বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর দিন অর্থাৎ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, ভোট দিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে একসময়ের নায়িকা মুনমুনকে কিছু বলছেন জায়েদ। এ সময় তাদের অঙ্গ-ভঙ্গিমা দেখে অনেকেই দাবি করছেন, জায়েদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন মুনমুন।
সদ্য হয়ে যাওয়া চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচন নিয়ে উঠেছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে একটি হলো- সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া চিত্রনায়ক জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন। ভোটের দিন প্রকাশ্যেই এ অভিযোগ তোলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ।
টাকা নেয়ার অভিযোগে এবার মুখ খুললেন মুনমুন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা নিয়ে, তার বিনিময়ে ভোট দিয়েছেন- এগুলো তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গণমাধ্যমকে ভিডিও বার্তায় এ কথা জানিয়েছে তিনি।
এসময় মুনমুন আরও বলেন, টাকা নেয়ার ইচ্ছে থাকলে জায়েদ তার বাসাতে এসেই টাকা দিয়ে যেতে পারতেন। চাইলে যে কোনোভাবেই জায়েদের থেকে টাকা নিতে পারেন তিনি। এফডিসিতে নির্বাচনে সবাই তো এভাবেই হাত ধরে ধরে ভোট চায়। এফডিসিতে ঢোকার পর জায়েদ তাকে প্যানেলের তালিকার একটা কাগজ দিয়ে বলেছিলেন ছোট ভাই’র প্যানেলকে ভোট দিতে।
আরও পড়ুন : ভোটের দিন নায়িকা নিপুনকে চুমু দিতে বলেছিলেন পীরজাদা হারুন
মুনমুন বলেন, এফডিসিতে সবাই সবাইকে ধরে ধরে ভোট চায়। জায়েদের নামে সব কিছুই অপপ্রচার। এখন আমি সেটা বুঝতে পারছি। আমার সঙ্গে এই ঘটনা না ঘটলে হয়তো বুঝতাম না। কারণ আমাকেও এখানে ফাঁসানো হয়েছে।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি কি রাস্তার আর্টিস্ট, যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জায়েদের কাছ থেকে টাকা নেবো। জায়েদ আমার বাসা চেনে, ফেসবুক ফ্রেন্ড যে কোনোভাবেই তো টাকা নিতে পারি।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে মিশা ও জায়েদ একটি প্যানেল গঠন করেছিলেন। এর মধ্যে জায়েদ জিতেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে। অন্যদিকে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ ছিলেন আরেকটি প্যানেলে। সেখান থেকে সভাপতি পদে জিতেছেন কাঞ্চন।
অনন্যা চৈতী