দেশজুড়ে
দ্বিতীয় দিনেও চলছে নৌযান ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রী
ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকাসহ ১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি। এতে যাত্রী ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর সদরঘাটসহ দেশের সবকটি নৌবন্দরে শ্রমিকরা কর্মবিরতির অংশ হিসেবে কাজে যোগদান থেকে বিরত রয়েছেন।
যাত্রীরা জানান, আমরা জানতাম না যে, ধর্মঘট চলছে। ঘাটে এসে দেখি কোনো লঞ্চ চলছে না, তাই বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছি।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বলছেন, আমরা অনেক দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ শুনছেন না। একের পর এক আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছেন, বাস্তবায়ন কিছুই হচ্ছে না। শ্রমিকদের দাবিগুলো না মানলে ধর্মঘট চলবে।
শ্রমিক-মালিক সমঝোতার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামাল বাদল সাংবাদিকদের বলেন, নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট করেছে কিন্তু এখন আমাদের করার কিছু নেই।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এমনকি বন্দরের পাশে থাকা ১৭টি ঘাটে লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামার কাজও বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক নেতারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পণ্য খালাস বা ওঠা-নামার কোনো কাজই করেননি তারা।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো-
১.নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র
২. পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ
৩. খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা
৪.দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা
৫. চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা
৬. বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল
৭. নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ
৮. ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা
৯. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা
১০. চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
ঢাকা
টাকায় কেনা কারিগরি বোর্ডের সনদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে : হারুন
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানসহ বোর্ডের অন্য কর্মকর্তারা বছরের পর বছর টাকার বিনিময়ে সনদ ও মার্কশিট বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা সনদগুলো শনাক্তে তথ্য দিয়েছেন শামসুজ্জামান। আমরা সেই তালিকা প্রস্তুত করে বোর্ডের কাছে দেব। তারা সেগুলো বাতিলে ব্যবস্থা নেবে। বললেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ডিমপির গোয়েন্দা প্রধান।
হারুন অর রশীদ বলেন, রিমান্ডে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা সনদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে শামসুজ্জামান। যার মাধ্যমে সনদ শনাক্ত করে বাতিল করা যাবে। এই তথ্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হবে। পাশাপাশি বুয়েটের এক্সপার্টদের যুক্ত করে এই কাজটি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোয়েন্দা প্রধান জানান, বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। উচ্চ পর্যায়ের এই তদন্ত কমিটির কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্য থাকার পরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে কিছু সাংবাদিক, দুদক কর্মকর্তা ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের আশপাশে থাকা দালাল শ্রেণির লোকদের টাকা দিতেন শামসুজ্জামান। তিনি গুটি কয়েক সাংবাদিকদের নাম বলেছেন। তারা চাইলে শামসুজ্জামানের কিংবা ডিবির মুখোমুখি হতে পারে। প্রয়োজনে আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলব। সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের পর গেলো ২১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পর চেয়ারম্যান আলী আকবরকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আই/এ
ঢাকা
চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনকারীদের পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ১৩
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধকারীদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় ১৩ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়।
শনিবার (১১ মে) বিকেলে শাহবাগ অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করলে তাঁদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম।
এডিসি আখতারুল ইসলাম জানান, চাকরিপ্রত্যাশীরা বিচ্ছিন্নভাবে শাহবাগ অবরোধ করেন এবং কেরোসিন ঢেলে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এরই মধ্যে তাঁরা কয়েকজনকে আটক করেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, এ ঘটনার পরে শাহবাগ থেকে ফিরে গিয়ে আবারও রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে পুলিশ সেখান থেকে রিমা আক্তার, আজম মোহাম্মদ, মানিক দাস, হুমায়ুন কবির, শারমিন আক্তার, রাসেল আহমেদসহ কমপক্ষে ১৩ জনকে আটক করেছে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১টার দিকে চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সমাবেশ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
আই/এ
অপরাধ
ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবক মিললো মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ
রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিমকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেলিমের পরনের শার্ট খুলে দেখা যায়, সেলিমের পেটে ডান পাশে বড় অস্ত্রোপচারের দাগ। দাগের বিষয়ে সেলিম কোনো উত্তর দেননি। শুধু ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এলাকাবাসী ভিড় করে তাকে দেখতে এসে কেউ কেউ বলছেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সেলিমের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি করা হয়েছে।
সেলিম (৪০) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
গেলো শুক্রবার সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। সেলিম এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে বাড়িতে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। সেলিম শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা গণমাধ্যমে বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
এএম/
- এশিয়া10 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- টুকিটাকি13 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
- আন্তর্জাতিক4 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
- চট্টগ্রাম3 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন