Connect with us

ইউরোপ

সহকর্মীকে চুমু খাওয়ার ঘটনায় ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

Published

on

স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে সহকর্মীকে চুমু দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। শনিবার টুইটারে এক ভিডিওবার্তায় নিজের পদত্যাগ নিশ্চিত করেন তিনি। পদত্যাগের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে চিঠি দিয়েছেন ম্যাট।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রে হ্যানকক লেখেন, মহামারিতে যে জনগণ অসীম ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদের কাছে সরকারের সৎ থাকা উচিত। দুঃখপ্রকাশ করে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি অফিসে সহকর্মী গিনা কোলাডাঙ্গেলোর সঙ্গে ম্যাট হ্যানককের চুমু বিনিময় ও আলিঙ্গনের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান। পত্রিকাটি জানায়, গেল মে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘটনা এটি। তারা দুজনেই বিবাহিত এবং তাদের ঘরে তিনটি করে সন্তান রয়েছে।

দ্য সানের ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে কোলাডাঙ্গেলোকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকুক। ভিডিওটি সম্ভবত সিসিটিভিতে ধারণ করা হয়েছে।

Advertisement

গেল বছর গিনা কোলাডাঙ্গেলোকে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করেছেন তিন বছর দায়িত্ব পালন করা ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। টুইটারে প্রকাশ করা ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, আমি স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা খাতের মন্ত্রীর পদ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা চেয়েছি। সবাই এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করছে আমি তা অনুধাবন করতে পারি। এ কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে ওই নারীকে নিজ দপ্তরে চুমু খেয়ে হ্যানকক মন্ত্রিসভার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রশ্ন তোলে ব্রিটিশ বিরোধীদল লেবার পার্টি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে হ্যানকক বলেন, ওই পরিস্থিতিতে আমি সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করেছিলাম, এটি মেনে নিচ্ছি। আমি জনগণকে হতাশ করেছি। খুব দুঃখিত।

তার এ স্বীকারোক্তির ঘটনায় শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, ক্ষমা চাওয়ার পর বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও সমালোচনা থেমে থাকেনি। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হলো হ্যানকককে।

Advertisement

মহামারীর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় স্থানে ছিলেন হ্যানকক। করোনাজনিত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে জনগণকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

 

এসএন

Advertisement

ইউরোপ

যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে

Published

on

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।ফলে এই চুক্তির আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখান হওয়া ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। গেলো বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার উদ্দেশ্যে তাঁরা এসব করছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন জানান, চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

যুদ্ধের মধ্যেই রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন পুতিন

Published

on

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই সোইগুকে সরিয়ে দিয়েছেন। রোববার (১২ মে) এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিল প্রকাশিত মন্ত্রী পদের মনোনয়নের তালিকা অনুসারে, অর্থনীতিবিদ আন্দ্রে বেলোসোভকে শোইগুর স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।

৬৮ বছর বয়সী সেরগেই সোইগু ২০১২ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাকে এখন এই পদ থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। তবে পরবর্তীতে তাকে কোন পদে দায়িত্ব দেয়া হবে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।

Advertisement

ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই সোইগু। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শোইগু এই সেক্টরেই (প্রতিরক্ষা) কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি এই বিষয়গুলো ভালো জানেন। তিনি তার আগের কাজের জায়গায় তার সহকর্মী এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি এটি খুব ভালোভাবে জানেন।

গত মার্চের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে কারণেই পুতিনকে সাংবিধানিকভাবে সরকারের বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নতুন তালিকা দিতে হবে অথবা বিদ্যমান মন্ত্রীদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে।

চলতি বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন পুতিন। ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে পুতিন আরও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার প্রথম দুটি মেয়াদ স্থায়ী হয়েছিল চার বছর। পরে সংবিধান সংশোধন করে রুশ সরকারপ্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। পুতিনের প্রথম ছয় বছরের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে আবারও সংবিধান সংশোধন করা হয়, যার মাধ্যমে ২০২৪ সালেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান পুতিন।

গেলো মার্চের নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ৭১ বছর বয়সী এ নেতা। যদিও ওই নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা এবং ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে পশ্চিমারা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে তীব্র খরায় জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরোনো শহর

Published

on

ফিলিপাইনে চলমান অতি তাপপ্রবাহে সেখানকার একটি বিশালাকার কৃত্রিম জলাধার শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে তীব্র খরার মধ্যে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠেছে।  তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহী শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে পানি সংরক্ষণের জন্য বাঁধ তৈরি করার কারনে পাশের ঐতিহ্যবাহী পান্তাবঙ্গন শহরটি তলিয়ে যায়। সম্প্রতি অতি খরায় ধ্বংসাবশেষটি মানুষের নজরে আসে।

ফিলিপাইনের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্কতম আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে এ বছর এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো বেশী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার এই দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গায় এখন তীব্র খরা চলছে। কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল চরম তাপদাহে দেশটির রাজধানী ম্যানিলাসহ ৩০টি শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ সীমিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়।

Advertisement

জেড/এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত