Connect with us

জাতীয়

শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মহান মে দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যপী করোনা সংক্রমণের ভয়াল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সরকার শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকার সংকট মোকাবিলায় শ্রমিকদের বেতনের জন্য ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রফতানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পে কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা-২০২০ বাস্তবায়নের জন্য শ্রম অধিদফতরের অনুকূলে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিশ্চিতকরতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মহান মে দিবস বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক।’ এই ঐতিহাসিক দিনে তিনি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সকল মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মহুতি দেয়া বীর শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষ, মুজিববর্ষে গড়বো দেশ’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল’ গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো খাতে নিয়োজিত কোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্যও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। আমরা রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রমকল্যাণ নিশ্চিতকরণে ‘জাতীয় শ্রমনীতি, ২০১২’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নীতিমালা, ২০১৩’ এবং ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, ২০১১’ প্রণয়ন করেছি। পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল’ গঠন করা হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদফতরকে অধিদফতরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদফতরকে সম্প্রতি অধিদফতরে রুপান্তরিত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এতে এক কোটির বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। দেশি-বিদেশি সকল বিনিয়োগকারী যত্রতত্র শিল্প স্থাপন না করে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী শ্রমিককের জন্য শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রণিত হয়ে করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই ভূমিকা রাখি- মহান মে দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। আমরা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্বের সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লহ।’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মহান মে দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এএ

Advertisement

জাতীয়

চলতি মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

Published

on

পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মো. আসাদুজ্জামান নামে বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা গেছেন। চলতি হজ মৌসুমে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। গেলো ১৫ মে তিনি মদিনায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত তিনটার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিদিনের বুলেটিনে আরও জানানো হয়, পবিত্র হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত (১৭ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী। মোট ৬৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৩ হাজার ৩৬৪ জন।এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

গেলো ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

Advertisement

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত

Published

on

কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শুক্রবার (১৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল তারেক ১৯৮৯ সালে কমিশন লাভ করেন। সামরিক কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে স্টাফ ও কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডিরেক্টর স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সমগ্র কর্মজীবনে তার প্রধান কার্যাবলীর মধ্যে আছে বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কমান্ড্যান্ট, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, ৪৪ এবং ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার।

মেজর জেনারেল তারেক অ্যাঙ্গোলা এবং আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র সম্মানও পেয়েছিলেন। মেজর জেনারেল তারেক সারা বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের অনন্য সুযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ভারতের ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ এবং পেনসিলভেনিয়ায় ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিলকিস বেগম সিমির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুইটি কন্যা সন্তান আছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ইন্টারনেটের গতিতে ২ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

Published

on

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে। সর্বশেষ এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১১০তম। মার্চ মাসে তালিকায় দেশের অবস্থান ছিলো ১১২তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতেও দুই ধাপ এগিয়ে ১০৮তম থেকে ১০৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদনে প্রতি মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেটের গতি কেমন তা তুলে ধরে ওকলা।

ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এপ্রিলে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিলো ২৩ দশমিক ৮৩ এমবিপিএস ও আপলোড স্পিড ছিলো ১০ দশমিক ৮০ এমবিপিএস। এ সময়ে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিলো ২৬ মিলিসেকেন্ড।

অন্যদিকে, একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গতি ছিলো ৪৬ দশমিক ৫২ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিলো ৪৫ দশমিক ৩১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিলো ৫ মিলিসেকেন্ড।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত