লাল গ্রহের রঙিন ছবি পাঠিয়েছে পারসেভারেন্স রোভার
সফলভাবে অবতরণের পর মঙ্গল গ্রহের ছবি পাঠাতে শুরু করেছে নাসার মহাকাশযান পারসিভিয়ারেন্স রোভার। প্রথমবারের মত লাল গ্রহটির রঙিন ছবি পাঠিয়েছে এটি। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে রোবটটির পাঠানো তিনটি রঙিন ছবি প্রকাশ করে নাসার বিজ্ঞানীরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, তিনটির মধ্যে একটি রোভারের অবতরণের ছবি, আরেকটি মঙ্গলের ভূ-পৃষ্ঠের ছবি ও শেষের ছবিটি রোবটের চাকার।
ইতোইধ্যে এই ছবিগুলো নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেছে নাসার বিজ্ঞানীরা। এসব ছবি-মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে বলে আশা করছে তারা। এরইমধ্যে দুই কিলোমিটারের খাড়া বাঁধ হেঁটে পার হয়েছে রোবটটি। একইসঙ্গে ভূ-ত্বাত্ত্বিক গবেষণাও চালিয়ে যাচ্ছে।
নাসা জানায়, মঙ্গলগ্রহে গভীর এক গর্তে নেমেছে রোবট। কয়েকশো কোটি বছর আগে মঙ্গলের হ্রদে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে ধারণা করছে বিজ্ঞানীরা। লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বের করাই এবারের মঙ্গলাভিযানের প্রধান লক্ষ্য।
আগামী দুই বছর মঙ্গল থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে ছয় চাকার মহাকাশযানটি । গ্রহটির বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণের সন্ধান চালাবে এই যান। অতীতেও মঙ্গলে অণুজীবের অস্তিত্ব ছিল কিনা তারও সন্ধান চালাবে নাসার পাঠানো এই রোভার।
মঙ্গল গ্রহে কোটি-কোটি বছর আগে হ্রদ ছিল বলে অনুমান করা হয়। সেখানে পলির মত সেডিমেন্ট দেখা গেছে। লালগ্রহের এই অংশটি নিয়ে খুবই উৎসাহিত বিজ্ঞানীরা। এলাকাটি রোভাররের মাধ্যমে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে চায় তারা।
মঙ্গলের বর্তমান আবহাওয়া বেঁচে থাকার অনুকূল নয় বলেই জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। সেখানে আবহাওয়া এতোই ঠাণ্ডা যে পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে না। বায়ুমণ্ডলের স্তরও খুবই পাতলা।
সে কারণেই সূর্যের কড়া আলোকরশ্মি পড়লে মাটির উপরিভাগের সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। মঙ্গলগ্রহের এখনকার পরিবেশের তুলনায় কয়েকশো কোটি বছর আগেকার ছবি এক ছিল না বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। সেই সময় মঙ্গলে পানি ছিল বলে তাদের ধারণা। এমন কী সূর্যের তাপে সৃষ্ট বিকিরণ মোকাবিলায় বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘন আস্তরণ ছিল বলেও মনে করে বিজ্ঞানীরা।
এসএন