করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করছে গণপরিবহন গুলোতে। এমন অবস্থায় অনেকেই নির্ধারিত সময়ে নিজ কর্মস্থল বা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে রাজধানীর খিলখেত এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন যাত্রীরা।
খিলক্ষেত থানার ডিউটি অফিসার (উপ-পরিদর্শক) মো. আশিক বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আসনের ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করছে গণপরিবহন। ফলে অনেকেই নিজ গন্তব্যে
যথাসময়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। এমন কিছু যাত্রী খিলক্ষেতে সড়কের যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের কারণে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে মোট আসনের ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করছে। এতে করে রাজধানীর গণপরিবহনে করে যারা কর্মস্থলে যাতায়াত করেন তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
যাত্রীরা বলছেন, শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহনের সময়ই যেখানে অফিস যেতে অনেককে বাসে ঝুলতে হতো সেখানে ৫০ শতাংশ আসন কমানোয় চোখে অন্ধকার দেখছেন তারা।
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার পর যানবাহন সংকট দেখা গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছু কিছু জায়গায় সড়কে কম সংখ্যক যান চলাচল করছে। আবার কিছু গাড়ি সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করায় যাত্রীরা যানবাহন সংকটে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: রাইড শেয়ারিং চালকদের মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় অবস্থান
এছাড়া সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর কথা থাকলেও অনেকক্ষেত্রেই দ্বিগুণ ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গাড়ি পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষণ আগে গাড়ি পেলেও ভাড়া দিগুণ। আসলে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে সরকার নির্দেশ দিলেও যানবাহন তো দ্বিগুণ হয়নি, ফলে গাড়ির সংকট বেড়েছে। আসলে এভাবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সিটে যাত্রী পরিবহন করা যায়। কারণ সাধারণ সময়ই আমরা দাঁড়িয়ে বা ঝুলে চলাচল করি, সেখানে অর্ধেক যাত্রী নিলে গাড়ি সংকট হওয়া স্বাভাবিক।
তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মার্কেট, বাজারে তো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই; সব স্বাস্থ্যবিধি গণপরিবহনে পালন হলেই তো করোনা চলে যাবে না।