Connect with us

এশিয়া

আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি

Published

on

জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস- আইসিজেতে তোলো রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আপত্তি তুলেছে মিয়ানমার। গেল ২০ জানুয়ারি বিচারিক কর্মকাণ্ড এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিতে আবেদন করেছে দেশটি। সেনাবাহিনীর অভ্যূত্থান ও ক্ষমতাসীন এনএলডি নেত্রী অং সান সু চিসহ দলীয় কর্মকর্তাদের আটকে দশ দিন আগে আইসিজেতে আপত্তি জানায় মিয়ানমার। তবে, আপত্তিতে মিয়ানমার কী জানিয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি আইসিজে।

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, গাম্বিয়ার করা মামলা নিয়ে মিয়ানমার আপত্তি তোলায় এখন আদালতে শুনানি হবে। ফলে মিয়ানমার গণহত্যা রীতি লঙ্ঘন করেছে কি না তা নিয়ে আইসিজের চূড়ান্ত শুনানি আরও অন্তত এক বছর পিছিয়ে যাবে।

গেল ২৮ জানুয়ারি দেওয়া এক বিবৃতিতে আইসিজে বলেছে, আদালতের বিচারব্যবস্থা ও মামলার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রাথমিকভাবে আপত্তি তুলেছে মিয়ানমার। আপত্তির সই করা কপি মামলার অপর পক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টার বলছে, গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমার আপত্তি তোলায় রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের বিষয়টি আরও পিছিয়ে যেতে পারে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোয় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেন আইসিজে। অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ বলতে এমন এক জরুরি পদক্ষেপ বোঝানো হচ্ছে যা মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। মামলার চূড়ান্ত রায় হতে কয়েক বছর লেগে যাবে। এই সময়ে রোহিঙ্গারা যেন নতুন করে নির্যাতনের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করবে এই অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ।

Advertisement

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা নির্যাতনের গণহত্যার অভিযোগে আইসিজের কাছে প্রাথমিক আপত্তি দায়েরের পর আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল গাম্বিয়া। ২০১৭ সালে রাখাইনে সামরিক বাহিনীর নিপীড়নে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ২০২১ সালে ২০ জানুয়ারি আদালতের এখতিয়ার এবং আবেদনের স্বীকৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক আপত্তি দায়ের করে মিয়ানমার সরকার।

দায়ের করা আপত্তির প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি তারা। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছে, মামলার শুনানি করার এখতিয়ার আদালতের আছে কিনা এবং গাম্বিয়া মামলা আনার উপযুক্ত অবস্থান রয়েছে কিনা তা অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

এসএন

Advertisement
Advertisement

এশিয়া

অবশেষে পেঁয়াজ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুললো ভারত

Avatar of author

Published

on

পেঁয়াজ

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর প্রায় ৬ মাস পর নিষেধাজ্ঞা জারির পর অবশেষে তা তুলে নিলো ভারত। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।

ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গেলো বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে— সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।

বিস্তারিত আসছে…

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক

Avatar of author

Published

on

গাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘বাধাহীন ও যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ প্রবাহ’ অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ বহাল থাকবে।

এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে যে এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।

দেশ দুটির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘স্বৈরশাসক’ এর মতো আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

Advertisement

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎয বলেন, এরদোয়ান ‘তুরস্কের জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সমঝোতাকে উপেক্ষা করেছেন’।

তিনি জানান, মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে তুরস্কের সাথে বাণিজ্যের বিকল্প সন্ধান করতে যাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানিতে জোর দেয়া হবে।

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরায়েলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরায়েলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে দশজন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি অধিকারকর্মী নিহত হবার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিলো।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দুই বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনায়।

Advertisement

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গেলো সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

তিনি বলেছেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা ‘হিটলার যা করেছিলো তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়’।

জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এরদোয়ান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন’।

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে এগার লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিলো এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে পিয়ার নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েকদিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

Advertisement

ভাসমান ওই পিয়ারে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিলো।

যদিও জাতিসংঘ বলেছে সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারংবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরায়েল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে। তবে জর্ডান বলেছে তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বিবিসিকে বলেছেন যে এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরায়েল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

Advertisement

ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-হামাস নতুন যুদ্ধবিরতি! যা আছে প্রস্তাবে

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের  স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময় নিশ্চিত করতে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী  তিন দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। সম্প্রতি ওই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-মায়েদিনের কাছে পৌঁছেছে।

এরই ভিক্তিতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাবে মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র জিম্মি ও বন্দীদের বিনিময়ের কথা বলা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ি, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে চলে যাবে। এসময় দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ইসরায়েলি সামরিক বা বেসামরিক বিমান গাজার  আকাশে উড়বে না।  বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের দিন  অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।

প্রথম ধাপের ৭ম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-রশীদ স্ট্রিট থেকে আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।

প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস তাদের হাতে জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলি একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে। আর এই  মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না মর্মে ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে ইসরায়েল।

খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস  এবং  পরবর্তীতে প্রতি তিন দিন পরপর ৩ জন করে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।

এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস যোদ্ধাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা। প্রথম ধাপের ১৬ তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করবে।

প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য  একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, নিজ ভূমিতে বাস্তুচ্যুত হওয়াদের  জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে ওই খসড়া চুক্তিতে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঐক্যমতে পৌঁছবে। এছাড়া, এই ধাপে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়াসহ তা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।

তৃতীয় ধাপের মেয়াদও হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত হামাস যোদ্ধা বা  ইসরায়েলি সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এসময় ফিলিস্তিনের হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়।

তৃতীয় ধাপে চলার সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন বা পক্ষগুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করতে পারবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথিতে জানা গেছে, এই চুক্তির গ্যারান্টার বা নিশ্চয়তাদানকারী হচ্ছে- কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এমআর

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অপরাধ5 mins ago

উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার...

জাতীয়28 mins ago

বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের...

ডিবি-হারুন ডিবি-হারুন
অপরাধ60 mins ago

মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ...

নকল-ওরস্যালাইন,-গ্রেপ্তার নকল-ওরস্যালাইন,-গ্রেপ্তার
অপরাধ3 hours ago

বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়ায় বেড়ে যায় খাবার ওরস্যালাইনের চাহিদা। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধুচক্র কারখানা স্থাপন...

জাতীয়3 hours ago

বাড়ছে ট্রেনভাড়া, কোন রুটে কত জেনে নিন

ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম...

ট্রেনের সংঘর্ষ ট্রেনের সংঘর্ষ
জাতীয়3 hours ago

ট্রেন দুর্ঘটনা: শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

গাজীপুরে তেলবাহী ট্রেন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় রাতভর চলেছে অভিযান। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ।...

মাদকবিরোধী মাদকবিরোধী
অপরাধ3 hours ago

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...

বাংলাদেশ4 hours ago

দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা

রাজধানীর বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে পোশাক শ্রমিকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওই এলাকাসহ আশপাশের...

জাতীয়5 hours ago

বনানী সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

রাজধানীর বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে করে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব...

দুর্ঘটনা দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনা6 hours ago

লরিচাপায় প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৩ জনের

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির...

Advertisement
অপরাধ5 mins ago

উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি

আন্তর্জাতিক18 mins ago

১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে নার্সের ৭৬০ বছরের কারাদণ্ড

জাতীয়28 mins ago

বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত হয়ে আছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

শত্রুঘ্ন সিনহা, সোনাক্ষী সিনহা
বলিউড32 mins ago

বাবা-মা-ভাই রাজনীতিতে যুক্ত, যে কারণে এতে আসতে চান না সোনাক্ষী

ফুটবল36 mins ago

কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছেন কোর্তোয়া

রাজশাহী40 mins ago

নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ হলেই ভোট স্থগিত হবে: ইসি রাশেদা

চট্টগ্রাম54 mins ago

বাংলাদেশে ফের ৪০ বিজিপির প্রবেশ

ডিবি-হারুন
অপরাধ60 mins ago

মিল্টনের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: হারুন

শিক্ষা2 hours ago

শিক্ষকের বেতনের বিষয়ে সরকার কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী

অঙ্কিতা
বিনোদন2 hours ago

হাসপাতালে একই সঙ্গে শয্যাশায়ী ভিকি-অঙ্কিতা!

বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া7 days ago

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি

ঢাকা4 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

অপরাধ3 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

টুকিটাকি5 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

ভারতের-তামিলনাড়ুর-দেবঙ্গ-আর্ট-কলেজের-সাবেক-সহকারী-অধ্যাপক-নির্মলা-দেবী
আন্তর্জাতিক2 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

দেশজুড়ে3 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

খুলনা6 days ago

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

তথ্য-প্রযুক্তি1 day ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

ঢালিউড2 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরামর্শ2 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত