বিশ্বকাপের সময় ব্যবহৃত ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেবিন ও কাফেলা তুরস্ক ও সিরিয়ায় পাঠাচ্ছে কাতার। এটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের আশ্রয়ে কাজে লাগবে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাতারের কর্মকর্তারা এমন কথা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ বলেছে, ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন। উভয় দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশাল একটি অঞ্চলজুড়ে হাজার হাজার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
কাতারের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় জরুরি প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে আমরা তাদের জনগণকে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে কেবিন এবং কাফেলা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গেলো বছর কাতার যখন ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল তখন কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব ভ্রাম্যমাণ হোটেল ও তাঁবুগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল।
এর প্রথম চালান সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের উদ্দেশ্যে দোহা বন্দর ত্যাগ করবে। আগামী আরও চালান পাঠানো হবে।
উপসাগরীয় রাষ্ট্রের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি রোববার তুরস্ক সফর করেন। গেলো সপ্তাহের ভূমিকম্পের পর এটিই তুরস্কে প্রথম কোনো বিদেশি নেতার সফর। এ সময় তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিপুল সহায়তা দেয়া হয়েছে।
কাতার নিউজ এজেন্সি (কিউএনএ) জানিয়েছে, দেশটির আমির তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে একটি সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কাতারের আমির তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৫০ মিলিয়ন কাতারি রিয়াল দান করেছেন। শনিবার পর্যন্ত কাতারি অনুদানের পরিমাণ ১৬৮ মিলিয়ন এবং ১৫ হাজার ৮৩৬ কাতারি রিয়ালের বেশি।
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে চূড়ান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।