গাইবান্ধা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স সভাপতি ও জি.এস.এম আলমগীর সাধারন সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে মোট ২শ ৮৮ জন ভোটার আইনজীবীর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ২শ ৭৮ জন আইনজীবী। এর মধ্য দুটি ভোট বাতিল হয়েছে।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা বারে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ করা হয়। বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট শ্রী সুশীল কুমার ঘোষ।
নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২০টি পদে ৪৩ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স ১৪১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি সাবেক সভাপদি আহসানুল করিম লাছু পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। জি.এস.এম আলমগীর অ্যাডভোকেট সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি সিরাজুল ইসলাম বাবু ১১৫ ভোট পান।
সহ-সভাপতি পদে জাহাঙ্গীর হোসেন ১৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম নিরঞ্জন কুমার ঘোষ ১২৫ ভোট পান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. সরওয়ার হোসেন বাবুল ১৫৫ ও অ্যাড. সাঈদ আহমেদ আজাদ জয় ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নারী আসনে অ্যাড. মনোয়ারা বেগম ১৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি অ্যাড. শিউলী খাতুন ৯৩ ভোট পান।
কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম শাহিদার ১৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার প্রতিদ্বন্দি খন্দকার মঞ্জুরুল করিম সোহেল পান ১১৯ ভোট। গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ১৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন অ্যাড. মাজহারুল ইসলাম সোহেল, তার প্রতিদ্বন্দি অ্যাড. পিযুষ কান্তি পাল ভোট পান ৮৯ টি। সাহিত্য ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে অ্যাড মাজেদুল ইসলাম প্রধান তুহিন ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার নিকটতম অ্যাড, তৌফিকুর রহমান নিয়ন পান ৯৮ ভোট। সহ সাহিত্য ও সমাজকল্যান সম্পাদক পদে ১৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন অ্যাড. ফয়সাল হোসেন, তার প্রতিদ্বন্দি আবুল বাসার পান ১৩০ ভোট। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক পদে ১৩৪ ভোট পেয়ে অ্যাড. সোয়াইব আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দি শাহনেওয়াজ খান ১০২ ভোট পান। নিরীক্ষক পদে ১৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাড রেজা মিয়া। তার প্রতিদ্বন্দি অ্যাড. গোবিন্দ চন্দ্র পাল পেয়েছেন ১০০ ভোট। সদস্য পদে অ্যাড. ইদ্রিস আলী সরকার ২১৩, মাসুদার রহমান মাসুদ ২১০, অ্যাড. জিএম মুরাদ হাসান ১৭৪, অ্যাড. আব্দুর রহমান ১৭৩, অ্যাড, আব্দুল মাজেদ ১৬৭, অ্যাড. আবেদুর রহমান ১৫৮, অ্যাড. শরিফুল ইসলাম রুবেল ১৫৭, অ্যাড. জাহেদুল ইসলাম জাহিদ ১৫০ পেয়ে বিজয়ী হন।