আর্কাইভ থেকে এশিয়া

আফগানিস্তানে তালেবানদের দখলে আরেকটি প্রাদেশিক রাজধানী

আফগানিস্তানে তালেবানদের দখলে আরেকটি প্রাদেশিক রাজধানী

আফগানিস্তানে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয় প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিলো তালেবান। শনিবার জাওজানের গুরুত্বপূর্ণ শহর শেবেরঘান সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রণে যায়। এদিকে, কাবুলে সরকারের উচ্চপদস্থ তথ্য কর্মকর্তাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি৷

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এক বিবৃতিতে তালেবান জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জাওজান প্রদেশটির বেশিরভাগ এলাকা বর্তমানে তালেবানদের কবজায় রয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেখানকার ডেপুটি গভর্নর কাদের মালিয়া। তিনি বলেন, বিমানবন্দরেও পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে সরকারি বাহিনীর সদস্য ও কর্মকর্তারা।

যদিও আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, এখনো বিমানবন্দরসহ অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকার নিয়ন্ত্রণ ঘিরে চলছে তুমুল লড়াই। সরকারি বাহিনীকে সহযোগিতায় বি-ফিফটি টু বোমারু বিমান থেকে তালেবান অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। যেকোন মুহূর্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে হঠিয়ে বিজয় নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী।

এদিকে, নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে আফগানিস্তান ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার৷ ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সেনা তুলে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা রয়েছে৷ এক্ষেত্রে আফগানিস্তানজুড়ে অপহরণের হুমকি রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷

এর আগে শুক্রবার নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারানজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। শহরটি দখলে নেওয়ার পরই স্থানীয় কারগার খুলে দেয় তারা৷ ফলে বন্দি তালেবানদের সঙ্গে জেলখানা থেকে বেরিয়ে গেছে সাধারণ অপরাধীরাও।

টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সরকারি কার্যালয়ে লুটতরাজ চলছে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

সীমান্ত চেকপয়েন্ট এবং গ্রামগুলো দখলে নেওয়ার পর গেলো দুই সপ্তাহ ধরে গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে।

এদিকে, শনিবার সরকারের ইনফরমেশন মিডিয়া সেন্টারের পরিচালক দাওয়া খান মেনাপেলেকে হত্যা করে তালেবানরা৷ এর দায় স্বীকার করে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, কাজের শাস্তি হিসেবে বিশেষ অভিযানে তাকে হত্যা করা হয়েছে৷

ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিরওয়াইস স্টানিকজাই বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আরো একবার তাদের কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ড দেখালো বর্বর সন্ত্রাসীরা এবং আরো একজন দেশপ্রেমিক আফগানকে হত্যা করল তারা।

এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স৷ একে আফগানিস্তানের মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার উপর আঘাত বলে অভিহিত করেন তিনি৷

চলতি মাসের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার কথা৷

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আফগানিস্তানে | তালেবানদের | দখলে | আরেকটি | প্রাদেশিক | রাজধানী