আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি

বাংলাদেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রাম ও অগ্রগতির পথে এ দেশের যুবসমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। মহান ভাষা আন্দোলন হতে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুবরা যেমন জীবন উৎসর্গ করতে কার্পণ্য করেনি, তেমনি অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামেও তারা নিরলসভাবে ব্যাপৃত। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নপূরণে দেশপ্রেম, কর্মে একাগ্রতা, সাহস ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের প্রতি এ আহ্বান জানাচ্ছি। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

‘জাতীয় যুব দিবস’ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আজ সোমবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ। ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত দেশে উন্নীত করতে এ জনমিতিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে যুবসমাজের জন্য অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, যুবসমাজকে কর্মবিমুখতা, কুসংস্কার, মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রেখে দক্ষ, আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমত সহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতাসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 

আবদুল হামিদ বলেন, দেশ গড়ার হাতিয়ার যুবদের শানিত করার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যুবদের জন্য গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, আত্মকর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা তৈরি ও যুব সংগঠন নিবন্ধন বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত যুব উন্নয়ন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড সমগ্র যুবশক্তিকে আধুনিক জীবনমনস্ক মানবসম্পদে পরিণত করছে। তিনি যুব সম্প্রদায়কে এসকল সুযোগ কাজে লগিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নপূরণে দেশপ্রেম, কর্মে একাগ্রতা, সাহস ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রম, মেধা, সততা, নৈতিকতা এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকান্ডের স্বাক্ষর রেখে সমাজে অনন্য নজির স্থাপনের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সেরা ২৭ জন আত্মকর্মী ও যুবসংগঠক জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২১ এ ভূষিত হতে যাচ্ছে। তাদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অপরাপর যুবরা আত্মোন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবে বলে তিনি  আশা প্রকাশ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন