Connect with us

অর্থনীতি

সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট আইএমএফ

Avatar of author

Published

on

চলমান সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে তিনি এ সন্তোষ প্রকাশ করেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এসময় আইএমএফ ডিএমডি বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত ও মৌলিক সংস্কার কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি এবং পাশাপাশি বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ইত্যাদির প্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহের করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে বাংলাদেশের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর।

Advertisement

মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বরাবরের মতো আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ দিতে আইএমএফ প্রাথমিকভাবে সম্মত হওয়ায় অর্থমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে এ ঋণ প্রোগ্রামে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রমগুলোকে সমর্থন করায় তিনি আইএমএফকে ধন্যবাদ জানান।

 

 

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অর্থনীতি

বেগুনের কেজি ১২০, মুরগির দাম ৪২০

Published

on

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে লাউ ও ঢ্যাঁড়স ব্যতীত কোনো সবজিই ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০-১২০ টাকা। মাছ-মাংস, ডিম, সবজি ও মসলাসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম চড়া। দাম বাড়তে থাকলে সবজি কেনা অসাধ্য হয়ে যাবে বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানী ও এর আশেপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেলো সপ্তাহে প্রতি কেজি  ৫০ টাকার পটল, আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া, বরবটি ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, ঝিঁঙে ৬০ টাকা, এক ফালি মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ১০০-১২০ টাকা, কচুমুখি ১৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা ও প্রতি পিস বাঁধা কপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। এর প্রভাবে দাম বাড়ছে।

রায়ের বাজারের সবজি বিক্রেতা রমিজ মিয়া জানান, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় কৃষক তেমন সবজি উৎপাদন করতে না পারায় ঢাকায় সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।

Advertisement

সবজি ক্রেতা রহমতুল্লাহ জানান, সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে, কিনে খাওয়াই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেবল লাউয়ের দাম কিছুটা কম। তাছাড়া, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেগুন না কি মানুষ খায় না, অথচ সেই বেগুনও ১০০-১২০ টাকা কেজি। যারা নিম্নআয়ের মানুষ,তাঁরা এমন চলতে থাকলে কোনো সবজিই আর কিনে খেতে পারবে না।

স্বস্তি নেই মাছের বাজারে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বড় সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ২০০০ টাকা এবং ছোট ৭০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ মাছ বাজারে বিক্রেতা তুহিন বলেন, এক মাস আগের চেয়ে প্রতিটি মাছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। এতে তাঁদের বেচাকেনা কমেছে। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে। আরতে মাছ নাই। যা পান, তা চড়া দাম। ক্রেতারা নিচ্ছেন না।

মাংসের স্বাদ পেতেও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৪০০-৪২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালী মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৮০ টাকা।

Advertisement

এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

প্রসঙ্গত,  নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতাদের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

সংসদে বাজেট পেশ ৬ জুন

Published

on

৫০-নারী-সংসদ-সদস্যদের-শপথ

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ‘আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। সূত্র : বাসস

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

Published

on

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং চট্টগ্রামে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর প্রকল্প যাতে না নেয়া হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত