যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে হচ্ছে নতুন জোট

ইউক্রেনকে রক্ষায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ মিলে নতুন একটি জোট গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ইউক্রেনের প্রতি এসব দেশের সমর্থনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই জোটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।
গেলো রোববার(২ মার্চ) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ইউক্রেন নিয়ে এক শীর্ষ সম্মেলন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার এসব কথা বলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ‘সিকিউর আওয়ার ফিউচার’ শীর্ষক এই সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরারাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট-ন্যাটো, ইউরোপের ২৭ দেশ নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার চারটি বিষয়ে সবার একমত হওয়ার কথা জানান। এগুলো হলো- ১. ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা ও রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো। ২. যেকোনও শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা এবং যে কোনও আলোচনায় ইউক্রেনের অংশ নেওয়া। ৩. শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বাড়ানো যাতে ভবিষ্যতে যে কোনও আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে পারে। ৪.আর ইউক্রেনের নিরাপত্তায় জোট গঠন এবং এর পরবর্তী শান্তি নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘আমরা আজ ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে। ইউরোপকে অবশ্যই বড় অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। এই সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন হবে এবং রাশিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে মস্কোকে কোনও শর্ত নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হবে না।’
ইউক্রেনের সুরক্ষায় প্রস্তাবিত জোট বা ‘কোয়ালিশন অফ উইলিং’- যোগ দিতে কোন কোন দেশ সম্মত হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এড়িয়ে যান। এসময় তিনি বলেন, যারা অঙ্গীকার করেছেন তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করবেন। যুক্তরাজ্য তার অঙ্গীকার রক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিয়ার স্টারমার একই সঙ্গে পাঁচ হাজার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তার কথাও ঘোষণা করেন। এর আগে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের মুনাফা থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ডের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের সঙ্গে জরুরি শান্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন সবার একযোগে কাজ করার পালা”। ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র অবিশ্বস্ত কোনও সহযোগী কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গেলো শুক্রবার যা ঘটেছে তা কেউ দেখতে চায়নি। তবে আমি মনে করি না যে যুক্তরাষ্ট্র অবিশ্বস্ত সহযোগী।’
এমআর//