আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

সব উইকেট হারিয়ে অর্ধেক রানই করতে পারলো না সাকিবরা

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সামনে ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা সংগ্রহ করে ২০৫ রান। তবে ব্যাট হাতে মাঠে বেশি সময় থাকতে পারছেন ব্যাটাররা। সেই আগের ইতিহাস। দুই ওভারে দুই উইকেট নেই সাকিব বাহিনীর। এরপর বাকিরা তাদের পথই অনুসরণ করলেন। বেশি সময় মাঠে থাকলেন কেউ। একে একে চলে গেলেন এসি রুমে।

১৫ রানে সৌম্য আর ৯ রানে শান্ত মাঠ ছাড়েন। দলীয় সংগ্রহ ছিল মাত্র ২৭ রান। ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ৪ বল খেলে অল রাউন্ডার সাকিব করেন মাত্র ১ রান, তারপরই বিদায় নেন মাঠ থেকে। আফিফ হোসেনও সাকিবরে পিছু ধরেন। তিনি ১ রান করে মাঠ ছাড়েন। মিরাজ ১১ রান করলেও মোসাদ্দেক খালি হাতেই মাঠ ছাড়েন। নুরুল হাসান ২ রান করে ফিরে যান। দলের পক্ষে লিটন দাস সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। তবে কোন রান না করেই মাঠ ছড়েন হাসান।

সব উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভার তিন বল খেলে ১০১ রান বাংলাদেশের ঝুলিতে। প্রোটিয়াদের পক্ষে আনরিখ নরকিয়া ৪ উইকেট পান।

২০৫ রান তাড়ায় বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১০১ রানেই, ১৭তম ওভারে। সিডনিতে আজ বাংলাদেশ হারল ১০৪ রানে। রানের হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার এটি এখন। করাচিতে ২০০৮ সালে ২০৩ রান তাড়ায় ১০১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এতদিন রানের হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হারের ব্যবধান ছিল সেটিই ১০২ রান। রানের হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।

এর আগে প্রোটিয়াদের শুরুটা ভালো হতে দেননি তাসকিন। শুরুর ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে। পরে বৃষ্টিতে খেলা কিছু সময় বন্ধ থাকে। কে জানতো বৃষ্টির পানির মতোই রানের বন্যা ছড়িয়ে দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাসকিনে পর আর উইকেটের দেখা নেই। শুধু রান আর রান। ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৫ রান।

কুইন্টন ডি কক আর রাইলি রুশো জোটি দেড়শ’র বেশি রান করেন। কুইন্টন ডি কক ৬৩ রানে থামলেও ব্যাট চালিয়ে যান রাইলি রুশো। সাথে জোটি বাঁধেন ট্রিস্টান স্টাবস।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সাকিব দুটি, তাসকিন ও আফিফ একটি করে উইকেট পান।

প্রোটিয়াদের দলীয় রান যখন ১৯৭ তখন রাইলি রুশো ১০৯ রানের বিশাল সংগ্রহ নিয়ে সাকিবের বলে মাঠের বাইরে যান।

বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

দ. আফ্রিকা দল : কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, রাইলি রুশো, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্টাবস, ওয়েন পার্নেল, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, তাবরাইজ শামসি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন