আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চাকরি যেন সোনার হরিণ, ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোম পদে আবেদন তরুণীর

চাকরি যেন সোনার হরিণ, ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোম পদে আবেদন তরুণীর

চাকরি যেন সোনার হরিণ! চাকরির জন্য চারদিকে শুধু হাহাকার। ভালো রেজাল্ট করেও উচ্চশিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীরা হন্যে হয়ে ছুটছেন চাকরির পেছনে কিন্তু সে তো নাগালের বাইরে। তাই বাধ্য হয়েই ডোমের চাকরির জন্য আবেদন করছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এদেরই একজন স্বর্ণালী সামন্ত। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার শিবপুর এলাকায়।

ইতিহাসে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক পাস করেছেন স্বর্ণালী। এরপরও চাকরির জন্য আবেদন করেছেন ডোম পদে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সবাই যেনো একটু হোচটই খান। তবে স্বর্ণালীর মতে, কোনো কাজই ছোট নয়। তার চাকরি দরকার।

শিবপুরের অবিনাশ ব্যানার্জি লেনের মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণালী সামন্ত। ভালোবেসে বছর চারেক আগে শিবপুরের অনন্ত দেব চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দা দেবব্রত কর্মকারকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এ করোনাকালে উবের-বাইক চালক দেবব্রতর একার পক্ষে সংসার চালানো বেশ কঠিনই হয়ে পড়েছে। স্বর্ণালী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সামান্য বেতনের চাকরি করতেন, কিন্তু সেটিও চলে যায়। ফলে বর্তমানে তাঁদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, স্থানীয় এনআরএস হাসপাতালের পক্ষ থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট বা পরীক্ষাগার সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। অনলাইনে সেই বিজ্ঞাপনে দেখে আবেদন করেন স্বর্ণালী।

স্বর্ণালী বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে এনআরএসের বিজ্ঞাপনটি দেখতে পাই। তারপর আবেদন করি। সেখান থেকে প্রবেশপত্র পাঠানো হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। পরীক্ষা ছিল গত ২১ মার্চ। তবে সেই পরীক্ষা পিছিয়েিএখন আগস্টে নেয়া হয়েছে।

তবে ডোম পদের জন্য চাকরিতে আবেদন করায় কোন আক্ষেপ নেই স্বর্ণালীর। তিনি জানান, মহিলারা এখন বিভিন্ন পেশায় যুক্ত, যে কাজ তারা আগে করেনি। স্বর্ণালীর সঙ্গে একমত তাঁর পরিবারের সবাই। 

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চাকরি | যেন | সোনার | হরিণ | ইতিহাসে | ফার্স্ট | ক্লাস | পেয়েও | ডোম | পদে | আবেদন | তরুণীর