ওমান উপকূলে ইসরায়েলি মালিকানাধীন একটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। এই অভিযোগকে শিশুসুলভ আখ্যায়িত করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার তেহরানে সাংবাদিকদের মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ্ বলেছেন, নিজের অপরাধ লুকাতে বরাবরই ইরানকে ব্যবহার করে ইসরায়েল। আরব সাগরে হামলার ঘটনাও তারই পুনরাবৃত্তি করছে তারা।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে খাতিবজাদেহ্ বলেন, তেহরানের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো এ ধরনের অভিযোগ তুললো না তেল আবিব। যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই অস্থিরতা-সন্ত্রাসবাদ-সহিংসতা ছড়িয়েছে ইসরায়েল। বর্তমান পরিস্থিতির জন্যও দায়ী জায়নবাদী রাষ্ট্রটি। তবে, কিভাবে দেশকে নিরাপদ এবং নিজ জনগণের স্বার্থরক্ষা করতে হয় তা ভালোভাবেই জানে ইরান। অবৈধ ইহুদিবাদী সরকারকে ইরানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন বন্ধ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি সম্পর্কে খতিবজাদেহ্ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবাদী লবির চাপে তেল আবিবের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ইরানকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিয়েছে ওয়াশিংটন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেন, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের একথা জেনে রাখা ভালো, এ ধরনের নাটকীয় অভিযোগ সাজিয়ে তাদের কোনো লাভ হবে না।
গেল বৃহস্পতিবার রাতে আরব সাগরের ওমান উপকূলে এমভি মার্সার স্ট্রিট নামে এক ইসরায়েলি ধনকুবেরের মালিকানাধীন একটি তেলের ট্যাঙ্কারে হামলা হয়। এতে জাহাজে থাকা ব্রিটিশ ও রোমানিয়ার দুই ক্রু নিহত হয়। গভীর সাগরে হামলার ধরন এখনও স্পষ্ট নয়। ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই রোববার মন্ত্রীপরিষদের জরুরি বৈঠকে ইরানকে সরাসরি অভিযুক্ত করেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত। এতে সায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনও।
এসএন
