বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ৯ জন ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৭৩ জন।
শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
বাসুদেব কুমার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে বরিশালে দুজন, পটুয়াখালীতে তিন, ভোলায় দুই, পিরোজপুর ও বরগুনায় একজন করে রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮৫ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৩ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৫৯২ জনে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ৪৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন, যা নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২৩ হাজার ২৮২ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ২২১ জন নিয়ে মোট ১৬ হাজার ৬৭০ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৬৮ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ৫৬১, ভোলায় নতুন ১০০ জনসহ মোট ৫ হাজার ৫২৭, পিরোজপুরে নতুন ২৭ জনসহ মোট ৪ হাজার ৯৫৩, বরগুনায় নতুন ৪১ জনসহ মোট ৩ হাজার ৪৮৪ ও ঝালকাঠিতে নতুন ১৬ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ৩৯৭ জন রয়েছেন।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে করোনা ওয়ার্ডে একজনের মৃত্যু হয়েছে, যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৮৮ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৮৪ জনের মধ্যে ৫০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ২ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৯৪ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৫৭ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৩৭ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯৬ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ পজিটিভ শনাক্ত।
এমএম/