আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

চরম অনিশ্চিয়তায় আফগান ক্রিকেট

চরম অনিশ্চিয়তায় আফগান ক্রিকেট

তালেবানের ক্ষমতা দখলে চরম অনিশ্চিয়তায় আফগানিস্তানের ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা। এ অবস্থায় শান্তিরক্ষার আহবান জানিয়েছেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবিরা।
 
যুদ্ধবিদ্ধস্ত নগরে কিংবা অলিতে গলিতে ক্রিকেট নিয়ে আসে শান্তির বার্তা। আফগান শিশুদের বেড়ে ওঠায়, স্বপ্নে রং ছড়ায় ব্যাট-বলের খেলা ক্রিকেট। উঠে আসে মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। যারা বিশ্বকে জানান দেয় আফগানরা হারিয়ে যেতে নয়, মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়।

পেছনে ফেলে আসে ভয়াবহ দিন। যেখানে তালেবান শাসণের যাতাকলে পিষ্ট স্বাধীনতা। নিষিদ্ধ সব ধেলাধুলা। '৯০ এর দশকে পাকিস্তানে আফগান শরনার্থী শিবিরে জনপ্রিয় হয়ে উঠে ক্রিকেট। ১৯৯৫ সালে গঠিত হয় আফগানিস্তান ক্রিকেট ফেডারেশন। কিন্তু শুরুতেই বড় ধাক্কা। তালেবানের হাতে ক্ষমতা, ২০০১ পর্যন্ত তাই কোনো অগ্রগতি নেই।

মার্কিন হস্তক্ষেপে তালেবান শাসণের পতনের পর শুরু হয় নতুন পথচলা। আইসিসির সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্ক তৈরি হয় আফগান ক্রিকেট বোর্ডের। ২০০৯ সালে ওয়ানডে, ২০১৭ তে টেস্ট মর্যাদা পায় দেশটি। মাঠে আসতে থাকে সাফল্যও। বড় বড় দলকে হারিয়ে শক্তিমত্তা জানান দেয় আফগানিস্তান। ২০১০ সালে গঠিত হয় আফগান নারী ক্রিকেট দলও। 

২ মাস পর হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে যখন বড় স্বপ্ন, তখন সবকিছু দু:স্বপ্নে পরিণত হওয়ার শঙ্কায়। খেলাধুলার শত্রু সেই তালেবান আবারো ক্ষমতার কেন্দ্রে। কি হবে আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ? মোটেও যে ভালো হবে না তা আগেই টের পেয়েছেন নবী-রশিদরা। গেলো ক'দিন ধরে তাই তাদের আকুতি বিশ্ব নেতাদের প্রতি। শান্তি রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনায় ক্রিকেটাররা একাট্টা।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামের দখল নিয়েছে তালিবান বাহিনী। আগের চেয়ে খানিকটা চরিত্র বদলালেও তালিবান খেলতে দিবেতো? সে ভয় বাড়ছেই। সামনে আইপিএল তারপর বিশ্বকাপ। কি হতে যাচ্ছে কেউ জানে না। তবে শীর্ষ তিন তারকা রশিদ-নবি-মুজিব ব্যক্তিগতভাবে খানিকটা নিরাপদে আছেন। কারণ যুক্তরাজ্যে দ্যা হানড্রেড খেলছেন তারা। বাকিরা সবাই দেশের ভেতর রয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চরম | অনিশ্চিয়তায় | আফগান | ক্রিকেট