আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বইমেলার সময় বাড়তে পারে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

কোভিডের কারণে এবার বইমেলার সময়সীমা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখন যেভাবে কোভিডের সংক্রমণ কমছে সেভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে হয়তো মেলার সময়সীমা খানিকটা বাড়ানো সম্ভব। জানালেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বইমেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রকাশকদের প্রণোদনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মেলা হচ্ছে প্রকাশকদের মেলা। তারা একটি মেলার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেন। কোনোভাবেই চাইবো না, মেলার প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। গেলো বছর অর্ধেক ভাড়া নেয়া হয়েছে। এবার মেলার সময়সীমা যদি বাড়ানো হয় তাহলে সেটি তাদের জন্য প্রণোদনা হবে।

তিনি জানান, এবার ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্য আছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। মেলার মূল আয়তন সাত লাখ বর্গফুট।

প্রতিমন্ত্রী জানান, মেলায় সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট থাকবে। যেন গেটে মাস্ক পরে ঢুকে মেলার ভেতরে কেউ মাস্ক ছাড়া থাকতে না পারে। প্রতিটি স্টলে ‘নো মাস্ক নো সেল’ ব্যানার থাকবে।

সচিব বলেন, রেস্টুরেন্টে কোভিড সংক্রমণ বাড়ে। তাই মেলার খাবারের দোকানে ঢুকতে হলে সবার অবশ্যই টিকা সনদ থাকতে হবে। খাবার আয়োজকদের জানানো হয়েছে যে, তাদের আঙিনায় যেন কেউ টিকা সনদ ছাড়া ঘুরতে না পারে। 

বইমেলার সময়সীমার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছর ৩টা থেকে বইমেলা শুরু হতো। কিন্তু এ বছর যেহেতু ১৫ দিনের মেলা, সেজন্য দুপুর ২টা থেকে মেলা শুরু করা হবে। ছুটির দিনে বরাবরের মতো বেলা ১১টা থেকে মেলা শুরু হবে।

এবার সাড়ে সাত লাখ স্কয়ার ফুট জায়গাজুড়ে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শিশুদের জন্য আলাদা মঞ্চের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের জন্য মঞ্চ রাখা হয়েছে।

এবার বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ চাই’।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন