রাজধানীর মিরপুরে রাত ৩টার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা নিতে পারেননি সাহেরা বেগম নামের এক ষাটোর্ধ নারী। তার মতো আরও অনেক নারী টিকা নিতে না পেরে বাসায় ফিরে গেছেন।
জানা গেছে, মিরপুর ১২ নম্বরে অবস্থিত ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্রে রোববার দিনগত রাত থেকেই টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান অসংখ্য নারী-পুরুষ। সেখানে টিকা নিতে আসেন সাহেরা বেগমের মতো আরও অনেক নারী।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই টিকাদান কেন্দ্রের নির্ধারিত (৩৫০) সব টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাকিদের বাসায় ফিরে যেতে হয়।
সাহেরা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, রাত ৩টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক টানা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তাও টিকা নিতে পারিনি। পা ব্যথা হয়ে গেছে। বসার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সারারাত মশার কামড় খেয়েছি। রাতে না খেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দুপুরের পর জানতে পারলাম টিকা শেষ। কাল আবার আসতে হবে।
তিনি বলেন, আমার মতো অনেক বয়স্ক নারী-পুরুষ রাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা নিতে পারেননি। অনেক নারী কান্নাকাটি করেছেন। কিন্তু সকালে এসে অনেকেই টিকা নিয়েছেন। তারা সবাই কাউন্সিলরের পরিচিত লোক। তাদের কোনো সিরিয়াল লাগে নাই।
এ সময় আক্ষেপ করে সাহেরা বলেন, মরলে মরমু। আগামীকাল থেকে আর টিকা নিতে আসব না। এ বিষয়ে জানতে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ডিএনসিসি অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম সফিউল আযম যুগান্তরকে বলেন, রাত ৩টার দিকে লাইনে দাঁড়াবে কেন। টিকা দেওয়ার সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। প্রতিদিন ৩৫০টি টিকা বরাদ্দ। যদি লাইনে সাড়ে তিন হাজার দাঁড়ায়, বাকিরা টিকা পাবে কীভাবে?
তবে কাউন্সিলরের পরিচিত লোক আগে টিকা পেয়েছেন এ ধরনের অভিযোগ তিনি নাকচ করেন।