Connect with us

করোনা ভাইরাস

ভারতে কোভিড রোগীদের অন্ধ করে দিচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস

Published

on

ভারতে যখন কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিচ্ছে বহু মানুষের জীবন, তছনছ করে দিচ্ছে জনজীবন, তখন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত ধরা পড়ছে বিরল এক সংক্রমণ। এর নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা বৈজ্ঞানিক নাম মিউকোরমাইকোসিস। ভারতের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, কোভিড থেকে আরোগ্যের পথে বা সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের শরীরে বাসা বাধে বিরল রোগটি। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

বিবিসি জানায়, গেল শনিবার ২৫ বছর বয়সী এক নারীর চোখে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মুম্বাইয়ের চোখের ডাক্তার ডা. অ্যখশে নায়ার। তিন সপ্তাহ আগে কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ওই নারী।

সেসময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে ক্লিনিকে তার নাকের ভেতর নল ঢুকিয়ে মিউকোমাইকোসিস বা বিপজ্জনক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কোষগুলো বের করে আনছিলেন একজন কান, নাক ও গলার ডাক্তার। বিরল এই ছত্রাকের সংক্রমণ খুবই মারাত্মক। এটি নাক, চোখ এবং কখনও কখনও মস্তিষ্কেও আক্রমণ করে।

কান, নাক ও গলার ডাক্তারের কাজ শেষ হলে ওই রোগীর চোখে অস্ত্রোপচার শুরু করবেন ডা. নায়ার। তিন ঘন্টার অস্ত্রোপচার করে তার চোখ কেটে বাদ দেবেন তিনি।

ডা. নায়ার জানান, জীবন বাঁচাতে তার চোখ আমাকে বাদ দিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার আর কোন উপায় নেই।

Advertisement

মিউকোরমাইকোসিস কেমন সংক্রমণ?

মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটি সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত ছত্রাকটি পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসব্জিতে।

ডা. নায়ার জানান, এটা মাটি এবং বাতাসে এমনিতেই বিদ্যমান থাকে। এমনকি নাক ও সুস্থ মানুষের শ্লেষ্মার মধ্যেও এটা স্বাভাবিক সময়ে থাকতে পারে।

এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। যাদের ডায়াবেটিস, ক্যান্সার বা এইচআইভি/এইডস আছে বা কোন রোগের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম এই মিউকোর থেকে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

চিকিৎসকরা বলছে, মিউকোরমাইকোসিস থেকে মৃত্যুর আশংকা ৫০%। স্টেরয়েডের ব্যবহার থেকে এই সংক্রমণ শুরু হতে পারে বলে তাদের ধারণা। কোভিড-১৯ এ গুরুতরভাবে আক্রান্তদের চিকিৎসায় জীবন বাঁচাতে এখন স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

Advertisement

স্টেরয়েড কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। করোনার জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে যেসব ক্ষতি হয় তা থামানোর জন্যও কোভিডের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করে ডাক্তাররা।

কিন্তু এই স্টেরয়েড স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে তো বটেই যাদের ডায়াবেটিস নেই এমন কোভিড আক্রান্তদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণেই মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি?

ডা. নায়ার জানান, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে কমে যায়। করোনায় আক্রান্ত হলে তা আরও কমে যায়। এর ওপর কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য স্টেরয়েড দেওয়া হলে আগুনে ইন্ধন যোগানোর মত হয়ে দাঁড়ায়।

মুম্বাইয়ের তিনটি হাসপাতালে কাজ করেন ডা. নায়ার। তিনি বলছেন, শুধু এপ্রিল মাসেই এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণে ভোগা প্রায় ৪০ জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন। এদের বেশিরভাগই ছিল ডায়াবেটিসের রোগী, যারা কোভিড সংক্রমণের পর বাসায় সুস্থ হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে অস্ত্রোপচার করে এগারোজনের চোখ ফেলে দিতে হয়েছে।

Advertisement

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, মাত্র তিন মাসের মধ্যে মাত্র ছয়টি শহরে তার মাত্র ছয়জন সহকর্মী চিকিৎসক ৫৮ জন রোগীর মধ্যে এই সংক্রমণ জানিয়েছে। এদের বেশিরভাগই ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হয়েছে সেরে ওঠার ১২ থেকে ১৫ দিনের মাথায়।

গেল দুই মাসে মুম্বাইয়ের ব্যস্ত সিয়ন হাসপাতালে এই ভয়ঙ্কর ছত্রাক সংক্রমণের ২৪টি কেসের কথা জানা গেছে। ওই হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান ডা. রেণুকা ব্র্যাডু জানিয়েছেন, এর আগে এই কালো ছত্রাক সংক্রমণ বা মিউকোরমাইকোসিসের শিকার হওয়া রোগীর সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল বছরে ছয়টি।

তিনি আরো জানান, এখন প্রতি সপ্তাহে দুটি থেকে তিনটি কেস আমরা পাচ্ছি। প্যানডেমিকের মধ্যে এটা ভয়ানক বিপর্যয়কর।

একই ধরনের চিত্র তুলে ধরেছেন দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্যাঙ্গালোরের চোখের সার্জন ডা. রাঘুরাজ হেগড়ে। গেল দুই সপ্তাহে তার কাছে মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ১৯জন রোগী এসেছে। এদের বেশিরভাগই অল্প বয়সী। কেউ কেউ এত অসুস্থ ছিল যে তাদের অস্ত্রোপচারও করা যায়নি।

চিকিৎসকরা বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এই ছত্রাক সংক্রমণের ভয়াবহতা এবং এত দ্রুত তা ছড়ানোর ঘটনায় তারা খুবই বিস্মিত। গেল বছর কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় এই সংক্রমণ ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

Advertisement

উপসর্গ কী?

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীদের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে:

নাক বন্ধ যাওয়া এবং নাক থেকে রক্ত পড়া

চোখে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া

চোখের পাতা ঝুলে পড়া

Advertisement

চোখে ঝাপসা দেখা, পরে দৃষ্টিশক্তি চলে যায়

নাকের চামড়ার চারপাশে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেওয়া

চিকিৎসকরা বলছে, তাদের কাছে দেরিতে পৌঁছাচ্ছে বেশিরভাগ রোগীই। এতে তারা দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে। এই পর্যায়ে ডাক্তারের অস্ত্রোপচার করে চোখ ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। কারণ ছত্রাকের মস্তিষ্কে আক্রমণ ঠেকাতে চোখ বাদ দেওয়ার বিকল্প থাকে না।

ভারতের ডাক্তাররা বলছে, কোন কোন ক্ষেত্রে দুই চোখেরই দৃষ্টি হারাচ্ছে রোগীরা। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণ রুখতে চিকিৎসকদের রোগীর চোয়ালের হাড়ও কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। তবে তা একেবারে মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে।

এর চিকিৎসা কী?

Advertisement

ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য শিরার মধ্যে ইঞ্জেকশন দেওয়ার ওষুধের দাম ভারতীয় মুদ্রায় এক ডোজ ৩,৫০০ রুপি। রোগীকে এই ওষুধ দিতে হবে প্রতিদিন আট সপ্তাহ ধরে। এটাই এই রোগের চিকিৎসায় একমাত্র কার্যকর ওষুধ।

প্রতিরোধ সম্ভব?

মুম্বাইয়ের ডায়াবেটিসের চিকিৎসক ডা. রাহুল বক্সি বলেছেন, এই ছত্রাক সংক্রমণ এড়ানো একমাত্র সম্ভব কোভিড-১৯ এর রোগীর চিকিৎসার সময় এবং সুস্থ হয়ে ওঠার সময় যদি নিশ্চিত করা যায় তাকে সঠিক পরিমাণ স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে, সঠিক সময় ধরে।

তিনি জানান, গেল বছর ৮০০ জন ডায়াবেটিক কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা করেছেন তিনি। এদের কেউ কোভিড পরবর্তী ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হয়নি। রোগী সুস্থ হবার পর বা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তার রক্তে শর্করার মাত্রা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা খুবই জরুরি।

সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, এই ছত্রাক সংক্রমণ সেভাবে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কেন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে তার কারণ সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না।

Advertisement

ডা. হেগড়ে বলছেন, এই ভাইরাসের ধরনটা আরও প্রাণঘাতী বলে মনে হচ্ছে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা খুবই বেড়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হল এতে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক তরুণ।

 

এসএন

Advertisement

করোনা ভাইরাস

ফের ফিরে আসছে করোনা-আতঙ্ক!

Avatar of author

Published

on

করোনা

মানুষ যখন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে, তখনই হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। যদিও নতুন এ ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।

নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—

১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি— যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

Advertisement

২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে সংক্রমণের হার বেশি। তবে ঝুঁকি কম।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২০৪ জনের

Published

on

গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৫ জন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২ জন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আফগানিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

এক মাসে করোনা রোগী বেড়েছে ৫২%

Avatar of author

Published

on

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গেলো চার সপ্তাহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। এ সময় নতুন করে সাড়ে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুহারও। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, আগের ২৮ দিনের তুলনায় গেলো চার সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।

সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ লাখেরও বেশি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনকে।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের জেএন.১ ধরনটিকে পৃথক ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিকে এতদিন করোনার বিএ.২.৮৬ ধরনের একটি অংশ হিসেবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গণ্য করা হতো। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জেএন.১-এর কারণে এ মুহূর্তে অতিরিক্ত কোনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে উত্তর গোলার্ধে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এটি শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়58 mins ago

মুক্তি পাননি মামুনুল হক, কখন পাবেন জানালো কারা কর্তৃপক্ষ

ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার(২মে) রাতে মুক্তি পাননি। ওই রাতেই তার...

আইন-বিচার4 hours ago

মামুনুল হকের জামিন, জেল গেটে নেতাকর্মীদের ভিড়

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুন হক আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এখন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির অপেক্ষায় আছেন। রাতেই তিনি কারা মুক্ত...

জাতীয়5 hours ago

বাসার পথে বেগম খালেদা জিয়া

প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে...

বাংলাদেশ6 hours ago

‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’

গাজা ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্থানীয় সময় বুধবার(১...

রেমিট্যান্স রেমিট্যান্স
জাতীয়6 hours ago

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা

সদ্যবিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২...

অপরাধ7 hours ago

নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মায়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের ফেরত আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে...

জাতীয়8 hours ago

নির্বাচনে কাউকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা

নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে...

আইন-বিচার11 hours ago

মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে

মিরপুর মডেল থানার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির...

চাল চাল
জাতীয়12 hours ago

চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

চাউলের যে পুষ্টিগুন থাকে অতিরিক্ত ছাঁটাইয়ে ও পলিশ কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে...

সাবেক-অ্যাটর্নি-জেনারেল-এ-জে-মোহাম্মদ-আলী সাবেক-অ্যাটর্নি-জেনারেল-এ-জে-মোহাম্মদ-আলী
আইন-বিচার12 hours ago

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা...

Advertisement
জাতীয়58 mins ago

মুক্তি পাননি মামুনুল হক, কখন পাবেন জানালো কারা কর্তৃপক্ষ

আন্তর্জাতিক2 hours ago

ইসরায়েল-হামাস নতুন যুদ্ধবিরতি! যা আছে প্রস্তাবে

চট্টগ্রাম4 hours ago

কুমিল্লায় বজ্রপাত, পৃথক স্থানে চারজনের মৃত্যু

বলিউড4 hours ago

আসছে কৃষ-৪,প্রতীক্ষার পালা শেষ হৃত্বিক ভক্তদের

আইন-বিচার4 hours ago

মামুনুল হকের জামিন, জেল গেটে নেতাকর্মীদের ভিড়

ঢাকা5 hours ago

অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো ঢাকা

ঢালিউড5 hours ago

বাচসাস’র গোলটেবিল বৈঠক: সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর দাবি

বলিউড5 hours ago

‘সত্যজিত রায়: বাংলা চলচ্চিত্র যোদ্ধার সাহসিক প্রতিভা’

জাতীয়5 hours ago

বাসার পথে বেগম খালেদা জিয়া

বাংলাদেশ6 hours ago

‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’

দুর্ঘটনা6 days ago

৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই

বাংলাদেশ6 days ago

এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!

বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া5 days ago

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি

টুকিটাকি3 days ago

সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও

বিএনপি
বাংলাদেশ6 days ago

৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

ঢাকা2 days ago

টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার

খুলনা5 days ago

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক6 days ago

বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত

অপরাধ1 day ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক6 days ago

বিয়েতে পাওয়া স্ত্রীর উপহারে স্বামীর অধিকার নেই

উত্তর আমেরিকা1 week ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত