্যাপক প্রতিযোগিতা হবে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন।
সাঘাটা উপজেলার ১০ টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। দুই উপজেলা মিলে এ আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ হাজার ৭৫৫। এ আসনে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন থাকলে দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিভক্তি বেড়েছে অনেকেগুণে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২২ জুলাই নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। এরপর গত ২৪ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদ সচিবালয়।
এই আসনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ তারিখ ১৬-১৮ সেপ্টেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ সেপ্টেম্বর।
মেঘ
জাতীয়
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীরা যে কয়িদন ছুটি পাবেন
ঈদ কাছে আসার সাথে সাথে ছুটির হিসাব-নিকাশও করতে থাকেন প্রায় সবাই। চলতি বছর কোরবানির ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর মধ্যে ৩ দিন ঈদের ছুটি ও বাকি ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে সোমবার (১৭ জুন) দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হতে পারে। এ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারি ছুটির তালিকা। ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদের আগের দিন ১৬ জুন (রোববার) থেকে কোরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত।
এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মুসলমানদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ অন্যতম। রোজার ঈদ তথা ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত তিন দিন চলে ঈদুল আজহা।
এবার ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ কিংবা ১৭ তারিখে। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের ১৬ তারিখে দেশটিতে পালিত হবে কোরবানির ঈদ।
উল্লেখ্য, সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয় বাংলাদেশে। সেই হিসাবে দেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এই তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
এএম/
বাংলাদেশ
আবারও মা হচ্ছেন একতা
আবারও মা হচ্ছেন বলিউড অভিনেতা জিতেন্দ্র কন্যা এবং পরিচালক-প্রযোজক একতা কাপুর। ২০১৯ সালে সারোগেসির মাধ্যমে প্রথমবার মা হন তিনি। এবারও কি সারোগেসির সাহায্যই নিচ্ছেন তিনি?
২০১৯ সালে ছেলের মান হন একতা। নাম রেখেছেন রবি। ছেলের বয়স এখন পাঁচ। এরমধ্যেই এবার বলিপাড়ায় ফের গুঞ্জন উঠেছে, দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন এই প্রযোজক।
জিতেন্দ্রর দুই সন্তান একতা এবং তুষার, কেউই বিয়ে করেননি। ২০১৬ সালে সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হন একতার ভাই তুষার। তার ছেলে লক্ষ্যকে যত্নে বড় করে তুলছিলেন একতা। ভাইপোকে দেখার পরই নিজেও মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে একতা জানিয়েছেন, তিনি বিয়ে করবেন না। কিন্তু, মা হয়ে সন্তানকে বড় করতে চান। সে কারণেই সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
যদিও ৩৬ বছর বয়স থেকেই নিজেই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করছেন একতা। বিয়েতে অনীহা, তবু মা হতে চেয়েছিলেন। তাই সারোগেসির মাধ্যমেই মা হয়েছেন তিনি। এবারও সেই পন্থাই অবলম্বন করবেন। যদিও এই প্রসঙ্গে এখন একতার তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
একতা চেয়েছেন তার ছেলে রবি যাতে সঙ্গীর অভাববোধ না করে, তাই এই সিদ্ধান্ত। তিনি ও তার ভাই তুষার যেমন একে অপরের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেমনটাই হোক তার ছেলের ক্ষেত্রেও। সেই কারণেই আবারও মা হওয়ার সিদ্ধান্ত তার।
উল্লেখ্য, সুপারস্টার জিতেন্দ্রর মেয়ে হলেও অভিনয়ের পথে কখনও যাননি একতা। মাত্র সতেরো বছর বয়সে তিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তার পর বাবার আর্থিক সাহায্যে ‘বালাজি টেলিফিল্মস’ নামের প্রযোজনা সংস্থা খুলে ফেলেন একতা। তাঁর প্রযোজনায় তৈরি প্রথম কয়েকটি সিরিয়াল তেমন ভালো চলেনি। ভাগ্য ফেরে কমেডি ধারাবাহিক ‘হাম পাঁচ’-এর মাধ্যমে। ২০০০ সাল থেকে একতার ‘K’ সিরিজ শুরু হয়। এই শব্দটিকে খুবই লাকি মনে করেন তিনি। তাই নিজের প্রত্যেক ধারাবাহিকের নাম ‘K’ দিয়েই রাখতে শুরু করেন। ‘কিউকি সাঁস ভি কভি বহু থি’, ‘কাহানি ঘর ঘর কি’, ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’, ‘কসম সে’র মতো জনপ্রিয় সিরিয়াল দর্শকদের দিয়েছেন একতা। পেয়েছেন ‘টেলিভিশন ক্যুইন’-এর তকমা।সিনেমার প্রযোজনাতেও সাফল্য পেয়েছেন একতা। তাঁর শেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘লাভ সেক্স অউর ধোঁকা ২’ সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে।
জাতীয়
সড়ক দুর্ঘটনায় গাফলতি যারই তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিনীন গাড়ি, চলন্ত অবস্থায় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিকেও সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় চালক, মালিক, হেলপার যারই গাফলতি থাকবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
শনিবার (১১ মে) সকালে রাজধানীর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির হলরুমে নিরাপদ সড়ক চাই ১০তম মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় প্রতিদিন সড়কে কমপক্ষে ১৪ জন প্রাণ হারাচ্ছেন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের ১৭টি নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।
একইসাথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক যাত্রীসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
টিআর/
- এশিয়া3 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- টুকিটাকি7 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
- জাতীয়7 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা