Connect with us

ফুটবল

বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনালে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এমবাপের

Avatar of author

Published

on

একার কাঁধে দলকে টানলেন কিলিয়ান এমবাপে। আর্জেন্টিনার হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এমবাপে। গত বার বিশ্বকাপের ফাইনালে করছিলেন একটি গোল। দেশ জিতেছিল বিশ্বকাপ। এ বারের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের পরে দ্বিতীয় বার কোনও ফুটবলার ফাইনালে এই কীর্তি করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ফুটবল খেললেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হল এমবাপেকে। খেলার জন্য নায়কের মর্যাদা পেলেও বিশ্বকাপ জেতা হল না। এ বারের বিশ্বকাপে ৮ গোল করে সোনার বুট এমবাপের দখলে। কিন্তু তার পরেও চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন তিনি। তবে যাওয়ার আগে বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে একাই দাপিয়ে বেড়াবেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।

এক্সট্রা টাইম, পেনাল্টি শ্যুট-আউট – কিলিয়ান এমবাপে অতিমানব না হয়ে উঠলে বিশ্বকাপ ফাইনালে কিছুরই দরকার হত না।

রোববার বিশ্বকাপ ফাইনালে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্তিনা পুরোপুরি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করছিল। ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসিরা। মনে হচ্ছিল, ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে একপেশে ফাইনাল হিসেবে এই ম্যাচটার কথাই প্রথমে উঠবে। কিন্তু এমবাপের ৯০ সেকেন্ডের তাণ্ডবে পুরো ঘুরে গিয়েছিল ম্যাচ। ৮০ মিনিটে প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপে। ৮১ মিনিটেই দুর্দান্ত ভলিতে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান। তার জেরেই এক্সট্রা টাইমে গড়ায় ম্যাচ।

এক্সট্রা টাইমেও ফ্রান্সের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠেন এমবাপে। ১০৮ মিনিটে গোল করে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। সেইসময় মনে হয়েছিল, মেসির গোলেই বিশ্বকাপ জিততে চলেছে আর্জেন্তিনা। কিন্তু ১১৮ মিনিটে ফের গোল করে পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ম্যাচ টেনে নিয়ে যান এমবাপে। বক্সের মধ্যে আর্জেন্তিনার খেলোয়াড়ের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। তা থেকে গোল করেন এমবাপে। যে কাজটা যথেষ্ট কঠিন ছিল। কারণ গোলে ছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

টাইব্রেকারে প্রথম দুই শটেই এমবাপ্পে ও মেসি নিজ দলকে এগিয়ে রাখেন। কিন্তু পরের শটটি কিংসলে কোম্যানকে রুখে দেন এার্জন্টাইন  গোলরক্ষক  মার্টিনেজ। কিন্তু বদলী খেলোয়াড় পাওলো দিবালা ভুল করেন। ফ্রান্সের তৃতীয় শটটি বাইরে পাঠান অরিলিয়েন টিচুয়ামেনি। পরের শটে লিনদ্রো পারেডেস গোল করে আর্জেন্টিনাকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। চতুর্থ শটে কোলো মুয়ানি ফ্রান্সের আশা বাঁচিয়ে রাখলেও মন্টিয়েলের শট আটকাতে পারেননি লোরিস। এতেই আর্জেন্টিনার স্বপ্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ফুটবল

আর্জেন্টিনার জয়ে সকাল শুরু

Published

on

কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ দেয়নি কানাডা। বরং সামলিয়েছে খুব দারুণভাবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই হুলিয়ান আলভারেজ গোল পেয়ে বসেন। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল দ্বিতীয় গোলটি করে লাওতারো মার্তিনেজ। যেখানে লিওনেল মেসি থেকে সরাসরি থ্রু পাস পেয়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কানাডা। শুরু থেকেই কানাডা সুযোগ তৈরি করতে দিচ্ছিল না আলবিসেলস্তাদের। বরং কানাডা চাপ তৈরি করছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে। তবে আর্জেন্টিনা পাল্টা জবাব দিতেও সময় নেয়নি। এভাবেই গোলশূন্য শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৪৯ মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসি থেকে চমৎকার এক পাস যায় অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের কাছে। ম্যাক অ্যালিস্টার সুযোগ বুঝে আলভারেজের কাছে বল ছাড়েন। আর আলভারেজ তা জালে জড়াতে ভুল করেননি। আর্জেন্টিনার কাছ থেকে বেশ কিছু সুযোগ মিস করতেও দেখেছে স্টেডিয়ামের ৭১ হাজার দর্শক।

ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মেসির কাছ থেকে দারুণ এক থ্রু পাস দেখা যায়। যা মার্তিনেজের পা থেকে জালে জড়িয়ে পড়ে। আর উচ্ছাসে ফেটে পড়ে আকাশী-নীল খেলোয়াড়েরা। কানাডাকে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি পয়েন্ট নিশ্চিত করে নেয় আর্জেন্টিনা।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে কোপা আমেরিকার

Published

on

সংগৃহীত ছবি

কোপা আমেরিকার ৪৮তম আয়োজন শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২১ জুন) ভোর ৬ ঘটিকায় আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে কোপার। ফুটবলের প্রাচীনতম এই আয়োজন ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ থাকে আকাশচুম্বী। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মতো দল এখানে অংশ নেয়, যে দলগুলোর সমর্থক তো বিশ্বজোড়া।

যুক্তরাষ্ট্র আয়োজন করতে যাচ্ছে এবারের কোপা আমেরিকা। ২০২৬ বিশ্বকাপ মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্রকে আয়োজকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী বিশ্বকাপ।

কোপা আমেরিকার শিরোপার অন্যতম দাবিদার আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালের সর্বশেষ আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এরপর তো ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের কাঙ্ক্ষিত শিরোপাও নিজেদের করে নেয়। কোপা আমেরিকার সবচেয়ে সফল দুই দল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। উভয় দলই ১৫ বার এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে।

দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ১০ টি, উত্তর আমেরিকা থেকে ৬ টি দেশ নিয়ে আয়োজন করা হবে এবারের আসর। এই ১৬ দল যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ টি ভেন্যুতে লড়বে। দর্শকদের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল নিয়ে।

আর্জেন্টিনার গ্রুপে কানাডা, চিলি ও পেরু এবং ব্রাজিলের গ্রুপে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা। মোত ২৬ দিনের এই আসরের শিরোপা কার হাতে উঠবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

নাকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হচ্ছে এমবাপ্পের

Published

on

ইউরোর ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। জয়ের দিনে ঘটেছে এক দুর্ঘটনাও। ফ্রান্স অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষে গিয়ে নাকে বড় আঘাত পান। এরপর নানারকম শঙ্কা দানা বাঁধে। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম এই তারকা ফুটবলারের ব্যাপারে সর্বশেষ খবর জানিয়েছেন। এমবাপ্পেকে যেতে হবে নাকের অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে।

ফ্রান্সের পরবর্তী ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে এমবাপ্পের খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে। পরিস্থিতি এমনও শোনা যাচ্ছিল, টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে পারেন তিনি। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৯০ মিনিটের দিকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার কেভিন দানসোর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে এমবাপ্পের। মাঠেই রক্ত ঝড়ছিল তার। স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায়, তার নাক ভেঙে গেছে।

এমবাপ্পের নাকে অস্ত্রোপচার লাগবে না, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল ঘটনার পরপর। তবে ফ্রান্স কোচ দেশম নতুন করে জানিয়েছেন, এই তারকা ফুটবলারকে যেতে হবে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে। দেশম বলেন, ‘বুধবার (আজ) বেশ কিছু পরীক্ষা করে দেখা হবে ওর কী অবস্থা। এটা দলের জন্য বেশ হতাশার। চিকিৎসকেরা ওকে সুস্থ করে তুলতে সবরকম চেষ্টাই করে যাচ্ছে।’

এমন হতে পারে যে এখন অস্ত্রোপচার লাগছে না, তবুও পরে এমবাপ্পেকে তা করাতে হবে। এতে বোঝা যাচ্ছে নাকের আঘাতে বেশ কাবু হয়েছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত