এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সিরিয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে আফগানিস্তানে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এমন আশঙ্কাই জানিয়েছেন সংস্থাটির আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত দেবোরা লিয়নস। আফগান সংকট নিয়ে বিশেষ অধিবেশন বসেছিল নিরাপত্তা পরিষদে। এদিকে, আফগানিস্তানে চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত দেবোরা লিয়নস বলেন, ধ্বংসাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে আফগান পরিস্থিতি। আফগান সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে তালেবানের প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ডেবোরা লিয়নস আরো বলেন, কোনো এক পক্ষও যদি সত্যিই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতো তবে এতো মানুষ নিহত হতো না। কারণ রক্তক্ষয় যত বেশি হবে সম্প্রীতি গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও তত বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি সিরিয়া, ইরাককেও ছাড়িয়ে যাবে বলে শঙ্কা জানান জাতিসংঘ প্রতিনিধি।
আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত আরও বলেন, এটি পরিষ্কার আফগান সংকটের কোনো সামরিক সমাধান নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনার অগ্রগতি থেমে যাওয়ায় পুরোপুরি গৃহযুদ্ধের পথে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। যা আমাদের সিরিয়া পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তালেবানকে প্রতিহত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কাবুল প্রতিনিধি গোলাম ইসকজাই। তিনি বলেন, দোহা শান্তিচুক্তি অনুযায়ী তালেবানদের আগ্রাসন এবং বর্বরতা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ঠ পক্ষগুলোর কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এর অন্যথা হলে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
তালেবানের আগ্রাসনে গেল এক মাসে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে এক হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ।
এদিকে, আফগানিস্তানে চলমান সংঘাতের মধ্যে গতকাল শুক্রবার নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এর ম্যে দিয়ে প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিলো সশস্ত্র গোষ্ঠিটি। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মরিয়া চেষ্টা সত্ত্বেও তালেবান সদস্যদের ঠেকানো যায়নি।
এসএন