সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার গজারিয়া, বাহুকা গ্রামের সন্তান ‘ভাষা সৈনিক মোতাহার হোসেন তালুকদার’। অথচ তার জন্মভূমির অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। ফলে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয় বরং ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের সম্পর্কে জানতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এ বিষয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারি উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাহুকা কলেজ ,বাহুকা কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় ও গাজারিয়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ে নেই কোন শহীদ মিনার। এতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া, সদর উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নেই শহীদ মিনার। ভাষা সৈনিক মোতাহার হোসেন তালুকদারের জন্মভূমিতে প্রতিষ্ঠিত কলেজ ও বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না।
বাহুকা কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আবু তালহা ও নুর সাইদ বলেন, আমাদের স্কুলে একটা শহীদ মিনার প্রয়োজন। শহীদ মিনার না থাকায়, ফুল দিতে পারছি না আমরা।
বাহুকা কলেজ এর ছাত্রী তারিন বলে, শহীদ মিনার না থাকায় স্যারদের সাথে পাশে প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে ফুল দিয়েছি।
বাহুকা কলেজ এর অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কলেজে কোনো শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার তৈরি করার মতো কলেজে কোনো টাকাও নেই। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা শহীদের মর্যাদায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না।
সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, শিশুদের সামনে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরতে শহীদ মিনারই প্রথম সিঁড়ি। শুধু তাই নয়, বায়ান্ন থেকে একাত্তরের আন্দোলন সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস জানানোর ক্ষেত্রে শহীদ মিনার একটা গুরুত্বপূর্ণ চেতনার বাহক।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, এই জেলায় এক হাজার ৬৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৭১টিতে শহীদ মিনার নেই। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।