কনকনে শীতে কাঁপছে দিনাজপুরবাসী
কনকনে শীত জেঁকে বসেছে উত্তরাঞ্চলে। মাঘের শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে পরেছে দিনাজপুর। মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি দিনাজপুর ছাড়াও পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিরাজ করছে। হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ ও গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ছিল।
সকাল ও রাতে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ। বেশির ভাগ সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। আগে যে পরিমাণ রোজগার হতো এখন ঠান্ডার কারণে তা হচ্ছে না। ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাই মাঠ কাজে যেতে পারছেন না কৃষকেরা। দুপুরের দিকে সূর্যের আলো একটু দেখা গেলেও আকাশে মেঘের কারণে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। তবে অতিরিক্ত কুয়াশা ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে আসা হিমালয়ের শীতল বায়ু প্রবাহের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দিনাজপুরে আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনন্যা চৈতী