আগামী জাতীয় নির্বাচন কত দিনের মধ্যে হবে, ১৬ মাস না ১৮ মাস পরে, এই সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে এটা ঠিক করবে দেশের জনগণ। বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের জন্য ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব কমিটি কাজও শুরু করেছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগেই আলোচনায় বসা দরকার। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের স্টেকহোল্ডার। আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া হবে।
এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা হবে কি না, সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কারে ৬টা কমিশনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে সংস্কার শুরুর আগে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেকদফা আলোচনা করবে।
১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান নিজের মতামত জানিয়েছেন। কত মাস লাগবে সেটা নির্ধারণ করবে জনগণ।
এছাড়া বিশ্ব নেতারা টাইম ফ্রেম জানতে চাননি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত এবং জনগণসহ সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়েই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
এএম/