জাতীয়
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক তানু, হাতকড়া হাতে হাসপাতাল
ঠাকুরগাঁও আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের কম টাকার খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে—এমন সংবাদ প্রকাশের জেরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ও জাগোনিউজ২৪.কমের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু।
শনিবার (১০ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানাহাজতে নেয়া হলে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পুলিশি হেফাজতে হাতকড়া পরেই হাসপাতালের শুয়ে আছেন সাংবাদিক তানু।
আজ রোববার (১১ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম।
সাংবাদিক তানুর পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই তারিখেই তিনি করোনা থেকে সুস্থ হন। তবে এখনও তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছেন। তাকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তারা শঙ্কিত।
ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিক তানু হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করে। বিষয়টি দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে জানালে আমি তাকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই।’
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে রোগীর খাবার পরিবেশনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তানুসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা দায়ের করা হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নাদিরুল আজিজের দায়ের করা এ মামলায় তানু ছাড়া বাকি যে দুজনকে আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু ও নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি রহিম শুভ।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ‘গত জুন মাসে ২/১ দিন খাবার সরবরাহে সামান্য ব্যত্যয় ঘটলেও অন্যান্য সময় সরকারি বরাদ্দ মোতাবেক যথাযথভাবে রোগীদের খাবার প্রদান করা হচ্ছে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দাবি—জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরই তিনি হাসপাতালে খাবার সরবরাহে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, হাসপাতালের পাচক (বাবুর্চি) ও রোগীদের খাবার পরিবেশনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্য জানতে পেরেছেন।
অর্থাৎ সংবাদ প্রকাশের পরই তিন খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং তার দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লিখিত হাসপাতালে ‘দু-একদিন খাবার সরবরাহে ব্যত্যয়’-এর তথ্য জানতে পেরেছেন। অথচ ‘খাবার সরবরাহে ব্যত্যয়’-এর বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।
এদিকে তানুকে গ্রেফতারের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মুক্তি দাবিতে এবং মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চেয়ে জেলা প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সামবেশ করেন সাংবাদিকরা। তারা তানুর মুক্তি ও সাংবাদিকদের নামে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এছাড়া তানভীর হাসান তানুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সর্বস্তরে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তানুর মুক্তির দাবিতে এবং মামলা প্রত্যাহার চেয়ে জেলা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকরা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও ফেসবুক পোস্ট করে নিন্দা জানাচ্ছেন।
শেখ সোহান
জাতীয়
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনোকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সবস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হায়দার আকবর খান রনোকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
বেলা দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনো ৮২ বছর বয়সে শনিবার রাত ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে মারা যান।
রনো একমাত্র মেয়ে রানা সুলতানাসহ বিপুল সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন,গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন, তখনই কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি সরাসরি শ্রমিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
হায়দার আকবর খান রনো রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকী সাহিত্য ও বিজ্ঞানের ওপরও অনেকগুলো বই লিখেছেন। তিনি ২০২২ সালে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।
জেএইচ
জাতীয়
রাতে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আব্দুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে সোমবার (১৩ মে) রাতে কুবুবদিয়াতে পৌঁছাতে পারে। সেখানে আংশিক পণ্য খালাস হবে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে বোট বা লাইটার জাহাজে নাবিকদের আনা হবে জেটিতে।
রোববার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।
উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।
মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।
টিআর/
জাতীয়
হজ করতে সৌদি পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী
পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৪৯ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদি পৌঁছানো এসব হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ হাজার ৯০২ জন সৌদি গেছেন।
মোট ৩২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
গেলো ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট যাবে ১০ জুন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন। ২২ জুলাই শেষ ফিরতি ফ্লাইট দেশে আসবে।
টিআর/
- এশিয়া2 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- টুকিটাকি2 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- জাতীয়7 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- আন্তর্জাতিক5 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
- বলিউড7 days ago
ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না: হানি সিং
- ঢাকা7 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- বলিউড2 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
- ঢালিউড4 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি