জাতীয়

আইন অনুযায়ী ডিসিদের কাজ করার নির্দেশ আইন উপদেষ্টার

ছবি: সংগ্রহীত

জেলা প্রশাসকদের বিবেক ও আইন অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন আইন, নীতিমালা ও সংবিধানে যা আছে, সেটি মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেওয়া ছাড়া ডিসিদের আর কোনো কাজই নেই।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের পঞ্চম অধিবেশন শেষে এসব জানান উপদেষ্টা। আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ অধিবেশন হয়।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের ডিসি সম্মেলন আমার জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আমার কাছে মনে হয় এটা খুব জরুরি ছিল। ডিসিরা মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন দেখেন, বাস্তবায়নে কি কি সমস্যা আছে ওনাদের থেকে কেউ ভালো জানেন না।’

তিনি বলেন, ‘ডিসিরা আমাদের বলেছেন, যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তাদের যখন ধরা হয়, তখন তারা তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। এটা ওনাদের কনসার্ন। অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব বললেন, আদালতের কাজই তো হচ্ছে উপযুক্ত ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া। এ ধরনের কিছু সমন্বয়ের ব্যাপার আসছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা উনাদের (ডিসি) বলা হয়েছে। মামলার ক্ষেত্রে আমাদের সলিসিটর যে উইং আছে, তারা আরও ভালোভাবে সমন্বয়ের জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটাও বলেছি।’

‘জনগণকে সেবা দিতে আপনারা ডিসিদের কি ফরমুলা দিয়েছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে ফর্মুলার ব্যাপার নেই। আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেওয়া ছাড়া ওনাদের আর কোনো কাজই নেই। সুতরাং আমাদের শুধু একটাই কথা, যে আপনি আইন অনুযায়ী চলেন, আপনি আপনার বিবেক মতো চলেন। তাদের যে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে আমরা তাদের একটি অনুরোধ করেছি- এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার পর ছাত্ররা যে কয়েক মাস সময় পায় ওই সময়টাতে ওনারা যেন তাদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) নিয়ে আসেন।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসিরা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। ওনারা বলেছেন বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন শুধু তাদের না, যারা বিদেশে যেতে চায়, তাদের সবার যেন ডাটাবেজ করা হয়। ওনারা যেটি বলেছেন সেটি আমরা ভাবছি। যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের ডাটাবেজ করার পদক্ষেপ নিয়েছি, অচিরেই কাজ শুরু হবে।’

এমএ//

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন