কানাডায় টিকাবিরোধী বিক্ষোভ করছে ট্রাকচালকরা
কানাডায় টানা তৃতীয় দিনের মতো টিকাবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন ট্রাকচালকরা।
সোমবারও দেশটির রাজধানী অটোয়া দখল করে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। এক ভিডিও বার্তায় নিজের করোনা আক্রান্তের খবরের পাশাপাশি বিশৃঙ্খলার জন্য বিক্ষোভকারীদের নিন্দা জানান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
কানাডায় চলমান বিক্ষোভের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় ট্রুডো ও তার পরিবারকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় কয়েক দিন জনসমক্ষে না আসার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার এক ভিডিও বার্তা দেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের ভয়ে নয়, করোনা শনাক্ত হওয়ায় তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। ট্রডো সুস্থ আছেন এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরও কিছুদিন আইসোলেশনে থেকে কাজ করবেন। বিক্ষোভকারীদের নিন্দা জানিয়ে অটোয়াতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রুডো বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের আক্রান্ত করে ফেলেছে। আমার দুই সন্তান আক্রান্ত। আমারও করোনা পজিটিভ। আমি সুস্থবোধ করছি এবং তেমন কোনো উপসর্গ নেই। এ সপ্তাহে আইসোলেশেন থেকেই কাজকর্ম চালিয়ে যাব। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের কোনো ধরনের ভয় দেখানো হয়নি। তবে যারা ভাঙচুর করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। গুটি কয়েক মানুষের জন্য জনগণকে ভুগতে হচ্ছে। আমাদের এখানে ভয় দেখানো, সহিংসতা ও ঘৃণার কোনো জায়গা নেই। আমি আগেও বেশকিছু আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছি। তবে ঘৃণা ও সহিংসতার জন্ম দেয় এমন প্রতিবাদ থেকে অবশ্যই আমি দূরে থাকব।
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে রাজধানী অটোয়ার মেয়র জিম ওয়াটসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিক্ষোভ বন্ধ করা উচিত।
জিম ওয়াটসন বলেন, বিক্ষোভকারীরা সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। সরকারের নীতিনির্ধারণের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বিক্ষোভকারীদের রাজধানী ত্যাগ করে কাজে ফিরে যাওয়া উচিত। তাদের কারণে ছোট ছোট ব্যবসাগুলো ক্ষতির মুখে পড়ছে। জনসাধারণের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করায় স্থানীয় সময় শনিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন কানাডার ট্রাকচালকরা। দেশটির বিভিন্ন শহর থেকে ট্রাক নিয়ে রাজধানী অটোয়ায় পার্লামেন্ট হিল চত্বরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। সোমবারও টানা তৃতীয় দিনের মত বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।
মুক্তা মাহমুদ